ব্রুনেইয়ের শরিয়া আইনে মহানবী (সা.)-কে অপমান করলে মৃত্যুদণ্ড
ধর্ষণ, ব্যাভিচার, সমকামিতা, ডাকাতি এবং মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে অপমান বা অবমাননার জন্য মৃত্যুর বিধান রেখে শরিয়া আইন চালু করেছে ব্রুনাই। দেশটির নতুন এই আইন অনুযায়ী সমকামিতার অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হওয়া ব্যক্তিদের পাথর ছুঁড়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।
আজ বুধবার থেকে কার্যকর হওয়া ব্রুনেই সরকারের কঠোর এই আইনে বিভিন্ন অপরাধের জন্য বিভিন্ন মাত্রায় শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে; যেমন- চুরি করার শাস্তি হিসেবে হাত-পা কেটে ফেলার বিধান রাখা হয়েছে।
দক্ষিণ চীন সাগরীয় এই দেশটির এমন আইন কার্যকর করার পর বিভিন্ন দেশ এটির সমালোচনা করছে।
ব্রুনেইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়াহ আজ বুধবার এক ভাষণে ইসলামি শিক্ষা ‘জোরদার’ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, আমি চাই এদেশে ইসলামি শিক্ষা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এসময় তিনি নতুন আইনের কথা উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকেন।
এদিকে নতুন এই আইনকে ‘মধ্যযুগীয় সাজা’ উল্লেখ করে নিজেদের শঙ্কা প্রকাশ করেছে ব্রুনেইয়ের সমকামী কমিউনিটির লোকজন।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্রুনেইয়ের একজন সমকামী ব্যক্তি বলেন, একদিন আপনি ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখলেন, আপনার পরিবার বা রাস্তায় চিংড়ি বিক্রিকারী ভালো নারীটিও আপনাকে মানুষ মনে করছে না বা পাথর মারা ঠিক মনে করছে।
নতুন এই আইনে পুরুষ সমকামীদের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হলেও নারী সমকামীদের ক্ষেত্রে ৪০ বেত্রাঘাত বা সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া কেউ গর্ভপাত করলে তাকে জনসম্মুখে চাবুকাঘাত করা হবে।
উল্লেখ্য, এই আইন মূলত মুসলিমদের জন্য কার্যকর হবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি অমুসলিম ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে।
এ/জেএইচ
মন্তব্য করুন