শিবির সন্দেহে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামানের পুরো জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত। এ নিয়ে মামলায় ৬০ সাক্ষীর মধ্যে ৪৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করলেন বিচারক। জেরা শেষ না হওয়ায় আগামীকাল সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাকী জেরার জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ রোববার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ তারিখ ধার্য করেন।
এদিন মামলায় গ্রেপ্তার ২২ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ৩ আসামি পলাতক রয়েছে। আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি’র পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মুহতাসিম ফুয়াদ,এস এম মাহমুদ সেতু, মনিরুজ্জামান মনির, মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত এবং মোর্শেদ অমত্য ইসলাম।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ভোরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ ও অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।
কেএফ