ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানের ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনা বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে ব্যাপক শব্দে ওই এলাকা কেঁপে উঠে বলে দাবি করেছে ইরান।
শনিবার (২১ জুন) সকালে ইসফাহানে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। সেখানকার ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় এর বেশি কোনো তথ্য জানা সম্ভব হয়নি।
ইরানের ফারস সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনা ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। তবে কোনো বিপজ্জনক পদার্থের ভাণ্ডার ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। বর্তমান যুদ্ধের সময় ইসরায়েল পারমাণবিক স্থাপনাটিতে আগেও আক্রমণ করেছিল।
ইসরায়েলি সংবাদমাদ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলায় কোনো বিপজ্জনক পদার্থ ছড়িয়ে (লিকেজ) পড়েনি। এ ঘটনায় আইডিএফ কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে, ইরানের উত্তরাঞ্চলে ৫ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) বরাত দিয়ে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এএফপি ও ডেইলি এক্সপ্রেস।
তবে ইরানের প্রধান সংবাদমাধ্যমগুলোর কেউ ৫ দশমিক ২ মাত্রা, কেউবা ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। একই সময় ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় ও আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
এ বিষয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেটনিউজ ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিমের বেহমাই প্রদেশে ‘মাগার’ নামের একটি ইরানি বিমান প্রতিরক্ষা স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে।
এএফপি ও ডেইলি এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের কোম প্রদেশে অবস্থিত ফর্দো পারমাণবিক স্থাপনার কাছাকাছি এই ভূমিকম্প ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। একজন ইরানি ব্লগারের টেলিগ্রাম চ্যানেলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) হয়তো কোনো কিছু ‘পরীক্ষা’ করছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইরানের ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) গভীরে এবং ইরানের সেমনান শহর থেকে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার (২৩ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে সংঘটিত হয় ৫ দশমিক ১ মাত্রার।
ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, ইরানের কোম প্রদেশে অবস্থিত ফর্দো পারমাণবিক স্থাপনার কাছাকাছি ৫ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। তবে ইরানের তাসনিম বার্তা সংস্থা ভূমিকম্পের মাত্রা ৫ দশমিক ২ বলে জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পের প্রভাব রাজধানী তেহরান পর্যন্ত পৌঁছায়। ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল সেমনান শহর। এটি তেহরান থেকে প্রায় ১৪৫ মাইল পূর্বে। কম্পনের তীব্রতা হালকা ছিল এবং এ পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ভূমিকম্প ঘিরে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) হয়তো কোনো কিছু ‘পরীক্ষা’ করছিল বলে যে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে সেই দাবি এখনও নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম মিরর ইউএস।
আরটিভি/কেএইচ