মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষণে ক্ষণে আনন্দ-বেদনা বয়ে বেড়ায়। কেউ নিজের আনন্দ প্রকাশে বিভিন্ন মাধ্যম বেছে নেন। আবার অনেকে মনের কোণে লুকিয়ে রাখা বেদনা জমাতে জমাতে ভুল পথ বেছে নেন। অনেকে শত কষ্ট ও বেদনা সামলিয়ে জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ঠিক তেমনি একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতের গুজরাটের আমদাবাদের সবরমতী নদীর ওপর ব্রিজে।
আরও পড়ুন : স্ত্রী পালিয়েছে, খোঁজ দিলেই ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার
একটি মেয়ে নিজের জীবন শেষ করতে ভিডিও করছেন হাসিমুখে। হাসির পেছনে লুকিয়ে রাখা কষ্ট যেন কেউ বুঝতে পারেন না। তাইতো মেয়টি বলছেন ‘যে সিদ্ধান্ত আমি নিতে যাচ্ছি, এর জন্য কেউ আমাকে চাপ দেয়নি। বুঝলাম আল্লাহ আমাকে ছোট্ট জীবনই দিয়েছেন। বাবা, তুমি আর কত লড়বে? মামলা তুলে নাও। যে স্বাধীনতা চায়, তাকে মুক্ত করে দাও। আমি আমার জীবন শেষ করতে চলেছি। আল্লাহর সঙ্গে দেখা হবে ভেবে আমি খুশি। দেখা হলে তাকে জিজ্ঞাসা করব, আমি কী ভুল করেছি? আমার দোষ কী? এই সুন্দর একলা নদীর কাছে আমার অনুরোধ, আমাকে যেন এই নদী নিজের মধ্যে প্রবেশ করতে দেয়। আমি হাওয়ার মতো উড়ে যেতে চাই। ভেসে যেতে চাই।’
আরও পড়ুন : ১৮ ঘণ্টায় ২৫ কি.মি. রাস্তা নির্মাণ করে বিশ্বরেকর্ড
কথাগুলো আয়েশার। আত্মহত্যা আগে একটি ভিডিও’র মাধ্যমে বলে গেছেন তিনি। কথাগুলোর বলার সময় আয়েশার মুখে কোনও গ্লানি ছিল না, বরং হাসতে হাসতেই মৃত্যুর পথ বেছে নেন তিনি।
আয়েশার ভিডিওটি সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে এখন ভাইরাল। তার মৃত্যুর কারণ যৌতুক। নিজের ইচ্ছাতেই জীবন শেষ করছেন বলে আয়েশা জানালেও তার বাবার অভিযোগ, যৌতুকের জন্য শ্বশুরবাড়িতে প্রতিনিয়ত ঝামেলার জেরেই আত্মহত্যা করেছেন তার মেয়ে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করা শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন : প্রায় শতাধিক ব্যবসায়ী মিলে মাছটি কিনলো
এফএ