অনেকেরই ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার সমস্যা থাকে। কেউ কেউ তো ঘুমের সঙ্গে সঙ্গেই নাক ডাকা শুরু করে দেন। আর এই সমস্যা যার থাকে তার জন্য সমস্যায় পড়তে হয় আশপাশের মানুষদের। যার জন্য ওই ব্যক্তির পাশে কেউ ঘুমাতে চায় না। অস্বাভাবিক নাক ডাকার কারণে অনেক সময় ভেঙে যায় ঘুম। এ সমস্যাগুলো যাদের রয়েছে তারা অনেকেই সমাধান খুঁজেও হয়তো পাচ্ছেন না। চলুন জেনে নেই নাক ডাকার মূলত কারণগুলো কি এবং এর সমাধানে কি করণীয়।
যে যে কারণে হয় নাক ডাকা-
- নাকে মাংস বৃদ্ধির ফলে নাকের নালি ছোট হয়ে যায় ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা আসে এবং নাক ডাকা শুরু হয়।
- শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গলার চারপাশে চর্বি জমতে থাকে, কমে যায় গলার পেশির নমনীয়তা। তার ফলে নাক ডাকার সমস্যা হতে পারে।
- থাইরয়েডের সমস্যা ও গ্রোথ হরমোনের আধিক্যজনিত রোগেও দেখা দিতে পারে নাক ডাকার সমস্যা।
- অনেক সময় চিত হয়ে ঘুমালে জিভ পিছনে চলে গিয়ে শ্বাসনালি বন্ধ করে দেয়, তখন শুরু হয় নাক ডাকা।
- জন্মগত কারণে শ্বাসযন্ত্র সরু হয়ে গেলে বা চোয়ালে কোনো সমস্যা থাকলেও শুরু হতে পারে নাক ডাকা।
- ধূমপান বা অতিরিক্ত মদ্যপানও হয়ে উঠতে পারে ফলে এই সমস্যার কারণ।
নাক ডাকা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়-
ওজন হ্রাস- অতিরিক্ত ওজন নাক ডাকার কারণগুলোর মধ্যে একটি। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন, তাতে সমস্যা কমবে।
মদ্যপান ও ধূমপান পরিত্যাগ- অ্যালকোহল কিংবা মদজাতীয় পানীয় জিভের পেশিগুলো শিথিল করে দেয়। এতে শ্বাসনালি সংকুচিত হয়ে পড়ে। ফলে নাক ডাকা শুরু হতে পারে। তাই এই অভ্যাস ত্যাগ করুন।
শোয়ার ভঙ্গি পরিবর্তন করুন- চিত হয়ে ঘুমালে এই সমস্যা দেখা দেয়, তাই এর থেকে মুক্তি পেতে পাশ ফিরে ঘুমান।
ঘুমোনোর আগে পানি পান- এই অভ্যাসও নাক ডাকার সমস্যা কমিয়ে দিতে পারে।
ভালো ঘুম- অনিদ্রার অনেকগুলো কুফলের মধ্যে একটি হলো নাক ডাকা। তাই প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন।