• ঢাকা বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১
logo
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হচ্ছে ১৮ হাজার ভারতীয় নাগরিককে  
চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যা: সঞ্জয় রায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড 
কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ৩৩ বছর বয়সী সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত।  সোমবার (২০ জানুয়ারি) শিয়ালদহের একটি আদালত তাকে এই দণ্ড দেন। কলকাতা পুলিশের সাবেক নাগরিক স্বেচ্ছাসেবক সঞ্জয় রায়কে এদিন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে আদালতে আনা হয়। খবর এনডিটিভির। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিয়ালদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস সাজা ঘোষণা করার আগে সঞ্জয় রায়ের বক্তব্য শোনেন। ১৬০ পৃষ্ঠার রায়ে সিয়ালদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ড এবং মৃত্যু ঘটানোর সঙ্গে সম্পর্কিত ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা অনুযায়ী রায় ঘোষণা করে। রায় ঘোষণার পরে, ভুক্তভোগীর বাবা আদালতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং বিচারককে বলেন, 'আপনি আমার বিশ্বাসের প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দিয়েছেন।'  শনিবার বিকেলে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে আদালতে আনা হয় সঞ্জয় রায়কে। সেখানে তিনি বারবার দাবি করেন, তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, যদিও তার আইনজীবীরা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।    এর আগে, আরজি কর মামলায় মোট ৫০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় নিম্ন আদালতে। সেই তালিকায় রয়েছেন নিহত চিকিৎসকের বাবা, সিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা, কলকাতা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং নিহতের কয়েকজন সহপাঠী। গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে। ওই দিন ভোরে কলকাতা পুলিশ সঞ্জয় রায়কে কলকাতার সল্টলেকের পুলিশের ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাক থেকে গ্রেপ্তার করে।এই ধর্ষণ ও খুনের কথা প্রকাশ্যে এলে রাজ্যজুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদের ঝড়। যা রাজ্য ছাপিয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আরটিভি/এআর
স্পিকারকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা, দাবি দ্য হিন্দুর
আরজি কর ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ড / একমাত্র সঞ্জয়ই দোষী, সাজা ঘোষণা সোমবার  
রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে ১২ ভারতীয় নিহত
দুই দেশের জনগণের জন্য কল্যাণকর সম্পর্ক চায় ভারত: রণধীর
বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন দেখতে চায় দিল্লি-ওয়াশিংটন: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
ভারতে মার্কিন বিদায়ী রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি বলেছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত দেখতে চায় দিল্লি-ওয়াশিংটন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ভারতের একটি টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে আমেরিকা ও ভারতের ভূমিকা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। এরিক গারসেটি বলেন, ‘আমরা দুই রাষ্ট্রই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রতিষ্ঠিত দেখতে চাই। এটি বাংলাদেশকে তার পরবর্তী অধ্যায় খুলতে সাহায্য করতে পারে।’ ‘ভারত ও মার্কিন সম্পর্কের জন্য বাংলাদেশ সম্ভবত একটি সমস্যা ছিল। শেখ হাসিনা সরকারের পতন ভারতের জন্য একটি ধাক্কা হিসেবে দেখা হয়। বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর উত্থানের পাশাপাশি চীনাদের দৌড়ঝাঁপ বেড়েছে। এসব বিষয় আপনারা কীভাবে দেখছেন?’  এসব প্রশ্নের জবাবে বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত সাংবাদিক সিদ্ধান্ত সিবালকে বলেন, ‘আমেরিকা-ভারত একটি শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক দক্ষিণ এশিয়া দেখতে চায়। আমরা সেই নীতিগুলো ভাগ করি। আমরা এটি একসঙ্গে সমন্বয় করছি। আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, বাংলাদেশ হোক বা যেকোনো দেশ, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করা উচিত নয় এবং আমি মনে করি আমাদের একটি সুযোগ আছে। আমরা দুই রাষ্ট্রই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রতিষ্ঠিত দেখতে চাই। এটি বাংলাদেশকে তার পরবর্তী অধ্যায় খুলতে সাহায্য করতে পারে। এটি অতীত সম্পর্কে নয়, আমরা একসঙ্গে কী করতে পারি তা নিয়ে।’ আরটিভি/এসএপি-টি
বাংলাদেশের উপরাষ্ট্রদূতকে যে কারণে তলব করেছে ভারত
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) অবৈধভাবে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ঘিরে ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারকে তলব করেছিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মুখপাত্র রফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলবের পরিপ্রেক্ষিতে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারকে ভারতের পরারষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডেকেছিল। ডেপুটি হাইকমিশনার বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানান।’ ভারতে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোন স্ট্যাটাসে আছেন? প্রশ্নের জবাবে রফিকুল আলম বলেন, ‘শেখ হাসিনা ভারতে কোন স্ট্যাটাসে আছেন কিংবা সে দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন কি না, সে বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জানা নেই।’ আগামী ২১ থেকে ২৪ জানুয়ারি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে অংশ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সুইজারল্যান্ড সফর করবেন বলে জানান তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, ঢাকা-দিল্লি দ্বিপক্ষীয় সব চুক্তি ভারতের ওয়েবসাইটে আছে, আমলাতান্ত্রিক অদক্ষতায় বাংলাদেশে এটা প্রকাশিত হয়নি। আরিটিভি/এসএপি  
ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সৌদির
ভারতীয় কর্মীদের ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে নতুন শর্ত দিয়েছে সৌদি আরব। এখন থেকে যেসব ভারতীয় সৌদিতে যেতে চান তাদের পেশা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রমাণে প্রাক-যাচাইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সৌদিতে অবস্থিত ভারতীয় মিশন এ তথ্য জানিয়েছে। যা আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। সার্কুলারে বলা হয়েছে, কাজের ভিসার ক্ষেত্রে পেশা যাচাইয়ের বিষয়টি অত্যাবশ্যকীয় করা হয়েছে। অর্থাৎ ভিসা পাওয়ার আগে তাদের পেশাগত দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সৌদিতে সর্বোচ্চ প্রবাসী কর্মী আছে বাংলাদেশের। দ্বিতীয় অবস্থানেই ভারত। সবমিলিয়ে সৌদিতে বর্তমানে অবস্থান করছেন প্রায় ২৭ লাখ বাংলাদেশি। অপরদিকে ভারতীয় আছেন ২৪ লাখ। যার প্রায় ১৭ লাখ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। আর বাকি ৭ লাখ ৮৫ হাজার গৃহকর্মীর কাজে নিয়োজিত আছেন। ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপের বিষয়টি ছয় মাস আগে প্রস্তাব করা হয়। সৌদি মূলত ভারতীয়দের সংখ্যা কমাতে চায়। কারণ পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভাবে দেশটি থেকে যেসব কর্মী যান তারা ততটা প্রশিক্ষিত থাকেন না। সৌদির শ্রমবাজারে ভারতীয় কর্মীরা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, দেশটিতে পর্যাপ্ত টেস্ট সেন্টার নেই। যেখানে তাদের কাজের দক্ষতা পরিমাপ করা যায়। ভিশন-২০৩০ অনুযায়ী সৌদি তাদের দেশে দক্ষ কর্মী নিয়ে যেতে চায়। এ ছাড়া নিয়োগের বিষয়টিও উন্নীত করা লক্ষ্য তাদের। যেন ভালো এবং দক্ষরা দেশটিতে কাজ করতে আসার আগ্রহ দেখান। আরটিভি/একে
চুক্তি মেনেই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হচ্ছে: ভারত
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার সব ধরনের প্রটোকল ও চুক্তি মেনেই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।  সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. নূরুল ইসলামকে তলব করে এ কথা জানিয়েছে নয়াদিল্লি। এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সীমান্তে বেড়া স্থাপনসহ নিরাপত্তাব্যবস্থার ক্ষেত্রে দেশটি দুই সরকার এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মধ্যকার সব ধরনের প্রটোকল ও চুক্তি মেনে চলছে। দেশটি সীমান্তের অপরাধমূলক কার্যকলাপ, চোরাচালান, অপরাধীদের চলাচল ও পাচারের চ্যালেঞ্জ কার্যকরভাবে মোকাবেলা করে অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।  তারা জানায়, সীমান্ত সুরক্ষিত করতে কাঁটাতারের বেড়া, সীমান্তে আলোকসজ্জা, প্রযুক্তিগত ডিভাইস ও গবাদি পশুর চলাচল রোধে বেড়া স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  ভারত আশা প্রকাশ করে জানায়, বাংলাদেশ সরকার দেশটির সঙ্গে করা আগের সব সমঝোতা বাস্তবায়ন করবে এবং আন্ত সীমান্ত অপরাধ মোকাবেলায় সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করবে। আরটিভি/এসএপি  
প্রতিবেশীদের মধ্যে বিদ্বেষ ভালো ফল আনবে না: ভারতীয় সেনাপ্রধান
প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়ে ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন, এই সম্পর্কে বিদ্বেষ কোনো পক্ষের জন্যই ভালো ফল আনবে না। এ ছাড়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ভারতীয় সেনাবাহিনীর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী। দেশটির খুব ছোট্ট একটি অংশ ছাড়া পুরো সীমান্তজুড়েই রয়েছে ভারত। আমাদের সবসময় একসঙ্গেই থাকতে হবে। একে অপরকে বুঝতেও হবে। এমন কোনো কিছু করা উচিত না, যাতে আমাদের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ হল আরেকটি দেশ, যাদের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত আছে। আপনারা যদি দেখেন, দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ছোট একটা অংশ, সেটা আদতে পুরোটাই ভারত। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের সময় বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে কথা হয়েছিল। সবশেষ বাংলাদেশ সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে গত বছরের ২৪ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সে যোগাযোগ হয়েছে। ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেন, দুই দেশের সেনাবাহিনী পর্যায়ে সম্পর্কে কোনো সমস্যা নেই। আর রাষ্ট্রীয় সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করা যাবে তখনই, যখন ‘নির্বাচিত সরকার’ থাকবে। তিনি বলেন, বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে যদি বলতে হয়, সেটা আগের মতই চলছে। আমাদের অফিসাররা সেখানে এনডিসিতে যোগ দিয়েছেন। ওই পক্ষ থেকেও কোনো সমস্যা নেই। তিনি আরও বলেন, শুধু একটা বিষয়, যৌথ মহড়া যেটা হত, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে সেটা সাময়িকভাবে স্থগিত আছে। যখনই পরিস্থিতির উন্নতি হবে, আমাদের মহড়াও হবে। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে আরটিভি/এফএ
শেখ হাসিনাকে প্রয়োজনে আমৃত্যু ভারতে থাকতে দেওয়া উচিত: কংগ্রেস নেতা
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রয়োজনে আমৃত্যু ভারতে থাকতে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা মণি শংকর আইয়ার।  ভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেছেন বলে রোববার (১২ জানুয়ারি) নিজেদের প্রতিবেদনে নিশ্চিত করেছে দ্য ইকোনমিক টাইমস।   সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনার প্রশংসা করে মণি শংকর আইয়ার বলেন, আমি বিশ্বাস করি, শেখ হাসিনা আমাদের জন্য অনেক ভালো কাজ করেছেন। আমি খুশি যে তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। যত দিন তিনি থাকতে চান, আমাদের তাকে অতিথি হিসেবে রাখা উচিত। এমনকি সারাজীবনের জন্য হলেও এটা আমাদের করা উচিত।  এ সময় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার তাগিদ দিয়ে ভারতের সাবেক এ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, গত মাসে (ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি ঢাকায় গিয়ে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। বিষয়টি খুবই ইতিবাচক। এই আলোচনা অব্যাহত রাখা দরকার এবং ভারতের উচিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সরাসরি মন্ত্রী পর্যায়ে যোগাযোগ স্থাপন করা। উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেন ৭৭ বছর বয়সী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি।  আরটিভি/এসএইচএম/এআর
বিনিয়োগকারী হারাচ্ছে ভারত, ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে রুপির দর
আরও দর কমে ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে ভারতীয় মুদ্রা রুপির মান। প্রতি ডলারের বিপরীতে ৮৫ দশমিক ৯৭ রুপি পাওয়া যাচ্ছে। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। প্রতিবেদনে মার্কিন ডলার শক্তিশালী এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার থেকে অর্থ তুলে নেওয়া, বিদেশে অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ পুঁজিবাজারে নেতিবাচক মনোভাবকে ভারতীয় রুপির দর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে। দেশটির বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুপির দর কমাতে ভারতের পুঁজিবাজার মহাসংকটে পড়েছে। একই সঙ্গে শেয়ারবাজারেরও পতন হচ্ছে লাগাতার। শুক্রবার সেনসেক্স ২৪১ দশমিক ২০ পয়েন্ট পড়ে ৭৬ হাজারের দোরগোড়ায় চলে এসেছে; ৭৭ হাজার ৩৭৮ দশমিক ৯১ অঙ্কে গিয়ে নেমেছে। গত তিন দিনে সূচকটি পড়েছে মোট ৮২০ পয়েন্ট। বাজারের মূলধন কমেছে ১২ লাখ কোটি রুপি। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মোট ১২ হাজার ৭৮৭ দশমিক ৭৩ কোটি রুপি পুঁজি তুলে নিয়েছে। রুপির অবমূল্যায়নের অন্যতম কারণ এটিই। আরটিভি/এসএপি