• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আজ ভোটগ্রহণ শুরু 
বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আজ শুক্রবার থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হচ্ছে। দেশটির প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার সাত দফায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পছন্দের জনপ্রতিনিধিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। নির্বাচন কমিশনও এরই মধ্যে শেষ করেছে ভোটের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। প্রথম দফায় আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ১০২টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর দুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি রয়েছে। প্রথম দফা ভোটে প্রার্থীর সংখ্যাও ছাড়িয়েছে আড়াই হাজারের বেশি। এই তালিকায় আছে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি কেন্দ্র। ২০১৯ সালে উত্তরবঙ্গের ওই তিন কেন্দ্রসহ মোট ৪৫টিতে জিতেছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। লোকসভার পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশের ৬০ এবং সিকিমের ৩২টি বিধানসভা আসনের সবকটিতেই ভোটগ্রহণ হবে এই দফায়। আজ প্রথম দফায় অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর এবং মেঘালয়ের দুটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে। একটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে ছত্তীসগঢ়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, আন্দামান ও নিকোবর, জম্মু ও কাশ্মীর, লক্ষদ্বীপ এবং পন্ডিচেরি। মণিপুরে মোট দুটি লোকসভা আসন। ইনার মণিপুর এবং আউটার মণিপুর। তবে নির্বাচন কমিশন আউটার মণিপুরকে ভাগ করে দুই দফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ আউটার মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর এবং চান্দেল জেলার ১৫টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। বাকি ১৩টিতে দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে ২৬ এপ্রিল। পাশাপাশি বিহারের চার, উত্তরাখণ্ড এবং মহারাষ্ট্রের ছয়, উত্তরপ্রদেশের আট আসন, রাজস্থানের ১২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এই দফায় সবচেয়ে বেশি ভোটগ্রহণ হচ্ছে তামিলনাড়ুতে। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে ৩৯টি লোকসভা আসনের সবগুলিতেই ভোটগ্রহণ হবে প্রথম দফায়। মণিপুরের পাশাপাশি ছত্তীসগঢ়ের মাওবাদী উপদ্রুত অঞ্চলেও ভোটের দিন নাশকতার আশঙ্কায় বিপুল পরিমাণ নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। ভারতের নির্বাচন কমিশনের হিসাব বলছে, এবার নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ৯৬ কোটি ৮৮ লাখ। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছেন ৪৭ কোটি ১০ লাখ, আর পুরুষ ভোটার ৪৯ কোটি ৭০ লাখ। ৪৮ হাজার ট্রান্সজেন্ডার ভোটার ছাড়াও এবার শতবর্ষী ভোটারের সংখ্যা ২ লাখেরও বেশি। একই সঙ্গে ৮৫ বছরের বেশি ভোট দাতার সংখ্যাও প্রায় ৮২ লাখ। দেশজুড়ে এবার ২ হাজার ৬৬৬টি নথিভুক্ত রাজনৈতিক দল লোকসভায় ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে বিজেপি, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বহুজন সমাজবাদি পার্টির মতো জাতীয় রাজনৈতিক দল যেমন রয়েছে, তেমনই মমতার তৃণমূল, লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মতো শক্তিশালী প্রাদেশিক দলও রয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত
তীব্র গরমে পশ্চিমবঙ্গে সরকারি স্কুল বন্ধ ঘোষণা
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে শুক্রবার থেকে ভোটগ্রহণ
চালকবিহীন মেট্রোরেল চালু হলো কলকাতায়
ভারতে মাওবাদী নেতাসহ নিহত ২৯
ভারতের ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা শঙ্কর রাওসহ ২৯ মাওবাদী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত তিন নিরাপত্তারক্ষী। নিহত মাওবাদীদের শীর্ষ নেতার মাথার দাম ছিল ৩২ লাখ টাকা। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি খবরে বলে, মঙ্গলবার বিকালে কাঙ্কের জেলায় ছত্তিশগড় পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর যৌথবাহিনী অভিযান চালায়। বিএসএফের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে ছত্তিশগড়ের ছোটেবেটিয়া থানার কালপার জঙ্গলে যৌথ অভিযান চালায় ডিআরজি ও বিএসএফ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে সাতটি একে-৪৭, তিনটি লাইট মেশিন গানসহ বিপুল অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আগামী ১৯ এপ্রিলে ভারতে লোকসভা ভোট অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিতে ৬০ হাজারের বেশি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ছত্তিশগড়ে হয়েছে এ সংঘর্ষ। গত মাসেও ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক মাওবাদী নিহত হন। সেসময় নিহত হন এক নিরাপত্তারক্ষীও। ঘটনাস্থল থেকে তখন বিস্ফোরকসহ বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতেও কাঙ্কেরে আরেকটি এনকাউন্টারে তিন মাওবাদী নিহত হন। ২০০৮ সালে ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের দমনের জন্য গঠন করা হয়েছিল ডিআরজি।
ফ্লাইওভার থেকে ৫০ যাত্রী নিয়ে পড়ে গেল বাস, নিহত ৫ 
ভারতের উড়িষ্যায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফ্লাইওভার থেকে নিচে পড়ে গেছে একটি বাস। এতে এক নারীসহ পাঁচজন জন নিহত হয়েছেন। সেইসঙ্গে আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে উড়িষ্যার পুরী থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল বাসটি। পথিমধ্যে জাজপুর জেলার বারাবতীর কাছে জাতীয় সড়ক-১৬ ওপরে একটি ফ্লাইওভারে ওঠার সময় বাসটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাসটিতে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।  প্রতিবেদনে জানা গেছে, ফ্লাইওভারে ওঠার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ৫০ জন যাত্রীসহ ফ্লাইওভার থেকে সোজা নিচে পড়ে যায় বাসটি। সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশের লোকজন জড়ো হন সেখানে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ ও দমকল বাহিনী। এরপর স্থানীয়দের সহযোগীতায় উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেন তারা। আহতদের ১০টি অ্যাম্বুলেন্সে স্থানীয় ধর্মশালা হাসপাতালে পাঠানো হয়।  উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, আহত অবস্থায় ৫০ জনকে উদ্ধার করে ধর্মশালা হাসপাতালে নিয়ে গেলে ৫ জনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ৪০ জন। তাদেরকে কটকের এসসিবি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। গুরুতর আহত এই ৪০ জনের মধ্যে ৩০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে এসসিবি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র।  এদিকে এ দুর্ঘটনায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শোক প্রকাশ করেছেন উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। সেখানে তিনি লিখেছেন, জাজপুর জেলার বারবাটি এলাকার যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনার খবরে আমি ব্যথিত। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
ইসরায়েলে ইরানের হামলা নিয়ে যা বলল ভারত
সিরিয়ায় নিজেদের দূতাবাসে হামলার জবাবে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। হামলার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান। এবার প্রতিক্রিয়া জানালো ভারত। ভারত বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাত বৃদ্ধির বিষয়ে তারা ‘খুবই উদ্বিগ্ন’। এই সংঘাত পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। রোববার (১৪ এপ্রিল) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে। খবর এনডিটিভির। ইসরায়েলে ইরানের হামলার কয়েক ঘণ্টা পর দেওয়া এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবিলম্বে (উভয় পক্ষকে) সংঘাত বন্ধ, সংযম অনুশীলন, সহিংসতা থেকে সরে আসা এবং কূটনীতির পথে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের দূতাবাসগুলো ভারতীয় কমিউনিটির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করছে। এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা অত্যাবশ্যক বলেও মনে করে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি।   এর আগে, গাজায় আগ্রাসনের পাশাপাশি গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এতে নিহত হন বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।  ওই হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ নেওেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিলেন ইরানের কর্মকর্তারা। গত বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদের খুতবায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেন, ইরানি দূতাবাসে হামলার জন্য ইসরায়েলকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। ইরানি হামলার আশঙ্কায় গত কয়েকদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এদিকে শনিবার (১৩ এপ্রিল) পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালি থেকে একটি ইসরাইলি পণ্যবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ আটক করে ইরান। জাহাজটিতে ২৫ জন নাবিকের ১৭ জনই ভারতীয়। নাবিকদের নিরাপদে দেশে ফেরাতে এরই ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েকশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর তথা আইআরজিসি। এছাড়া ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি এবং লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও রকেট হামলা চালানো হয়। ইসরায়েল বলছে, তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান।
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মুখে সতর্ক ভারত
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধিতে সতর্ক পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত৷ ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের একটি কনস্যুলার ভবনে বিমান হামলায় দুই জেনারেলসহ রেভল্যুশনারি গার্ডের সাত সদস্য নিহত হয়েছেন৷ এই হামলার জন্য ইরান ইসরায়েলকে দায়ী করে প্রতিশোধ নেয়ার কথা জানিয়েছে৷ ইরান শিগগিরই ইসরায়েল আক্রমণ করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ এমন অবস্থায় ভারতের বিদেশ মন্ত্রক নাগরিকদেরকে ইরান ও ইসরায়েল সফর না করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে৷ কেন্দ্র বলেছে, যারা বর্তমানে ইরান বা ইসরায়েলে রয়েছেন, তাদের সংশ্লিষ্ট দেশের ভারতীয় দূতাবাসগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে৷ নিজেদের চূড়ান্ত সতর্ক থাকতে হবে৷ একইসঙ্গে সীমিত করতে হবে গতিবিধি৷ ফ্রান্স এবং রাশিয়া তাদের নাগরিকদের উদ্দেশেও একই ধরনের সতর্কতা জারি করেছে৷ ইসরায়েলে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, সেখানে প্রায় ৯০০ ভারতীয় শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন৷ ইসরায়েলে কর্মরত ভারতীয় নাগরিকের সংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার৷ এপ্রিল, মে মাসে ভারতীয় আরো শ্রমিক, কর্মচারীদের যাওয়ার কথা ছিল৷ গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রেক্ষিতে শ্রমিকের অভাব দেখা দেয়ায় গত নভেম্বরে নেতানিয়াহু সরকার দিল্লির কাছে আবেদন জানায়৷ দুই দেশের সরকারি বোঝাপড়ায় ভারত থেকে এপ্রিল ও মে মাসে ছয় হাজার শ্রমিক পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয় বলে জানায় বার্তা সংস্থা পিটিআই৷ এর অংশ হিসেবে গত ২ এপ্রিল হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ থেকে ৬৪ জন নির্মাণ শ্রমিক প্রথম দফায় ইসরায়েলে গিয়েছেন৷ চলতি মাসে মোট দেড় হাজার শ্রমিকের ইসরায়েল যাওয়ার কথা৷ তারা লোহার কাঠামো, ইমারত নির্মাণ, টাইলস বসানোর কাজ করবেন৷ তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই যাত্রা অনিশ্চয়তায় পড়েছে৷ সংখ্যায় কম হলেও ইরানেও ভারতীয় নাগরিকেরা রয়েছেন৷ বিশেষত, তেহরানে বহু দশক ধরে ভারতীয়রা বসবাস করছেন৷ ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে যোগ রয়েছে সেখানকার ভারতীয় শিখ সম্প্রদায়ের৷ অসুরক্ষিত আকাশপথ সামরিক সংঘাতের আশঙ্কার প্রেক্ষিতে ইরান ও ইসরায়েলের আকাশপথ যাত্রীবাহী বিমানের জন্য নিরাপদ নয়৷ তাই এয়ার ইন্ডিয়া ইরানের একাংশের আকাশপথ ব্যবহার করছে না৷ শনিবার লন্ডনগামী একটি বিমানকে ইরানের আকাশপথ এড়িয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়৷ এর ফলে ইউরোপগামী বিমানের গন্তব্যে পৌঁছতে ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা বাড়তি সময় লাগবে৷ যদিও ইরানের দক্ষিণ অংশের আকাশপথ ব্যবহার এখনই বন্ধ করছে না এয়ার ইন্ডিয়া৷ একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিমান পরিষেবা সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার মতোই ইরানের আকাশপথ এড়িয়ে যাচ্ছে৷ তাদের ঘোষণা অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত এই সর্তকতা বজায় থাকবে৷ বিশ্ব মিত্র ভারত দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েলের সাথে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে৷ অন্যদিকে ইরানের সাথেও রয়েছে সুসম্পর্ক৷ দুই বন্ধু দেশ সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে দিল্লির অবস্থান কী হবে? আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক অনিন্দ্য মিত্র বলেন, ইসরায়েল ও ইরান দুটিই ভারতের বন্ধু রাষ্ট্র৷ ফলে তাদের মধ্যে সংঘাত ভারতের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে৷ ভারতকে চেষ্টা করে যেতে হবে যাতে দুই পক্ষকে সংঘর্ষ থেকে বিরত রাখা যায় বা সীমিত থাকে৷ ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তিতে ভারতকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বিকশিত ২০৪৭-এর লক্ষ্য সামনে রেখেছে৷ তাতে ভারত বিশ্ব মিত্র হিসেবে নিজেকে স্থাপন করতে চায়৷ এশিয়ার চলতি উত্তেজনা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ইমনকল্যাণ লাহিড়ী বলেন, এটা সার্বিক যুদ্ধ হবে না৷ যদি হয়ও, তা হলে দুই বন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে হবে ভারতকে৷ যুদ্ধের আগে দেশগুলির পারস্পরিক আলোচনার সঙ্গে দিল্লির যুক্ত হওয়া প্রয়োজন৷ তার মতে, মিত্রতার মাধ্যমে যুদ্ধের বাতাবরণ সরিয়ে ফেলা উচিত৷ ভারত সেই চেষ্টায় করবে যেহেতু তারা নিজেদের বিশ্ব মিত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালাচ্ছে৷
বাংলাদেশ ও আমিরাতে ভারতের পেঁয়াজ কূটনীতি
ভারতে বেশ কিছুদিন ধরেই পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অথচ বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটানের মতো কয়েকটি দেশে এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই পেঁয়াজ পাঠানো হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পেঁয়াজের দাম বাড়লেও ভারত থেকে ওই দেশগুলোতে কম দামে পেঁয়াজ রপ্তানিকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ ভারতের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। রপ্তানিকারকদের অভিযোগ, ভারতীয় কৃষকদের এক কেজি পেঁয়াজের জন্য ১২ থেকে ১৫ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু সেই একই পেঁয়াজ সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছালে তার দাম কেজি প্রতি ১২০ টাকা হয়। এখন প্রশ্ন হলো- রপ্তানি নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও কেন ভারত সরকার নির্বাচিত দেশগুলোর কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করছে? পেঁয়াজ রপ্তানি কি তাহলে ভারতের কাছে কূটনীতির একটা অংশ হয়ে উঠেছে? তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রীতি একেবারে নতুন নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে ভারত তাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রে খাদ্যপণ্য, প্রয়োজনীয় সামগ্রী রপ্তানি করেছে এবং পরিষেবা দিয়েছে। রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পেঁয়াজ এবং তার দাম ভারতে বেশ সংবেদনশীল একটি বিষয়। বিভিন্ন সময়ে পেঁয়াজের দাম নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের নির্বাচনে পেঁয়াজের সবচেয়ে প্রত্যক্ষ প্রভাব সম্ভবত দেখা গিয়েছিল ১৯৯৮ সালে। মনে করা হয়, ওই বছর দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের জন্য দায়ী ছিল পেঁয়াজের চড়া দাম। আবার প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ভালো থাকাটাও পাশের দেশের জন্য কল্যাণকর। সেই কারণেও বন্ধুত্বপূর্ণ আদানপ্রদান চলতে থাকে বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, পেঁয়াজের ঘাটতির আশঙ্কায় গত ডিসেম্বর মাস থেকে রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। গত মাসে সরকার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়েছে। তবে ভারত সরকার রাজনৈতিক চ্যানেল মারফত একথা একপ্রকার মেনে নিচ্ছে যে পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। এদিকে, পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর থেকেই কৃষকরা এর বিরোধিতা করে আসছেন। সরকারের তরফে ঘোষণার পর মহারাষ্ট্রেও বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা। নাসিকের লাসলগাঁও, নন্দগাঁও, পিপলগাঁও এবং উমরানেতে বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা বিক্ষোভ প্রদর্শনও করেন। প্রসঙ্গত, এই অঞ্চলগুলো পেঁয়াজ উৎপাদনের প্রধান কেন্দ্র। নিষেধাজ্ঞার মাঝেই রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা চলার মধ্যেই ভারত থেকে একাধিক দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করা হয়েছে। সংবাদপত্র ‘দ্য হিন্দু’তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত। অন্যদিকে, পহেলা মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৪ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার এমনটাও উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। তবে পরিমাণের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হলেছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, ত্রৈমাসিক ‘কোটা’ হিসাবে মাসে ৩ হাজার ৬০০ মেট্রিক টনের বেশি পেঁয়াজ রপ্তানি করা যাবে না। গত মাসে ভারত থেকে তিন হাজার টনের বেশি পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গত সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ত্রৈমাসিক বরাদ্দের চেয়ে অতিরিক্ত আরও ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ‘দ্য হিন্দু’তে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন বলছে, ভারতে রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাশাপাশি ভুটানে ৫৫০ টন, বাহরাইনে ৩ হাজার টন এবং মরিশাসে ১২০০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববাজারে সাধারণত কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে থাকে। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১৫০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে। ভারত, পাকিস্তান ও মিসর পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করায় এই দাম বেড়েছে। দ্য হিন্দু পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি প্রতি টন ৫০০ থেকে ৫৫০ ডলার দরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পেঁয়াজ পাঠানোর তথ্য পেয়েছেন রপ্তানিকারকরা। যদি আমরা ভারতীয় টাকার নিরিখে বলি তাহলে এই মূল্য কেজি প্রতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আমদানিকারকরা ভারত থেকে পেঁয়াজ কিনে ৩০০ কোটি টাকারও বেশি মুনাফা করেছেন। দশ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেলে আমদানিকারকরা প্রায় এক হাজার কোটি টাকা মুনাফা পাবেন। বিবিসি।
ভারতের ৩ অঞ্চলে দেখা গেছে চাঁদ
ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ এবং কেরালায় পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে সেসব অঞ্চলে আগামীকাল বুধবার ঈদুল ফিতর পালিত হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ ও কেরালায় শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেছে। তবে দেশটির রাজধানী দিল্লিসহ বেশিরভাগ অঞ্চলে চাঁদ দেখা যায়নি। যেসব অঞ্চলে চাঁদ দেখা গেছে সেসব অঞ্চলে আগামীকাল বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যেসব জায়গায় চাঁদ দেখা যায়নি সেখানে ঈদ পালিত হবে বৃহস্পতিবার। ভারতের রাজধানী দিল্লির জামে মসজিদের ইমামরা এবং ফতেহপুর মসজিদ কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয়, যেহেতু চাঁদ দেখা যায়নি ফলে বৃহস্পতিবার ঈদ পালিত হবে। এদিকে পাকিস্তানেও দেখা গেছে শাওয়ালের চাঁদ। ফলে আগামীকাল বুধবার দেশটিতে ঈদ উদযাপন করা হবে। পাকিস্তানে এবং ভারতের কিছু অঞ্চলে চাঁদ দেখা গেলেও বাংলাদেশে দেখা যায়নি। তাই বাংলাদেশের মুসলিমরা এবার ৩০টি রোজা পালন করবেন। আর ঈদ পালন করবেন আগামী বৃহস্পতিবার। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুতি নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ
ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণে আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিভাগ। এনিয়ে সোমবার বৈঠক করেন দেশটির স্বাস্থ্যসচিব। সেখানে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তারা, সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা, সেচ, পঞ্চায়েত এবং পৌর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। ‍সূত্র- আনন্দবাজার। বৈঠকে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম নির্দেশ দেন, প্রতিটি জেলার হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডেঙ্গু পরীক্ষা এবং চিকিৎসার পরিকাঠামো প্রস্তুত রয়েছে কি না, তা দেখেতে। মশাবাহিত ওই রোগ প্রতিরোধে যেসব প্রশিক্ষণ রয়েছে, সেগুলো দ্রুত শুরু করতে। পাশাপাশি, সেচ দপ্তরকে রাজ্যের প্রতিটি খালের দিকে নজর রাখতে। যাতে কোথাও পানির প্রবাহ থমকে না যায়। মশা রোধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে পঞ্চায়েত এবং পৌর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরকে। গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৪০ জনের ডেঙ্গু পরীক্ষা হয়েছে। তাতে ৮১৩ জনের পজিটিভ এসেছে। গত বছর এই সময়ে (১৪ সপ্তাহ) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০১৭। পরীক্ষা হয় ১ লাখ ৩০ হাজার ৩৯৯ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা দেখে আপাতত স্বস্তি মিললেও এখনই নিশ্চিন্ত হওয়ার মতো পরিস্থিতি আসেনি জানিয়ে স্বাস্থ্যকর্তারা বলেন, এখনই বলা যাচ্ছে না, এ বারে ডেঙ্গুর প্রকোপ কম কি না। জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর- এই তিন মাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি বেশি হয়, তা হলে সমস্যা বাড়বে বলে ধারণা করছে তারা। গত বছর পশ্চিমবঙ্গে ১ লাখ ১ হাজার ৭৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। যা গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বাধিক। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটেও ডেঙ্গুর ওপরে জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার।