মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ১ হাজার। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২,৩৭৬ জন। এ সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধ্বংস স্তূপের নিচে আটকে পড়াদের অতি দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব না হলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বরাতে এসব তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
মান্দালয়ের একটি উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে, ভারী সরঞ্জামের অভাবে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। কংক্রিটের স্তূপ যত সরানো হচ্ছে ততই জীবিত মানুষের সন্ধান মিলছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক। মৃত্যুর সংখ্যাও প্রতিনিয়ত বাড়ছে। নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাজধানী নেপিডোর ছবি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় রাস্তায় বড় আকারের ফাটল এবং ধসে পড়া ভবন।
মিয়ানমারের মান্দালয়ে অবস্থান করা উদ্ধারকারী দলের একজন সদস্য বিবিসিকে বলেন, উদ্ধার প্রচেষ্টা চলমান থাকায় আমরা এখন এটুকুই বলতে পারি যে প্রাণহানি ভয়াবহ।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ ও গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) এর নিজস্ব ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমারে যে মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে, তাতে আমরা ধারণা করছি, দেশটির বিস্তৃত অংশজুড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ও এক হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
মিয়ানমারে শুক্রবার দুপুরে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় শহর সাগাইংয়ে ভূপৃষ্ঠের ১৬ কিলোমিটার গভীরে ভূকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল।
আরটিভি/এএইচ/এস