আলোচিত সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য সেলিনা ইসলাম ও তার মেয়ে ওয়াফা ইসলামের অর্থপাচারের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক আরেফিন আহসান মিঞা স্বাক্ষরিত সকল নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আগামী ২৪ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, মামলার শুনানির সময় পাপুলের স্ত্রী-কন্যাকে দায়মুক্তি দেওয়ার নথিতে অন্য এক বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মশিউর রহমানের স্বাক্ষর না থাকার জন্য প্রশ্ন তুলেন আদালত। এ কারণে আদালত এ সংক্রান্ত সকল নথি তলবের জন্য আদেশ দেন।
গত ২৮ নভেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় কুয়েতে গ্রেফতার সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী ও কন্যা হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু হাইকোর্ট গত ১০ ডিসেম্বর জামিন দেননি তাদের। বরং ১০ দিনের ভেতর আত্মসমর্পণের জন্য নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক আরিফুল ইসলাম মিয়াকে এ মামলায় তলব করা হয়। পরবর্তীতে ২৭ ডিসেম্বর ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।
প্রসঙ্গত, সংসদ সদস্য পাপুল অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার হন এবং বর্তমানে সেখানেই কারাগারে আছেন তিনি। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে মানবপাচারসহ জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত উপায় শত শত কোটি টাকা অর্জন করে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
এসআর/এফএ