অর্থ কেলেঙ্কারীর অভিযোগে অভিযুক্ত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের বান্ধবী অবন্তিকা বড়ালের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ রিমান্ডের এ আদেশ দেন। এর আগে, গত ১৩ জানুয়ারি সকালে দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে অবন্তিকা বড়ালকে গ্রেপ্তার করে। পরে ওই দিনই তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। ২৭ জানুয়ারি তাকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন : আমি শিক্ষামন্ত্রীর ষড়যন্ত্র ও রাজনীতির শিকার: ভিসি কলিমুল্লাহ
দুদকের দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন অবন্তিকাকে গতকাল বৃহস্পতিবার কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে ৩ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। অপরদিকে, দুদকের পক্ষে আইনজীবী রিমান্ডের জোর দাবি জানান। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন : নারী কেলেঙ্কারি: জামালপুরের সেই ডিসির বেতন কমে অর্ধেক
জানা যায়, সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার হালদারের সঙ্গে যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে অবন্তিকার বিরুদ্ধে। পিকে হালদারের সুখাদা লিমিটেড নামের যে প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেখানে অবন্তিকা বড়াল, প্রীতিষ কুমার হালদার ও সুস্মিতা সাহা ও এপিকে নামে বিনিয়োগ রয়েছে।
আরও পড়ুন : করোনার টিকা নিলেন প্রধানমন্ত্রী
অবন্তিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক অবন্তিকা বড়ালের রাজধানীর ধানমন্ডির ফ্ল্যাটে একটি নোটিশ পাঠায়। ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় তাকে হাজির হতে বলা হয়েছিল ওই নোটিশে। চিঠি পাওয়ার পরও তিনি যথাসময়ে হাজির হননি। ব্যক্তিগত কোনো সমস্যার কারণে হাজির হতে পারেননি বা কবে হাজির হতে পারবেন- এ বিষয়েও লিখিত বা ফোনে দুদককে অবহিত করেননি তিনি। পদ-পদবি ব্যবহার করে প্রশান্ত কুমার অন্তত ৫০০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। নিজে একা নন, মা, স্ত্রী, ভাইসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং স্বজনদেরও এই দুর্নীতির সহযোগী করেছেন।
কেএফ