করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকা রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা ছাড়াই মনগড়া রিপোর্ট দেয়ার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন দুই আসামি।
আজ বুধবার (২৪ জুন) ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী। তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করার পর আদালতে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এই অপরাধে গ্রেপ্তার আরও চারজনের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আসামিরা হলেন, সাঈদ চৌধুরী (৪৭), বিপ্লব দাস (২৫), মামুনুর রশীদ (১৯) এবং আরিফুল চৌধুরীর (৪০) ।
আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তবে আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জুন) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর বিমানবন্দর, আশকোনা বাড়ি ও গুলশান-২ এর কনফিডেন্স টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হুমায়ুন কবির এ চক্রের মূলহোতা। তানজীনা পাটোয়ারী তার স্ত্রী। তাদের নেতৃত্বে চক্রটি রাজধানীর বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে করোনার পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করতেন এবং ভুয়া রিপোর্ট দিতেন। চক্রটি জনপ্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয় এভাবে ইতোমধ্যে ৩৭ জনের ভুয়া কোভিড-19 টেস্ট রিপোর্ট জানিয়েছে তারা।
নমুনা সংগ্রহের সময় রোগীর বাহ্যিক উপসর্গ দেখে একটা ধারণা থেকে ফলাফল তৈরি করে। করোনার বাহ্যিক উপসর্গ দেখা দিলে, সেক্ষেত্রে তার পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ উল্লেখ করা হয়। কোনো উপসর্গ না দেখা দিলে তার রিপোর্টে নেগেটিভ উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন :
এমকে