রাহুলের ‘ডাণ্ডা’ মন্তব্য নিয়ে সংসদে বিজেপি-কংগ্রেস এমপিদের হাতাহাতি
রাহুল গান্ধীর ‘ডাণ্ডা’ মারা বিতর্কে লোকসভায় তুমুল হইচই হয়েছে। শুক্রবার এই ইস্যুতে হাতাহাতিতে জড়ালেন বিজেপি ও কংগ্রেস সাংসদরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষবর্ধন যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করার জন্য সমালোচনা করছিলেন, সেই সময় তার দিকে তেড়ে যান দুই কংগ্রেস সাংসদ। তখন এক বিজেপি সাংসদ তাদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। ঘটনায় তুমুল হট্টগোল শুরু হয় সংসদে। পরে সংসদের স্পিকার অধিবেশন দুপুর পর্যন্ত মুলতবি করে দেন।
সম্প্রতি রাহুল গান্ধী বেকারত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে বেকাররা প্রধানমন্ত্রীর পিঠে ডাণ্ডা মারবেন। বৃহস্পতিবারই রাহুল গান্ধীর কটাক্ষের পাল্টা জবাব দেন মোদি। সংসদে দাঁড়িয়ে নাম উল্লেখ না করে রাহুলকে ‘টিউবলাইট’ বলে কটাক্ষ করেন মোদি। একই সঙ্গে মোদি এও বলেন যে, সূর্য প্রণাম করে তিনি নিজের পিঠ এত শক্ত করবেন যাতে হাজার ডাণ্ডা খেলেও কিছু হবে না।
আজ শুক্রবার লোকসভায় রাহুলের মন্তব্যের সমালোচনা করে বলতে ওঠেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষবর্ধন। তখন বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরি এটির প্রতিবাদ করে বলেন, সংসদের বাইরের মন্তব্য নিয়ে এখানে আলোচনা করা যাবে না।
কিন্তু নিজের বক্তৃতা চালিয়ে যান হর্ষবর্ধন। সেইসময় কংগ্রেস সাংসদ মানিকম ঠাকুর ও হিবি ইডেন নিজেদের আসন থেকে উঠে আসেন। কার্যত দুজনে তেড়ে আসেন হর্ষবর্ধনের দিকে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পেছন থেকে বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ সরণ সিং মানিকমকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে কংগ্রেস সাংসদদের অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে থাকেন। হাতাহাতি বেঁধে যায় দুই পক্ষের মধ্যে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে গেলে সংসদের স্পিকার অধিবেশন দুপুর পর্যন্ত মুলতবি করে দেন।
এ
মন্তব্য করুন