দক্ষিণ চীন সাগরে দুই রণতরিসহ যুদ্ধজাহাজের বহর পাঠিয়েছে আমেরিকা
হংকংয় বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও ভারতের সাথে সীমান্ত বিরোধ উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মাঝে দাক্ষিণ চীন সাগরে দুটি বিমানবাহী রণতরিসহ যুদ্ধজাহাজের বহর পাঠাল ওয়াশিংটন।
শনিবার থেকে সেখানে সাম্প্রতিকালের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া হওয়ার কথা রয়েছে, সেজন্যই এই যুদ্ধজাহাজগুলো সেখানে পাঠানো হয়েছে বলে ওয়াশিংটন জানিয়েছে। তবে এই পদক্ষেপ এমন এক সময় নেওয়া হলো যখন ওই দক্ষিণ চীন সাগরেই বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালাচ্ছে চীন।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে আরও বলা হয়, মার্কিন নৌবাহিনী এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে, ইন্দো-প্যাসিফিক মুক্ত ও খোলা রাখতে দক্ষিণ চীন সাগরে অভিযান ও মহড়া পরিচালনা করতে যাচ্ছে ইউএসএস নিমিটজ ও ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান (দুটি বিমানবাহী রণতরি)।
তাদের সহযোগী হিসেবে আরও কিছু যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হচ্ছে। তবে দক্ষিণ চীন সাগরের ঠিক কোথায় ওই মহড়া অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি ওই বিবৃতিতে।
দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার বিস্তৃতি এলাকার প্রায় ৯০ ভাগই চীন নিজেদের বলে দাবি করে। তবে চীনের এই দাবির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে প্রতিবেশী দেশগুলো।
মার্কিন রিয়াল অ্যাডমিরাল জর্জ এম উইকফ জানিয়েছেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এমন দ্ব্যর্থহীন বার্তা আমাদের অংশীদার ও মিত্রদের কাছে দেয়ার জন্যই এই মহড়া।
চীন গত সপ্তাহে দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ প্যারাসেল আইসল্যান্ডের কাছে পাঁচ দিনের সামরিক মহড়া চালানোর ঘোষণা দেয়, যা গত বুধবার শুরু হয়েছে। প্যারাসেল আইল্যান্ডকে চীন ও ভিয়েতনাম উভয় দেশই নিজেদের বলে দাবি করে থাকে।
চীনের এ ঘোষণার পরপর মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন দাবি করে, এ ধরনের মহড়া স্থিতিশীলতা রক্ষা ও উত্তেজনা কমানোর বিপরীতমুখী পদক্ষেপ হবে। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি চীনের ওই মহড়ার সমালোচনা করে ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনও। এ দুটি দেশও বিরোধপূর্ণ সাগরের এলাকার দাবিদার।
এমকে
মন্তব্য করুন