ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে ২৪৪ জন আরোহী নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ২টা ২৫ মিনিটে আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছাকাছি মেঘানিনগর আবাসিক এলাকায় দুর্ঘনাটি ঘটে।
বিধ্বস্ত বিমানটিতে যাত্রীদের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। বিমানটিতে ১৬৯ ভারতীয়, ৫৩ জন যুক্তরাজ্যের নাগরিক, একজন কানাডা ও সাতজন পর্তুগালের নাগরিক ছিলেন বলে জানিয়েছে বিমান পরিবহন সংস্থাটি।
অন্যদিকে, বিমানটির পাইলটদের তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রক ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন বা ডিজিসিএ।
ডিজিসিএকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বিমানটির পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল একজন এলটিসি (লাইন ট্রেনিং ক্যাপ্টেন, অর্থাৎ তিনি অন্য পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিতেন) ছিলেন। তার ৮ হাজার ২০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল। কো-পাইলটের ১ হাজার ১০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল।
জানা গেছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে পাইলটরা ‘মেডে কল’ নামে একটি জরুরি সংকেত পাঠান, যা সাধারণত বিপদের সময় পাঠানো হয়। কিন্তু এরপর আর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানিয়েছে ভারতের বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ ফ্লাইটটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। কিন্তু, উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়ে যায় বোয়িং ৭৮৭-৮ কুইকজেট সিরিজের ফ্লাইটটি।
ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় কতজন হতাহত হয়েছেন, তাৎক্ষণিকভাবে তা এখনও জানা যায়নি। তবে, বহু প্রাণহানির শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করতে ইতোমধ্যে গান্ধীনগর থেকে ৯০ জন কর্মীর তিনটি দলকে দুর্ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এনডিআরএফ)। ভাদোদরা থেকেও আরও তিনটি দল যাচ্ছে উদ্ধার অভিযানে।
এদিকে দুর্ঘটনার ব্যাপারে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একইসঙ্গে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। সূত্র: বিবিসি
আরটিভি/আরএ