• ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১
logo
গাজার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলো যেভাবে
গাজা পুনর্গঠনে সময় লাগবে ৪০ বছর, প্রয়োজন ৮০ বিলিয়ন ডলারের বেশি
টানা ১৫ মাস ধরে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজার বাড়িঘর ও অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে ৪০ বছর সময় লাগতে পারে। সেই সঙ্গে এসব পুনর্নির্মাণে ৮০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় হতে পারে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ত্রাণ সংস্থাগুলো এমনটাই জানিয়েছে। আরব নিউজের প্রতিবেদন বলছে, এই যুদ্ধ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। বড় বড় রাস্তা উপড়ে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ পানি ও বিদ্যুতের অবকাঠামো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বেশির ভাগ হাসপাতাল এখন অকেজো। তবে ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ পরিমাণ কেবল তখনই জানা যাবে, যখন রোববার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে এবং পরিদর্শকরা সেখানে ঢুকে সার্ভে করতে পাববেন। স্যাটেলাইট তথ্য ব্যবহার করে জাতিসংঘ অনুমান করেছে, গাজার ৭০ শতাংশ কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর। কিছু পুনর্নির্মাণ করার আগে, ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করতে হবে। যুদ্ধে গাজায় পাঁচ কোটি টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ ছড়িয়ে পড়েছে। শতাধিক ট্রাক সার্বক্ষণিক কাজ করলে এটি পরিষ্কার করতে ১৫ বছর সময় লাগবে। নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের নেতৃত্বে ত্রাণ সরবরাহকারীদের একটি আন্তর্জাতিক জোট শেল্টার ক্লাস্টার জানিয়েছে, গাজায় সহায়তার প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে স্বাস্থ্য খাত। সেখানে ৮০ শতাংশেরও বেশি স্বাস্থ্য সুবিধা ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। আরটিভি/এআর
যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩০
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল জাপান, সুনামির সতর্কতা জারি
গাজার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে ইসরায়েল, মালালার ক্ষোভ 
তিব্বতে ভূমিকম্পে প্রাণহানি বেড়ে ১২৬
চীনের তিব্বত অঞ্চলে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জনে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে, যার ফলে পার্বত্য অঞ্চলটি জুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটে। খবর রয়টার্সের। চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টারের (সিইএনসি) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল প্রতিবেশী দেশ নেপালের সীমান্তবর্তী তিব্বতের ডিংরি কাউন্টি। সিইএনসি জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। তবে, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। এ ভূমিকম্পের প্রভাবে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে প্রবল কম্পন অনুভূত হয়। এ ছাড়া ভারতের বিভিন্ন অংশেও ভূকম্পনের তথ্য পাওয়া গেছে। ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশেও।  এদিকে তিব্বতের স্থানীয় প্রশাসন বলছে, ১২৬ জনের প্রাণহানি ছাড়াও ভূমিকম্পে আহতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছে এবং বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধারে এখনও কাজ চলছে। তবে, দুর্গম এলাকা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে বেশ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। ভূমিকম্পে দুর্গম অঞ্চলটির অসংখ্য বাড়িঘর ধসে পড়েছে এবং সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিধ্বস্ত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণশিবির স্থাপন করা হয়েছে। চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও। আরটিভি/এসএইচএম-টি
মারা গেলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি তোমিকো ইতুকা মারা গেছেন। জাপানী এই নারীর বয়স হয়েছিল ১১৬ বছর। তিনি দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে আশিয়া শহরে বসবাস করতেন। শনিবার (৪ জানুয়ারি) তার মৃত্যুর খবর জানিয়েছে শহরের মেয়র রিওসুকে তাকাশিমা। এক বিবৃতিতে মেয়র রিওসুকে তাকাশিমা বলেছেন, গত ২৯ ডিসেম্বর আশিয়া শহরের একটি নার্সিং হোমে মৃত্যু হয় তোমিকো ইতোকার। ২০১৯ সাল থেকে সেখানে বসবাস করছিলেন তিনি। তোমিকোর চার সন্তান ও পাঁচজন নাতি–নাতনি রয়েছেন। তোমিকো ইতোকার জন্ম আশিয়ার কাছে জাপানের বাণিজ্যিক শহর ওসাকায়, ১৯০৮ সালের ২৩ মে।  তোমিকোরা দুই ভাইবোন ছিলেন। তোমিকো খুব ভালো ভলিবল খেলতেন এবং ৩ হাজার ৬৭ মিটার উঁচু মাউন্ট ওন্টেকে দু’বার আরোহণ করেন। তিনি ২০ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন এবং গিনেস অনুসারে তার দুই মেয়ে এবং দুই ছেলে ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়  তার স্বামীর টেক্সটাইল কারখানার অফিস দেখভাল করতেন। ১৯৭৯ সালে তার স্বামী মারা যাওয়ার পর জাপানের নারা শহরে একা থাকতেন ইতুকা। মেয়র রিওসুকে তাকাশিমার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের আগস্টে ১১৭ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তৎকালীন সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি স্পেনের মারিয়া ব্রানিয়াস মোরেরার। তারপর বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি পান তোমিকো। তিনি দুটি বিশ্বযুদ্ধ, বিভিন্ন মহামারি এবং যুগান্তকারী সব প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা পেয়েছেন। এই দিনে জাপানে সরকারি ছুটি থাকে যা দেশের বয়স্ক নাগরিকদের সম্মান জানাতে প্রতিবছর উদযাপিত হয়। মেয়র বলেন, নিজের দীর্ঘ জীবনজুড়ে তোমিকো ইতোকা আমাদের সাহস ও আশাবাদ জুগিয়েছেন। এর জন্য তাকে ধন্যবাদ।
ভারতের ভূখণ্ড নিয়ে নতুন দুই প্রশাসনিক অঞ্চল ঘোষণা চীনের!
চীনের উইঘুর মুসলিম অধ্যুষিত শিনজিয়াং প্রদেশে আরও দুটি নতুন প্রশাসনিক অঞ্চল (কাউন্টি) ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। তবে, পার্শ্ববর্তী ভারতের দাবি, নতুন এই দুই অঞ্চলে তাদের লাদাখের ভূখণ্ডের কিছু অংশও যোগ করে নিয়েছে চীন। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে বেইজিংয়ের কাছে আপত্তি ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নয়াদিল্লি।  শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৭ ডিসেম্বর চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া উত্তর-পশ্চিম চীনের শিনজিয়াংয়ে এই দুটি কাউন্টি প্রতিষ্ঠার কথা জানায়। তাদের খবরে বলা হয়, শিনজিয়াংয়ের সরকার হোটান প্রিফেকচারের অধীনে হে’আন কাউন্টি এবং হেকাং কাউন্টি নামে দুটি নতুন কাউন্টি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি এবং রাষ্ট্র পরিষদ এই দুটি নতুন কাউন্টি অনুমোদন করেছে, যা হোটান প্রিফেকচারের অধীনে পরিচালিত হবে। তবে, শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, এই তথাকথিত কাউন্টির কিছু অংশ লাদাখের ভেতরে পড়ে এবং ভারত কখনই এই এলাকায় চীনের অবৈধ দখলদারিকে স্বীকৃতি দেয়নি। তিনি বলেন, আমরা হোটান প্রিফেকচারের অধীনে দুটি নতুন কাউন্টি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেখেছি। তথাকথিত এই কাউন্টিগুলোর কিছু অংশ ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের ভেতরে পড়ে। আমরা কখনো এই এলাকায় চীনের অবৈধ দখলদারি স্বীকার করিনি। রণধীর জয়সওয়াল আরও বলেন, নতুন কাউন্টি তৈরির বিষয়টি এই এলাকায় ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের ও ধারাবাহিক অবস্থানের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। চীনের অবৈধ ও জোরপূর্বক দখলকে ভারত বৈধতা দেবে না। আমরা চীনা পক্ষের কাছে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছি। সম্প্রতি দীর্ঘদিনের আলোচনার পরে ভারত ও চীনের মধ্যে একটি সীমান্ত জটিলতার সমাধান হয়। ফলস্বরূপ, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দুদেশই নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু, সবশেষ এমন ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়টি আবারও নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আরটিভি/এসএইচএম  
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তার করতে বাসভবনে পুলিশ
সিওলে দক্ষিণ কোরিয়ার ইমপিচড বা অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে গ্রেপ্তার করার জন্য তার বাসভবনে গেছেন তদন্তকারীরা। সঙ্গে প্রচুর পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তা। কিন্তু তাদের প্রবল বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। প্রথমে তাদের প্রেসিডেন্টের বাসভবন চত্বরের মধ্যে নিযুক্ত সেনা ইউনিট বাধা দেয়। সেই বাধা পার হওয়ার পর তারা প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তারক্ষীদের বাধার মুখে পড়েন। তদন্তকারীদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ইওলের আইনজীবী বলেছেন, আইন মেনে এই কাজ হচ্ছে না। তারা আবার আদালতের দ্বারস্থ হবেন। আইনজীবী ইউন কাপ-কেউন আরও বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যেভাবে কার্যকর করতে চাওয়া হয়েছে তা বেআইনি। এর বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। এ ছাড়া প্রেসিডেন্টের কয়েক শ’ সমর্থকও বাসভবনের সামনে তদন্তকারীদের বাধা দেয়। আদালতের নির্দেশে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা গত মঙ্গলবার সিওলের আদালত এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। বারবার বলা সত্ত্বেও ইওল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্তকারীদের মুখোমুখি হচ্ছিলেন না বা তার অফিসে তল্লাশিও চালাতে দিচ্ছিলেন না। তারপর এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ইওল যে গত ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় স্বল্পকালের জন্য সামরিক আইন জারি করেছিলেন, তা বিদ্রোহ কি না তা তদন্ত করে দেখছে তদন্তকারী দল। গ্রেপ্তার করা হলে তিনিই হবেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট, যাকে এইভাবে গ্রেপ্তার করা হলো। ইওলের সমর্থকরা প্রতিবাদ করছেন। তার সমর্থকরা বৃহস্পতিবার তার বাসভবনের সামনে চলে আসেন। তারা সারারাত সেখানেই ছিলেন। তারা স্লোগান দেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অবৈধ। প্রেসিডেন্ট তার সমর্থকদের বলেন, আমি শেষপর্যন্ত লড়াই করে যাব। এই দেশকে বাঁচানোর জন্য আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তারক্ষীরা আগের মতোই তাকে সুরক্ষা দিচ্ছে। এর আগেও পুলিশের তার বাড়িতে তল্লাশি করতে চেয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীদের বাধায় তা সম্ভব হয়নি। আরটিভি/এএইচ/এস
ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত
নতুন বছরের প্রথম দিনে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছেন। এদিকে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজা উপত্যকায় নিহতের মোট সংখ্যা ৪৫ হাজার ৫৫০ ছাড়িয়ে গেছে। চলমান বর্বর এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি। বুধবার (১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথম দিনে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে মেডিকেল সূত্রগুলোর বরাতে জানা গেছে।  উত্তরাঞ্চলীয় শহর জাবালিয়ায় একটি বাড়িতে বিমান হামলায় ১৫ জন মারা গেছেন। একই ঘটনায় শিশুসহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।  প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের হামলায় ৪৫ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া, ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের আবাসস্থল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।   আরটিভি/এআর-টি
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দেশটির সিউল ওয়েস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্তের দায়িত্বে থাকা দ্য করাপশন ইনভেস্টিগেশন অফিস ফর দ্য হাই-র‌্যাঙ্কিং অফিশিয়ালস (সিআইও) নিশ্চিত করেছে, সামরিক আইন জারিকে কেন্দ্র করে তদন্তকারীদের অনুরোধে প্রেসিডেন্ট ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে সিউল ওয়েস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট।   স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক ইতিহাসে এই প্রথম কোনো প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলো।   প্রসঙ্গত, ৩ ডিসেম্বর দেশে সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইউন। কিন্তু জনগণ এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানালে সামরিক আইন জারির ছয় ঘণ্টার মাথায় তা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। এর জেরে ১৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে তিনি অভিশংসিত হন। তাকে বরখাস্ত করা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ১৮১ আরোহীর মধ্যে ১৭৯ জন নিহত
দক্ষিণ কোরিয়ার বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়েতে ছিটকে পড়ে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটিতে থাকা ১৮১ আরোহীর মধ্যে ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ভোরে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, এদিন ভোরে দুর্ঘটনার সময় জেজু এয়ারের বিমানটিতে ১৭৫ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু ছিলেন। এটি থাইল্যান্ড থেকে এসে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ছিটকে পড়ে বিধ্বস্ত হয়। তাদের মধ্যে মাত্র দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। তাদরে মধ্যে একজন যাত্রী ও একজন ক্রু সদস্য। বাকি ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের প্রধানের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলের আগুন নেভানো হয়েছে। এছাড়া বিমানের পেছনের অংশ থেকে দুই ক্রু সদস্যকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছে।  দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়নহাপ জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করার সময় ‘পাখির সাথে সংঘর্ষের ফলে ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটির কারণে’ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। উদ্ধার হওয়া দুইজন ছাড়া উড়োজাহাজটির সব যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বিধ্বস্ত বিমানটির পেছনের অংশে উদ্ধারকাজ করে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বিমানটির বিভিন্ন অংশে আগুন জ্বলতে ও ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং মকের দপ্তর জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট যথাযথভাবে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন। গত শুক্রবার চোই সাং মক দেশের অন্তর্বর্তী নেতা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। আরটিভি/এসএপি