ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার সংক্রান্ত চিঠি নিয়ে বিভ্রান্তি
ইরাক থেকে মার্কিন সৈন্যদের সরে যাওয়ার খবর প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার। যদিও এর মধ্যে মার্কিন একজন জেনারেলের একটি চিঠি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল, কারণ ওই চিঠিতে বলা হয়েছিল যে মার্কিন সেনারা ইরাক ছাড়ছে। খবর বিবিসি বাংলার।
ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ইরাকি এমপিরা মার্কিনিদের ইরাক ছাড়ার আহবান জানানোর পর সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রকে তার সৈন্যদের অবস্থান পরিবর্তন করতে হবে। এই বিভ্রান্তি তৈরি হয় ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার পর মার্কিন সৈন্যদের উদ্দেশ্য করে দেয়া হুমকির মধ্যেই।
শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে তাকে হত্যা করা হয়, যা ওই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেয়। ইরানিরা এই হত্যাকাণ্ডের কঠিন প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার করেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ইরাকে মার্কিন ফোর্সের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উইলিয়াম এইচ সিলি এই চিঠিটি পাঠিয়েছেন। চিঠিটি তিনি পাঠিয়েছেন ইরাকে জয়েন্ট ফোর্সের ডেপুটি ডিরেক্টর আব্দুল আমিরের কাছে।
---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: ভেবো না বাবার মৃত্যুতে সব শেষ: ট্রাম্পকে সোলাইমানির মেয়ে
---------------------------------------------------------------
সেখানে বলা হয়, স্যার, ইরাকের সার্বভৌমত্ব এবং পার্লামেন্ট ও ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে কম্বাইন্ড জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স সামনের দিনগুলোতে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বাহিনীর অবস্থান নতুন করে সাজানো হবে।
চিঠিতে বলা হয়, ইরাকের বাইরে নিরাপদে যাওয়ার জন্য এয়ার ট্রাফিক বাড়ানোসহ কিছু পদক্ষেপ ‘ডার্কনেস আওয়ারে’ করা হবে। এছাড়া বাগদাদে গ্রিন জোনে নতুন কোয়ালিশন ফোর্স আনা হচ্ছে বলে যে ধারনা তৈরি হয়েছে সেটিও দূর করা হয় এই চিঠিতে।
এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের বলেন, ইরাক ছাড়ার কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। চিঠির বিষয়ে আমি জানি না। এটি কোথা থেকে এলো আমরা তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু ইরাক ছাড়ার কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। পরে চেয়ারম্যান অব দ্য জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ মার্ক মিলে বলেন চিঠিটি ছিল একটি ‘ভুল’।
এ
মন্তব্য করুন