ঢাকাবুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২

যদিও পৌষ মাস, হকারদের সর্বনাশ

শানে আলম সজল

বুধবার, ০৪ জানুয়ারি ২০১৭ , ০৫:০৭ পিএম


loading/img

এখন পৌষ মাস। আর পৌষ মানেইতো শীত। কিন্তু বন্দর নগরী চট্টগ্রামে দেখা নেই শীতের। যে কারণে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমী হকাররা।

বিজ্ঞাপন

পৌষের মাঝামাঝি এ সময়ে তীব্র শীত পড়ার কথা। কিন্তু চিত্রটা বিপরীত হওয়ায় কদর নেই গরম কাপড়ের। গেলো বছরের তুলনায় এবার শীতের কাপড় ৭০ শতাংশ কম বিক্রি হয়েছে বলছেন মৌসমী হকার-ব্যবসায়ীরা।

নগরীর পৌর জহুর হকার্স মার্কেটের সামনে কথা হয় মৌসুমি ব্যবসায়ী সোয়াদের সঙ্গে। আরটিভি অনলাইনকে তিনি জানান, গেলো বছর যেখানে দিনে ১০-১২ হাজার টাকার শীত-কাপড় বিক্রি হয়েছিল, এ বছর সেখানে দৈনিক আড়াই থেকে তিন হাজার টাকার কাপড় বিক্রি হচ্ছে। 

বিজ্ঞাপন

সোয়াদ আরো জানান, জানুয়ারি মাস এসে গেছে। অথচ গোডাউন ভর্তি কাপড় রয়ে গেছে । দৈনিক ৩-৪টি শীতের কাপড় বিক্রি হচ্ছে।২০০ টাকার কাপড়, ক্রেতা দিতে চাইছে ১০০ টাকা।

ভ্রাম্যমান হকার সুমনের কাছে বিক্রি কেমন জানতে চাইলে বলেন, শীত তো চট্টগ্রামে আসেনি। গোডাউন ভর্তি শীতের কাপড় রয়ে গেছে। কাষ্টমারও আসছে না। গেলো বছর এ সময়ে হরদম বেচা-বিক্রি ছিল। 

হকার রুহুল আমীন কম্বলের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। বেচা-বিক্রি নেই । বলেন, শীতকালে শীত নাই বিক্রি হবে কেমনে।গেলো বছর এ সময় কম্বল বিক্রি করেছি, এ বছর ক্রেতা মিলছে না।
প্রতি শীতের কাপড় ১০ টাকায়- বলে হাঁক ডাক দিচ্ছিলেন হকার মোজাম্মেল। আরটিভি অনলাইনকে তিনি বলেন, লাভ তো পরের কথা, খরচের টাকা তুলতে ১০ টাকায় বিক্রি করছি। লাভের কথা না ভেবে গোডাউন শেষ করছি।

বিজ্ঞাপন

শীতকালীন কম্বল নিতে এসেছেন শারমিন আক্তার নামে এক গৃহবধু । শীত নাই আবার কম্বলের দামও বেশি, তাই কম্বল না নিয়েই বাসায় ফিরে যাচ্ছেন । 

বিজ্ঞাপন

জানুয়ারি মাস এসে গেলেও এখনো পর্যন্ত শীত না পরায় হতাশ চট্টগ্রামের মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। তাদের ধারণা, সামনের দিনগুলিতে শীত পড়বে না। এবং সেক্ষেত্রে বেচা-বিক্রিও হবে না আশঙ্কা করছেন তারা।

এসজেড

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |