অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর হবে নিমিষেই
খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। খাবার খেতে অনিয়ম হলেই অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুক্ততে পারেন যে কেউ। আর এই অ্যাসিডিটি সমস্যা থেকেই মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। দুপুরের খাবার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করেছেন কিন্তু সকাল ও রাতের খাবারে অনিয়ম করেছেন। এভাবে কিছুদিন অনিয়মিত খাবার খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে। এজন্য প্রত্যেক মানুষকে নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খেতে হবে। নিয়ম মেনে খাবার খেলে হাইপার-অ্যাসিডিটি বা বদহজমের সমস্যা নিয়ে কাতর হতে হবে না।
কখন আবার নিয়মিত খাবার খাচ্ছেন কিন্তু তা অস্বাস্থ্যকর ও খাবার ঠিকমতো হজম হচ্ছে না। এতেও অ্যাসিডিটি হতে পারে। অতিরিক্ত চা ও কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। চা ও কফিতে উচ্চ ক্যাফেইন থাকায় অ্যাসিডিটি বাড়ায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে খাবার খেতে হবে। অনেকে সকালের খাবার আবার দেরিতে খাচ্ছেন। চার ঘণ্টা বিরতি রেখে খাবার খেলে অ্যাডিসিটি হওয়ার সম্ভবনা বেশি। আর ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকার বিষয়টি কমবেশি সবার জানা। ভাজাপোড়া খাবারে থাকে অতিরিক্ত তেল, যা অ্যাসিডিটি তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন:
টাক পড়া রুখতে পারে লালশাক!
জিরা ও আদা পানি দিয়ে যেভাবে কমাবেন ওজন
কিডনি ও লিভার সুস্থ রাখতে খাবেন যে শাক
যখন-তখন খুশি মনে খাবার খেলে পাকস্থলীর ওপর চাপ বাড়ে। খেয়ে বসে থাকা যাবে না। কিছুক্ষণ চলাচল করতে হবে। এতে পাকস্থলীতে জমা হওয়া খাবারগুলো নড়াচড়া করে যা অ্যাসিডিটি দূর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মাছ, মাংস বেশি খেলেন কিন্তু সবজি কম খেলেও ঝুঁকি বাড়ে।
অ্যাসিডিটি দূর করতে আদা খেতে পারেন। অনেকে ভাবেন লেবু খেলে অ্যাসিডিটি দেখা দেয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে লেবু পেটে বাইকার্বোনেট সৃষ্টি করে যার ফলে পাকস্থলী থেকে অ্যাসিড দূর হয়। ডিম, ছোলা ডালে ভিটামিন বি ও সি থাকায় অ্যাসিড কমায়।
ইচ্ছেমতো যখন তখন খাবার খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়। ধূমপান করলে অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকেই যায়। অনেকে না বুঝে ওষুধ খেয়ে থাকেন। অথচ একটু সচেতন হলেই এই সমস্যা থেকে যে কেউ মুক্তি পেতে পারেন। এজন্য ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। অ্যাসিডিটির সমস্যা কারও বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। তবে দীর্ঘদিন এ সমস্যায় ভুগতে থাকা কারও জন্যই মঙ্গলজনক নয়। সূত্র: আনন্দবাজার।
এফএ/পি
মন্তব্য করুন