যেসব রোগ সারাবে সজনে ডাঁটা
সজনে একটি অতিপরিচিত পুষ্টি ও খাদ্যগুণ সমৃদ্ধ সবজি। এতে প্রায় ৩০০ রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।শরীরের প্রয়োজনীয় সব ভিটামিনের সাথে অত্যাবশ্যকীয় সব এমিনো এসিড সজনে পাতায় আছে বলে সজনেকে পুষ্টির ডিনামাইট বলা হয়। পুষ্টি ঘাটতি পূরণে সজনে ডাটার পাশাপাশি সজনে পাতাও বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সজনের উপকারিতাগুলো-
- ব্লাড প্রেসার রোগীদের জন্য লবণ খুবই ক্ষতিকর, কিন্তু পটাসিয়াম লবণ কোন ক্ষতি করে না। সজনে ডাটায় সোডিয়াম ক্লোরাইড নেই । আর তাই এতে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রিত থাকে।
- বসন্ত রোগ প্রতিরোধে সজনে ডাটা এবং ফুল ভাজা বা তরকারি করে খাওয়া হলে জল বসন্ত ও গুটি বসন্তে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি থাকে না। সজনে ফলের নির্যাস যকৃত ও প্লীহার অসুখে, ধনুষ্টংকার ও প্যারালাইসিসে উপকারী।
- শরীরে রক্ত স্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে সজনে। মানবদেহে রক্তের পরিমাণ কমে গেলে পানি দিয়ে সজনে ডাটা সেদ্ধ করে তার কস্ফাথ এবং ডাটা নিয়মিত চিবিয়ে খেলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়।
- সজনের ডাটা রক্ত সংবহনতন্ত্রের ক্ষমতা বাড়ায়। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। ১০০ গ্রাম সজনে প্রোটিন পাওয়া যায় ২.৫ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৩.৭ গ্রাম, ক্যালরি ২৬, ভিটামিন বি ৪২৩ মি. গ্রাম, ভিটামিন সি ১২০ মি. গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩০ মি. গ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ২৪ মি. গ্রাম, ফসফরাস ২৫৯ মি. গ্রাম, পটাসিয়াম ১১৬ মি. গ্রাম. আয়রন ৫.৩ মি. গ্রাম এবং সালফার ৩৭ মি. গ্রাম।
- সজনে ডাটায় রয়েছে অ্যামাইনো এসিড। সজনেকে খনিজ পদার্থের শক্তিঘর বলা হয়।
- দুধে এবং সজনা ডাটায় ক্যালসিয়ামের পরিমাণ যথাক্রমে ১২০ মি. গ্রাম এবং ৪৪০ মি. গ্রাম, কলায় পটাসিয়াম পাওয়া যায় ৮৮ মি. গ্রাম, তার তুলনায় সজনে পাবেন ২৫৯ মি. গ্রাম।
- ব্লাড সুগার রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখে সজনের পুষ্টি। কারণ এতে আছে ডায়াটিরি ফাইবার।
- কমলায় যেখানে ভিটামিন সি পাবেন ৩০ মি. গ্রাম, সেখানে সজনায় পাবেন ২২০ মি. গ্রাম। এমন তারতম্য রয়েছে আরও অনেক।
- এ ছাড়া অপুষ্টির অভাব থেকে দূরে থাকতে ভিটামিন সমৃদ্ধ সজনে পাতা খেতে পারবেন।
মন্তব্য করুন
রোদে পোড়া দাগ দূর হবে বেসনের এই বিশেষ প্যাকেই
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। যাদের শরীরে মেলানিন কম থাকে, তাদের ত্বক সহজেই রোদে পুড়ে যায়। এদিকে উৎসবেও বাহিরে ঘোরাঘুরি সময় সানস্ক্রিন, ছাতা ব্যবহারের পরেও সূর্যের তেজে চামড়ায় ট্যান (রোদে পোড়া কালো ছোপ) পড়েছে। এবার সেই হাত পায়ের ট্যান তোলার পালা। ঘরোয়া প্যাক দিয়েই ডিট্যান করে ফেলুন। এতে খরচও বাঁচবে অনেকটাই। এই দিকে ফলাফলও মিলবে দুর্দান্ত। তাহলে দেরি না করে ঝটপট সেই প্যাকের সম্বন্ধে জেনে নিন বিস্তারিত।
উপকরণ লাগবে সামান্যই—
বেসন, দই মোটামুটি সকলের বাড়িতেই থাকে। তা দিয়েই কিন্তু ট্যান (রোদে পোরা ভাব) উঠে যাবে নিমেষে। পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়বে দূর হবে ব্রণের দাপটও।
এই ফেসপ্যাক বানাতে লাগবে:
১. ১ টেবিল চামচ বেসন
২. ১ টেবিল চামচ দই
৩. আধ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
৪. ১ চা চামচ লেবুর রস
৫. ১ টেবিল চামচ মধু
যেভাবে বানাবেন:
প্রথমে একটি ছোট বাটিতে ১ টেবিল চামচ বেসন নিয়ে নিন। তাতে আধ চা চামচ হলুদের গুঁড়ো দিয়ে মেশান। এরপর দই দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। তাতে দিয়ে দিন লেবুর রস এবং মধু। স্মুদ পেস্ট না হওয়া পর্যন্ত ভালো করে মেশাতে থাকুন। তাহলেই কয়েক মিনিটে তৈরি হয়ে গেল আপনার ডিট্যান প্যাক।
এবার হাত-পায়ে তা লাগানোর পালা। ট্যান পড়া হাত-পা, গলায় ভালো করে বেসনের প্যাক লাগিয়ে নিন। তারপর ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তাতেই হাত-পা শুকিয়ে আসবে। এর পর ভেজা হাতে হালকা করে স্ক্রাবিংটা সেরে ফেলুন। শেষে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন।
প্যাকের গুণআগুণ:
ঘরোয়া রূপটানে যুগ যুগ ধরে বেসনের ব্যবহার হয়ে আসছে। আগেকার দিনে মা-দাদিরা কাজের ফাঁকে এই উপকরণ দিয়েই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নিতেন। এখনও ঘরোয়া রূপচর্চায় সমানভাবে প্রাসঙ্গিক বেসন। এই উপকরণ ত্বককে এক্সফলিয়েট করে মৃত কোষ দূর করে। পাশাপাশি ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। হাইপারপিগমেন্টেশন এবং ব্রণও দূর হয় এর ছোঁয়ায়।
এই দিকে দইয়ে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিডও ত্বককে এক্সফলিয়েট করে ভিতর থেকে। ত্বককে ময়শ্চারাইজ করতেও এর জুড়ি মেলা ভার। এর ছোঁয়াতেই দূর হয় ট্যানিং। আর লেবুর রস এবং মধু প্রাকৃতিক ব্লিচের কাজ করে। ট্যান এবং দাগছোপ দূর হয় এর গুণে। এক চিমটে হলুদের ছোঁয়ায় ব্রণ দূর হয়। কমে ত্বকের সংক্রমণ, জ্বালাপোড়া ভাবও।
মাথায় রাখুন এই টিপস
এতসব গুণে ভরপুর এই ফেসপ্যাক সপ্তাহে ২-৩ দিন মাখুন। দেখবেন দু' সপ্তাহেই সমস্ত ট্যান উধাও হয়েছে। এছাড়া এই প্যাক ব্যবহারের দিনেই কিন্তু সাবান ব্যবহার করবেন না। এই নিয়ম মেনে প্যাকটি ব্যবহার করলে কয়েক দিনে পার্থক্য নিজে চোখে দেখতে পাবেন। ট্যান তো দূর হবেই। সঙ্গে উপচে পড়বে ত্বকের উজ্জ্বলতাও।
আরটিভি/এফআই
টোনার যেভাবে ব্যবহারে সুফল পাওয়া যাবে
রূপরুটিনে টোনারের ভূমিকা সত্যিই অনবদ্য। ত্বক উজ্জ্বলে টোনারের জুড়ি মেলা ভার। টোনার ত্বক ভিতর থেকে কোমল এবং আর্দ্র রাখে। তবে টোনার সম্পর্ক কিছু ভুল ধারণা রয়েছে অনেকেরই। যেগুলো মন থেকে ঝেড়ে না ফেললে টোনারের প্রকৃত উপকার পাওয়া যাবে না।
আপনার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রেখে আর্দ্রতার ঘাটতি পূরণ করতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে ফেসিয়াল টোনার। বাজারচলতি টোনার ব্যবহার করার বদলে বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন এটি। বাড়িতে টোনার বানানোর নিয়ম শিখে নিন এবং এর উপকারিতা সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল থাকুন।
১) অনেকেই ক্লিনজারের বিকল্প হিসাবে টোনার ব্যবহার করেন। তবে এমনটা কখনওই করা উচিত নয়। মুখ ভালো করে পরিষ্কার করার পরেও ত্বকে থাকা ব্যাক্টেরিয়া, বাড়তি তেল, মৃত কোষ পরিষ্কার করতে টোনার ব্যবহার করা হয়। তাই টোনার কখনওই ক্লিনজারের বিকল্প হতে পারে না।
২) অনেকেরই মনে হয় টোনার ব্যবহার করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। বিভিন্ন ধরনের টোনারে ভিন্ন উপাদান থাকে। প্রতিটির কাজ এক নয়। তাই আপনি কী রকম টোনার কিনছেন, তার উপরেই তৈলাক্ত কিংবা শুষ্কতা নির্ভর করে।
৩) স্ক্রাবারের পরিবর্তে শুধুমাত্র টোনার ব্যবহারেই ত্বকের মৃত কোষের বিড়ম্বনার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়- এমনটাই ভাবেন অনেকে। এই ধারণা একদম ভুল। আপনার ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে সাহায্য করতে পারে টোনার। তবে তা কখনও সম্পূর্ণভাবে ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে পারে না।
অ্যালোভেরার টোনার: হেলথলাইন জানাচ্ছে, অ্যালোভেরায় নানা উপকারী উপাদান রয়েছে, যা আপনার ত্বককে জেল্লাদার করে। অ্যাকনে কমাতেও সাহায্য করে। ত্বকের আর্দ্রতাও ধরে রাখে। শুষ্ক এবং সাধারণ ত্বকে এই টোনার ব্যবহার করতে পারেন আপনি।
যেভাবে বানাবেন: এই টোনার বানাতে আপনার প্রয়োজন, আধ কাপ রোজ ওয়াটার এবং আধ কাপ অ্যালোভেরা। এই দুই উপাদান ভালো করে মিশিয়ে বানিয়ে নিন টোনার। তারপর স্প্রে বোতলে ঢেলে রাখুন।
এসেনশিয়াল অয়েল টোনার: এই ধরনের ফেসিয়াল টোনারও ব্যবহার করতে পারেন আপনি। ত্বকের স্বাস্থ্য ধরে রাখতে এটি বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। টি-ট্রি অয়েল দিয়ে এই টোনার তৈরি করুন। তবে টি-ট্রি অয়েলের পরিবর্তে আপনি ল্যাভেন্ডার, ক্যামোমাইল, রোজ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন।
বানানোর নিয়ম: একটি পাত্রে পরিমাণ মতো গোলাপ জল নিন। তার মধ্যে আধ চামচ ভিটামিন ই অয়েল মেশান। এর সঙ্গে ৩ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে দিন। প্রতিটি উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ঢেলে রাখুন।
রোজ ওয়াটার টোনার: হেলথলাইন জানাচ্ছে, গোলাপ জল ত্বকের জন্যে উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান। এটি আপনার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে। আপনার ত্বকে প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। এক্সফোলিয়েটর হিসেবেও এর ভূমিকা রয়েছে।
যেভাবে বানাবেন: একটি পাত্রে ১ টেবিল চামচ গোলাপ জল নিন। এর সঙ্গে ১ টেবিল চামচ অ্যালকোহল মুক্ত উইচ হ্যাজেল মিশিয়ে নিন। এই দুই উপকরণ মিশিয়ে তৈরি করুন আপনার টোনার।
টোনার ব্যবহার করার সঠিক নিয়ম—
আপনার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখে টোনার। আর্দ্রতার ঘাটতিও পূরণ করে। ফলে, ত্বকের একাধিক সমস্যাও ধারেকাছে ঘেষতে পারে না। এই ৩ টোনারই গ্রীষ্ণে ব্যবহারের উপযুক্ত। এসব উপকার পেতে ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। তারপর একটি কটন প্যাডে টোনার নিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। ২ মিনিট পরে ময়শ্চারাইজার বা সানস্ক্রিন লাগান। দিনে ২ বার এই টোনার ব্যবহার করতে পারেন।
আরটিভি/এফআই
ফেসিয়াল করার পর ভুলেও এই ৫ কাজ করবেন না
সুন্দর টানটান ত্বক কে না চায়, কিন্তু ওমন সুন্দর ত্বক তো আর এমনি পাওয়া যায় না। তার জন্য় প্রয়োজন যত্নের। নিয়মিত রূপটানের দ্বারাই পাওয়া যেতে পারে সুন্দর, দাগছোপহীন ত্বক। ত্বকের যত্ন নিতে ফেসিয়ালের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু অনেকেই ফেসিয়ালের পর এমন কিছু কাজ করে থাকেন যার জন্য ত্বকের মোটেই ভালো নয়, বরং এই কাজগুলো করলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে আপনার। সেই সঙ্গে লাবণ্য হারিয়ে ফেকাসে হয়ে যায় মুখের ত্বক। আর সেই কারণেই তো ফেসিয়ালে পর কিছু কাজ একেবারেই করা উচিত নয় বলে জানান ত্বক বিশেষজ্ঞরা।
আসলে ফেসিয়ালের পরে ত্বক খুব নরম ও সেনসিটিভ হয়ে যায়। সেই কারণেই তো এই সময় আরও বেশি করে ত্বকের যত্নের প্রয়োজন হয়। আর এই কাজটি যদি ঠিক মতো না করেন, তাহলে উলটো ঘটনাটাই ঘটে। সদ্য ফেসিয়ালের পর কী কী করা উচিত নয় দেখে নিন।
কী কী কাজ করতে নেই জেনে নিন—
স্ক্রাবিং করবেন না: ফেসিয়ালের সময় এমনিতেই ত্বকের উপরের অংশে জমে থাকা ময়লা, মৃত কোষ ধুয়ে য়ায়। তাই এই ধরনের ত্বকের পরিচর্যার পর আরও একবার স্ক্রাবিং করার প্রয়োজন হয় না। আর যদি আপনি এমনটা করেন, তাহলে স্কিন সেলে মারাত্মকভাবে ক্ষতি হয়ে যায়। তাই ফেসিয়ালের করার কিছুদিন পরই বরং স্ক্রাবিং করুন। এতে আপনি ভালো ফল পাবেন।
রোদ লাগাবেন না ত্বকে: ফেসিয়ালের পর ত্বক যেহেতু সস্পর্শকাতর হয়ে যায়, তাই এই সময় চড়া রোদে ঘোরাঘুরি না করাই ভালো। আপনি যদি এমনটা করলেন তাহলে ত্বকের অনেকটাই অবনতি ঘটবে। সেই সঙ্গে অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাবে স্কিনের উপও মারাত্বকভাবে পুড়ে যায়। এর ফলে ত্বকে নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে।
থ্রেডিং করবেন না: স্ক্রাবিং-এর মতই ফেসিয়ালের পর ভুরু প্লাক বা থ্রেডিং করবেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, আসলে এই সময় ত্বকের উপরিভাগ নরম থাকে যার ফলে এই সময় থ্রেডিং করলে ত্বকের প্রদাহ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এক কথায় বলতে গেলে ত্বক যখন খুব স্পর্শকাতর পরিস্থিতিতে থাকে তখনই প্রদাহ বা জ্বালা সৃষ্টি হয়। তাই এমন কাজ করা একেবারেই উচিত নয়। এত ভালোর থেকে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
নতুন কোনও বিউটি প্রডাক্ট নয়: আসলে ফেসিয়াল পর ত্বক খুব সেনসিটিভ হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময় নতুন কোনও ক্রিম বা বিউটি প্রডাক্ট ব্যবহার ট্রাই না করারই শ্রেয়। একান্ত যদি চান তাহলে ফেসিয়াল করার অন্তত ৩-৪ দিন পর বিউটি প্রডাক্ট ব্য়বহার করবেন
ফেস মাস্ক: এই সময় কোনও ফেসিয়াল মাস্ক ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, অনেকে মনে করেন ফেসিয়ালের পর প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি ফেসিয়াল পেস্ট ব্যবহার করা যেতেই পারে, তাতে কোনও ক্ষতি হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরণা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ ফেসিয়ালের পর ত্বক যেহেতু খুব স্পর্শকাতর হয়ে যায়। তাই এই সময় যে কোনও কিছু থেকে ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেসিয়ালের কম করে ৩৬ ঘন্টা পর থেকে ফেস মাস্ক বা কেমিকেল পিলং ব্যবহার করবেন, তার আগে নয়।
আরটিভি/এফআই
খাবারের স্বাদে তেতো লাগা কি কোনও রোগের লক্ষণ
দেহঘড়ির নিয়ম অনুযায়ী ঘুম ভাঙার পর থেকেই পাকস্থলী তার সহজাত প্রবৃত্তিতে পিত্তরস ক্ষরণ করতে থাকে। যা খাবার ভাঙতে সাহায্য করে। সময়মতো খাবার পেটের মধ্যে না গেলে সেই পিত্তরসই খাদ্যনালির ওপরের দিকে উঠে আসে। তখন মুখের ভিতরের অংশ তেতো লাগে। আবার অনেকেরই মুখে খাবারের স্বাদ মিষ্টি, টক, নোনতায় বদলে যায়। আবার কারও মুখে খাবারের স্বাদ ধাতব বস্তুর মতো লাগে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, মুখের স্বাদের সঙ্গে শারীরবৃত্তীয় নানা জটিলতার সম্পর্ক রয়েছে।
কী কী কারণে মুখের স্বাদ পাল্টে যেতে পারে—
তেতো স্বাদ: মুখের স্বাদ তেতো হওয়ার পিছনে সাধারণত অনেকক্ষণ কিছু না খেয়ে থাকাকেই দায়ী করা হয়। চিকিৎসার পরিভাষায় যাকে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বলা হয়। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, মুখের স্বাদ তেতো হওয়ার পিছনে হরমোনের সমস্যা, মানসিক চাপ, স্নায়ু কিংবা লিভারের সমস্যাও থাকতে পারে।
টক স্বাদ: যা খাচ্ছেন তাতেই মুখের ভিতরটা কেমন টক হয়ে যাচ্ছে। সেই অম্লত্বের পরিমাণ এতটাই যে, দাঁত সুড়সুড় করছে। অনেকক্ষণ কিছু না খেয়ে অ্যাসিডিটি বা গলা-বুক-জ্বালার মতো সমস্যা হলে মুখের স্বাদ টক হয়ে যেতে পারে। খাবার হজমে সহায়ক উৎসেচকগুলো খাদ্যনালির ওপরের দিকে উঠে আসে। ওই উৎসেচকের মধ্যে থাকা ব্যাক্টেরিয়াগুলো জিভের স্বাদ পাল্টে দেয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেও অনেকেরই মুখের স্বাদ পাল্টে যায়।
নোনতা স্বাদ: শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে মুখের স্বাদ নোনতা লাগে। চিকিৎসকেরা বলছেন, পানি কম খাওয়া হলে মুখের লালা শুকিয়ে গেলে, রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমে মুখের স্বাদ নোনতা হয়ে যায়। অনেক সময় হাইপার টেনশনের রোগীদের ক্ষেত্রেও মুখের স্বাদ নোনতা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে দেখা গিয়েছে।
ধাতব স্বাদ: সাধারণত অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেক মহিলারই মুখের স্বাদ পাল্টে যায়। রক্তে বিভিন্ন খনিজের অভাবে অনেক সময় খাবারের স্বাদ বদলে ধাতব স্বাদের হয়ে যেতে পারে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, এমন লক্ষণ কিন্তু মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বা জিঞ্জিভাইটিসের কারণেও হতে পারে।
মিষ্টি স্বাদ: দুই এক ঘণ্টা আগে যে কোনও মিষ্টিজাতীয় খাবার খেয়েছেন, এমনটা নয়। অথচ মুখের ভিতরটা কেমন যেন মিষ্টি লাগছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, রক্তে শর্করার মাত্রার সঙ্গে যুক্ত এই লক্ষণ। সাধারণত ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এমন সমস্যার কথা শোনা যায়।
আরটিভি/এফআই
মুখের লোম তুলুন এবার ঘরোয়া প্যাক দিয়ে
অবাঞ্চিত লোম কারও পছন্দ নয়। কিন্তু পার্লারে গিয়ে থ্রেডিং করা বেশ কষ্টকর। এদিকে অফিস-বাড়ি সব একা হাতে সামলে অনেকেরই সপ্তাহ অন্তর অন্তর পার্লারে গিয়ে মুখের লোম তোলার সুযোগ হয়ে ওঠে না। আবার পার্লারে মুখের লোম তোলার পদ্ধতিও যথেষ্ট বেদনাদায়ক। সেখানে ওয়াক্সিং, থ্রেডিং ছাড়া তো উপায় নেই। এসব করতে গিয়ে চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে আসে।
তাই এত ঝামেলার মধ্যে যেতে না চাইলে বরং বাড়িতেই সহজ ও প্রাকৃতিক উপায়ে মুখের লোম ভ্যানিশ হোক এবার। থ্রেডিং, ওয়াক্সিং ও রেজারের ব্যবহার ছেড়ে একদম প্রাকৃতিক উপায়ে মুখের অবাঞ্চিত লোম তুলুন। ঠোঁটের ওপর, দু'গাল ও আইব্রোর অবাঞ্চিত লোম তুলতে ঘরোয়া ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। এতে লোমও পরিষ্কার হবে এবং ত্বকও ভালো থাকবে।
জেনে নিন ঘরোয়া ফেসপ্যাক তৈরির পদ্ধতি—
>> মুখের লোম তুলতে দুর্দান্ত কার্যকরী চিনির পেস্ট। এর জন্য লাগবে চিনি, গ্লিসারিন এবং লেবুর রস। এসব সামান্য কিছু উপকরণ দিয়েই মুখের লোম তুলতে পারবেন ঘরে বসেই। প্রথমে একটি পাত্রে চিনি ও লেবুর রস নিয়ে তা গরম করুন। চিনি সম্পূর্ণ গলে গেলে তা নামিয়ে নিন। ইষদুষ্ণ অবস্থাতেই সেই পেস্টে কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মেশান। এই মিশ্রণ ঠোঁটের উপর ও থুতনিতে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর স্ক্রাব করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক দিন এই উপায়ে মুখের লোম তুলে নিতে পারেন।
>> দুধ বা পানির সঙ্গে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই পেস্ট অবাঞ্চিত লোমের ওপর লাগান। পেস্ট শুকনো হয়ে গেলে হাত দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন। লোমের অভিমুখে ঘষবেন। নিয়মিত এই টোটকা ব্যবহার করলে লোমের আধিক্য কমে যাবে।
>> বেসনের সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি মুখে মাখুন। শুকিয়ে গেলে স্ক্রাব করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। বেসন ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে এবং গোলাপ জল ত্বকে সতেজতা আনে।
>> ডিমের সাদা অংশ মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে পিল-অফ মাস্কের মতো করে এই ফেসপ্যাক তুলে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বকে এই ফেসপ্যাক দুর্দান্ত কাজ করে। এতে ফেসিয়াল হেয়ার দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বক টানটান হয়ে ওঠে।
>> পাকা পেঁপে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন। এতে এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি দিয়ে মুখে মালিশ করুন। এবার ১৫-২০ মিনিট বসে অপেক্ষা করুন। এরপর মুখ ধুয়ে ফেললেই অবাঞ্চিত লোম দূর হয়ে যাবে। তার সঙ্গে ত্বকের সমস্যা কমবে।
>> যুগ যুগ ধরে রূপচর্চায় চন্দনের ব্যবহার হয়ে আসছে। আগেকার দিনে ব্রণ, ফুসকুড়ি বেরলেই মা-দাদিরা চন্দন বেটে লাগিয়ে দিতেন। তাদের এই টোটকাতেই দু' দিনে গায়েব হত ব্রণ। তাহলে মুখের লোম তুলতে সেই চন্দনেই ভরসা রাখুন। তাতে ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। এই ফেসপ্যাক বানানোর জন্য লাগবে চন্দনের গুঁড়ো, বেসন, কমলা লেবুর খোসার গুঁড়ো, লেবুর রস এবং গোলাপ জল। এসব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে মুখে লাগান। ফেসপ্যাক শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর অল্প পানি নিয়ে মুখে স্ক্রাব করুন। এইভাবে সার্কুলার মোশনে মাসাজ করতে থাকুন। তারপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন মুখ। সপ্তাহে ২ দিন এই ফেসপ্যাক লাগালে দূর হবে মুখের লোম।
>> এক চামচ চিনির সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে ফেস স্ক্রাব বানিয়ে নিন। এই ফেস স্ক্রাব সার্কুলার মোশনে মুখের ওপর ঘষুন। লেবুর রস ত্বকে প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে এবং চিনি ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করে।
আরটিভি/এফআই
সকালের ডায়েটে থাক একমুঠো ভেজানো মুগ
মুগের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। এ ছাড়াও থাকে প্রয়োজনীয় খনিজ, ফাইবার। প্রতিদিন সকালে এক বাটি অঙ্কুরিত মুগ খেতে পারলে ওজন কমবে তাড়াতাড়ি। আর সুগার রোগীদের জন্য খুব ভালো ব্রেকফাস্ট হলো মুড়ি আর অঙ্কুরিত মুগ। সবুজ মুগ ডাল প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। ২০০ গ্রাম মুগ ডাল সেদ্ধর মধ্যে ক্যালোরি- ২১২, ফ্যাট- ০.৮ গ্রাম, প্রোটিন- ১৪.২ গ্রাম, কার্বস- ৩৮.৭ গ্রাম, ফাইবার- ১৫.৪ গ্রাম, এছাড়াও থাকে আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস, ভিটামিন বি ১ ইত্যাদি।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, সকালের খাবার মোটেই বাদ দেওয়া উচিত নয়। বরং সেখানে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের উপযুক্ত সমন্বয় থাকা দরকার।
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একমুঠো ভেজানো মুগে কী উপকার পাওয়া যাবে জেনে নিন—
ডায়াবেটিসের সুরক্ষায়: পারিবারিক ইতিহাসে ডায়াবেটিস রয়েছে? তাহলে প্রতিদিন ভেজানো মুগ খান। কারণ এতে সুগার একদম নেই। আর আপনার গ্লুকোমিক ইনডেক্সও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও মুগডালে প্রোটিন, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। যা আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ওজন কমে: ওজন কমাতে চাইলে আপনার ডায়েটে অবশ্যই রাখুন একবাটি সবুজ মুগ। থাকে ফাইবার, প্রোটিন। যা আমাদের কোশ গঠনে সাহায্য করে। এছাড়াও মুগ ডালের মধ্যে থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড। তাই মুগ ডাল দিয়ে খিচুড়ি কিংবা চিল্লা বানিয়ে নিন, কিংবা বানিয়ে নিন মুগ পোলাও। এতে যেমন পেট ভরবে তেমনই ওজনও কমবে।
হিট স্ট্রোক: যেভাবে গরম বাড়ছে তাতে বাড়বে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা। গরমের দিনে আজকাল হিট স্ট্রোক খুবই কমন। সবিজ মুগের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটারি বৈশিষ্ট্য। সেই সঙ্গে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গরমের দিনে শরীরকে আর্দ্র রাখে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রার হাত থেকেও শরীরকে বাঁচায়।
হজমের সমস্যায়: অল্পতেই অনেকের গ্যাস হয়ে যায়। তারা যদি প্রতিদিন এই ফাইবার সমৃদ্ধ সবুজ মুগ খেতে পারেন তাহলে খুবই ভালো। এতে পেট পরিষ্কার হয়। সেই সঙ্গে শারীরিক সমস্যাও থাকে দূরে। আর হার্টের সমস্যা, রক্তচাপ এসবও থাকে নিয়ন্ত্রণে। ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, পটাশিয়াম থাকায় রক্তচাপ বাড়ার আশঙ্কা থাকে না।
আরটিভি/এফআই/এআর
যেসব ঘরোয়া উপায়ে গজাবে নতুন চুল
চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। অল্প বয়সেই মাথায় টাক পড়ে যাচ্ছে নারী-পুরুষ উভয়েরই। নানা কারণে চুল পড়তে পারে। ধুলাবালু, বায়ুদূষণ ও আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেও চুল পড়ার হার বেড়ে যায়। দিনে একশোটা পর্যন্ত চুল পড়া কিন্তু স্বাভাবিক। সারাদিনে ৫০-১০০টা চুল পড়তেই পারে। আবার সেই জায়গায় নতুন চুলও গজিয়ে যায়। কিন্তু সমস্যা দেখা যায় তখনই, যখন চুল পড়ার পর আর নতুন করে চুল ওঠে না, বা অত্যাধিক চুল পড়তে থাকে।
এই চুল পড়া বন্ধ করার জন্য নানা পদ্ধতি আমরা মেনে চলি। কখনও দামি দামি প্রোডাক্ট ব্যবহার করি। কখনও বা ঘরোয়া উপায়ও কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। আসলে চুল পড়া বন্ধ করার জন্য আমাদের আগে জানা প্রয়োজন যে, চুল পড়ার কারণ। সেই মতো ঘরোয়া উপায় কাজে লাগিয়ে চুল পড়া বন্ধ করতে পারেন আপনি।
যেভাবে বুঝবেন অত্যধিক চুল পড়ছে:
মাথার সামনের দিকে এবং স্ক্যাল্পে চুলের ঘনত্ব কমতে শুরু করেছে।
১০০টা পর্যন্তও চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু চুল পড়ার পরিমাণ আগের তুলনায় বাড়লেই মুশকিল।
ভ্রুর চুল কিংবা চোখের পাতা, সর্বত্রই চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
মাথার ত্বকে খুশকির সমস্যা বেড়েছে বা স্ক্যাল্প ইনফেকশন দেখা দিচ্ছে।
তবে কয়েকটি ঘরোয়া উপায়েই সমাধান হতে পারে এই চুল পড়ার সমস্যা। জেনে নিন সেই উপায়গুলো কী কী—
ঘি এবং অলিভ অয়েল: প্রথমে ছোট একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ ঘি এবং ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ভালো করে মিশিয়ে নিন। এ বার এই মিশ্রণটি হালকা গরম করে নিন। খুব গরম তেল কিন্তু মাথার ত্বকে মাখা যাবে না। এ বার মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে ভালো করে চুল আঁচড়ে নিন। তারপর আঙুলের ডগা দিয়ে মাথার ত্বকে এই মিশ্রণ মেখে নিন। বিশেষ করে মাথার যে যে অংশ একেবারে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে, সেখানে ভালো করে মাসাজ করুন। আধ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
ঘি এবং অলিভ অয়েল থেকে যা পাওয়া যায়: খাঁটি ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে। অন্য দিকে ভিটামিন ই এবং কে-র পাশাপাশি অলিভ অয়েল মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ। এই সমস্ত উপাদান চুলের জন্য ভালো। মাথার ত্বকের আর্দ্রতা, পিএইচের সমতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। ফলে চুল মজবুত হয়। রক্ত চলাচলও স্বাভাবিক থাকে।
নারিকেল তেল, কালোজিরা ও মেথির মিশ্রণ: কালোজিরা এবং মেথি কড়া রোদে শুকিয়ে একসঙ্গে গুঁড়া করে নিন। এরপর নারিকেল তেলের সঙ্গে গুঁড়ো করা মেথি ও কালোজিরে মিশিয়ে মিশ্রণটিকে কয়েক মিনিট ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর একটি কাঁচের বোতলে রেখে দিন। এটি অন্তত তিন সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে। মিশ্রণটি চুলে লাগানোর আগে এর সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশ্রিত করে মাথার ফাঁকা স্থানে লাগিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করবেন। কয়েক মাসের মধ্যেই হাতেনাতে ফল পাবেন। এসব উপকরণ চুল পড়া বন্ধ করবে দ্রুতই।
নিম পাতার রস: নিমপাতার উপকারিতার কথা কম-বেশি সবারই জানা। এটি প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক যা নতুন চুল গজাতে এবং চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি চুলের গোড়া শক্ত করে এবং খুশকি দূর করে। নিমপাতা ভালো করে ধুয়ে পেস্ট করে নিন। এরপর সেই পেস্ট থেকে রস বের করে মাথার পুরো অংশে, চুলের গোড়াতে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। চাইলে পেস্টটি সরাসরি ব্যবহার করতে পারেন। কমপক্ষে ৩০ মিনিট রেখে তারপর হালকা গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন। এভাবে সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চারদিন করুন। চুল পড়ার সমস্যা দূর হবে মাসখানেকের মধ্যেই।
নিম পাতার পানি: আরেকটি উপায়ে ব্যবহার করতে পারেন নিমপাতা। পাতাগুলো ভালো করে ধুয়ে পানিতে ফুটিয়ে নিন। এই পানি ঠান্ডা করে তা দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এভাবেও উপকার পেতে পারেন।
দীর্ঘস্থায়ীভাবে চুল পড়া রোধ করতে ঘরোয়া উপায়ে যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি অগোছালো জীবনযাত্রার পরিবর্তন করতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম, পরিমাণমতো পানি পান ও সময়মতো খেতে হবে। তালিকায় রাখুন স্বাস্থ্যকর সব খাবার। তাজা ফল ও শাক-সবজি থাকুক পাতে। চুল সুস্থ ও সুন্দর রাখতে প্রচেষ্টা থাকতে হবে আপনারই।
আরটিভি/এফআই