বিয়ের আগে সঙ্গীর সঙ্গে খোলাখুলি যে আলোচনা করবেন
নভেম্বর মানেই বিয়ের মৌসুম। যদিও এবার করোনা আবহে দিনক্ষণ তেমন নেই, তাও বিয়ের বাদ্যি নেহাত কম বাজছে না। সেসব দেখেই হয়তো আপনিও ভাবছেন নিজের বিয়ের কথা। প্রেমের বয়স দুবছর? বাকিদের দেখে বিয়ের কথা ভাবছেন? তার আগে ভেবে নিন কিছু পয়েন্ট।
বিয়ের পর সব সমস্যার সমাধান হয় না
বিয়ে করলে সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে, এমনটা ভাববেন না। খুব ভুল ধারণা। সমস্যার সমাধান না হলে তা বাড়ে। কমে না। আর বিয়ে কখনই সমাধান নয়। প্রেম করার সময় যে যে ঝামেলা হত, বিয়ের পর সেই ঝামেলাই মস্ত বড় আকার নেয়। বিয়ে মানেই দুটো মনের মিলন। একসঙ্গে পথ চলা। হোস্টেল নয় যে, সুপারের কাছে অভিযোগ জানালেই রুমমেট বদলে দেবে। বরং এখানে অনেক বেশি মানসিক অশান্তি রয়েছে। তাই সবদিক বুঝে শুনে এবং অবশ্যই নিজেদেরটা গুছিয়ে তবেই বিয়ে করুন। সবাই করছে বলেই যে আমাকে করতে হবে এমন কিন্তু নয়।
উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে বিয়ে করবেন না
বিয়ে করলেই প্রচুর উপহার পাবেন, ম্যাজিকের মতো গাড়ি-ফ্ল্যাট সব রেডি হয়ে যাবে এসব স্বপ্ন দেখবেন না। বিয়ে মানেই উইকএন্ডে আগের মতো ডিনার আর নতুন লিপস্টিক নাও হতে পারে। বাড়ির লোকেদেরও সময় দিতে হবে। বিয়ে হলেই ভালোবাসা বেড়ে যাবে এমনও কিন্তু হয় না। আর সবাই রানী কিংবা রাজা বানিয়ে মাথায় তুলে রাখবে এমনটাও হবে না। নিজের কাজ নিজেকেই করতে হবে এই মানসিকতা নিয়ে তবেই বিয়ে করুন।
সবসময় ভালোবাসা পাবেন এমন নয়
জীবনটা সিনেমা নয়। বিয়েটা আরও নয়। কাজেই রুপোলি পর্দার নায়ক-নায়িকাদের মতো প্রেম-বিরহ আপনার সম্পর্কে নাও থাকতে পারে। বউ জামাকাপড় প্রতিদিন ভালোবেসে গুছিয়ে দেবে, কিংবা স্বামী রোজ সকালে জুস বানিয়ে মুখের সামনে ধরবে এমন স্বপ্ন দেখবেন না। কাজেই প্রেম করার সময় বেশি ভালোবাসতে এই অভিযোগ করবেন না। প্রেম করার সময় আপনাদের দেখা হয় সপ্তাহে একবার কিংবা দিনে দুবার। এখানে ২৪ ঘণ্টাই একজন মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে। সুতরাং অভিজ্ঞতায় ফারাক থাকবেই।
সঙ্গীর পরিবারকে জানুন
একে অপরের পরিবারকে ভালো করে চিনুন। বিয়ে মানেই দুই পরিবারের বন্ধন। পরিবারের সকলের সঙ্গে কতটা মানিয়ে নিতে পারছেন দুজনেই তা আগে দেখা প্রয়োজন। এছাড়াও বিয়েতে দুই পরিবারের সম্মতি জরুরি। ছেলে এবং মেয়ে উভয়কেই একে অপরের পরিবারের সঙ্গে মিশতে হবে। তাই পাত্র বা পাত্রীর সঙ্গে পরিবারও আপনাদের কতটা পছন্দ তা জেনে নিন।
একে অপরের জমা-খরচ জানুন
বিয়ের আগে এই বিষয়টা স্পষ্ট করে নেবেন। এখানে কোন লুকোছাপা নয়। দুজনই দুজনের ব্যাংক ব্যালেন্স সম্পর্কে ভালো করে জেনে নিন। কোনও পলিসি, মেডিক্লেম এই বিষয়েও বিষদে জেনে রাখুন। বিয়েতে নিজেরা কে কত খরচা করবেন, হানিমুনের খরচ ভাগাভাগি হবে কিনা, বিয়ের পরের অর্থনৈতিক প্ল্যান সবই সেরে রাখুন। দুজনেই যদি একটু মোটা অঙ্কের টাকা অ্যাকাউন্টে রেখে বিয়ে করতে পারেন তাহলে অনেক রকম সমস্যা থেকেই পরবর্তীতে মুক্তি পাওয়া যাবে। আর অর্থনৈতিক বিষয়ে একে অপরের নির্ভরশীল না হওয়াই ভালো।
এসজে
মন্তব্য করুন