ঢাকামঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২

‘তুমি কি মুসলিম’ জানতে চাওয়ার পরই নিউইয়র্কে নারীর ওপর হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ 

রোববার, ২২ জুন ২০২৫ , ০২:৩৪ পিএম


loading/img
‘তুমি কি মুসলিম’ জানতে চাওয়ার পরই নিউইয়র্কে নারীর ওপর হামলা। প্রতীকী ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সাবওয়েতে ৫৫ বছর বয়সী এক নারীকে ‘তুমি কি মুসলিম’ জানতে চাওয়ার পরই তাকে মারধর শুরু করেন নাভেদ দুরানি নামের হামলাকারী।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৮ জুন) ভোরে নিউইয়র্ক নগরের কুইন্স এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডব্লিউএবিসি জানায়।

ডব্লিউএবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই নারী যখন সাবওয়েতে ট্রেনে উঠছিলেন, তখন ৩৪ বছর বয়সী নাভেদ দুরানি নামের ওই হামলাকারী তার খুব কাছাকাছি চলে আসেন এবং ‘তুমি কি মুসলিম’ জানতে চান। 

বিজ্ঞাপন

হামলার শিকার ওই নারী বলেন, তিনি (হামলাকারী) আমাকে বললেন, তুমি কোথা থেকে এসেছ? তুমি কি মুসলিম? তখন আমি হ্যাঁ বলতেই ওই ব্যক্তি আমাকে লাথি-ঘুষি মারতে শুরু করেন, সবদিক থেকে আঘাত করেন। 

ডব্লিউএবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রেনের দরজা বন্ধ হওয়ার পরপরই হামলা শুরু হয়, যা পরবর্তী স্টেশনে যাওয়া পর্যন্ত চলে। পরের স্টেশনে ট্রেন থামার পর নাভেদ দুরানি পালিয়ে যান। আক্রান্ত নারী মাথায় চোট পেয়েছেন। হামলায় তার নাক ভেঙে গেছে এবং তিনি সারা শরীরে আঘাত পেয়েছেন।

ওই নারী বলেন, আমি শুধু বলছিলাম, থামুন থামুন। কিন্তু হামলাকারী থামেননি। আমি বুঝতেই পারিনি, কী হচ্ছে।  

বিজ্ঞাপন

নিউইয়র্ক নগর পুলিশ বিভাগের এক মুখপাত্র জানান, নাভেদ দুরানি মুখ ঢেকে রেখেছিলেন। তিনি ওই নারীর মুখ, মাথা ও ঘাড়ে ঘুষি ও লাথি মেরেছেন। 

বিজ্ঞাপন

নিউইয়র্ক নগর পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, দুরানি ওই নারীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন তিনি মুসলিম কি না। পরে তাকে মারধর করে পালিয়ে যান। দুজন নারী যাত্রী ও সাবওয়ে কন্ডাক্টরের সহায়তায় পুলিশ দুরানিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে এবং ঘৃণা ছড়ানোর অপরাধ ও আক্রমণের অভিযোগে দুরানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

আক্রান্ত নারী ডব্লিউএবিসিকে বলেন, এই মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা আমাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। আগে কখনো এমন কিছু ঘটেনি। আমি কীভাবে তার (হামলাকারীর) মুখ ভুলবো? 

এ ঘটনায় ওই নারীর চিকিৎসা, মানসিক সহায়তা, বাসাভাড়া ও খাবার কেনার মতো জরুরি খরচ মেটাতে ‘গো ফান্ড মি’ নামে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করা হয়েছে। উদ্যোক্তা নিজেকে ওই নারীর সন্তান উল্লেখ করে পেজে লিখেছেন, ‘তিনি (ওই নারী) শুধু নিজের ও তার পরিবারের দুজন সদস্যের ভরণপোষণের চেষ্টা করছিলেন।

তহবিল সংগ্রাহক বলেন, জরুরি চিকিৎসা, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানো, ওষুধ এবং পরীক্ষা–নিরীক্ষার খরচ অনেক বেশি। তার চেয়েও খারাপ কথা হলো, মাথায় আঘাতের লক্ষণ এখনো যাচ্ছে না। এর ফলে তিনি কাজে ফিরতে পারছেন না। এ জন্য নিজের ও পরিবারের সদস্যদের খরচ জোগাড় করতে পারছেন না। বাসাভাড়া, বিদ্যুৎ ও ন্যূনতম জীবনযাত্রার খরচ মেটাতেও হিমশিম খাচ্ছেন। 

আরটিভি/কেএইচ/এস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |