কিসমিস ভেজানো পানির উপকারিতা জেনে নিন
কিসমিসের পানির যে কত উপকারিতা রয়েছে তা অনেকেই হয়তো ঠিকভাবে জানেন না। কিসমিস একটি স্বাস্থ্যগুণ সম্পন্ন খাবার। কিসমিসের পুষ্টিগুণ আরও ভালোভাবে পাওয়া যায় কিসমিস ভেজানো পানি পান করলে।
জেনে নিন ৭ দিন কিসমিস ভেজানো পানি খেলে শরীরে কি উপকারগুলো হয়-
- মুখ মিষ্টি করার জন্য অনেকেই এমনি এমনি কিসমিস খান। তা ছাড়া পায়েস, চাটনির মতো নানা পদেও ব্যবহার হয়ে থাকে কিসমিস। তবে এর রয়েছে আশ্চর্য উপকারিতা, যা অনেকেই জানেন না। আয়ুর্বেদে কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে খাওয়ার কথা বলা হয়। দেখুন কীভাবে তা খাবেন।
- কিসমিস ভেজানো পানি হার্ট ভালো রাখে। শরীর থেকে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল দূর করে দেয়। রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেল। ভালো রাখে লিভার-কিডনি। এমনকী টক্সিনও বের করে দেয় শরীর থেকে। সঙ্গে এই পানি হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয়।
- কিসমিস ভেজানো পানিতে রয়েছে কার্বোহাইট্রেট, যা এনার্জি জোগায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, কিসমিস ভেজানো পানি খেলে শরীরে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। ফলে রক্ত পরিশোধিত হতে শুরু করে। কিসমিস থেকে পাওয়া যায় ভরপুর এনার্জি, যা সারাদিন আপনাকে রাখে প্রাণবন্ত।
- দু কাপ পানির মধ্যে ১৫০ গ্রাম কিসমিস ভেজান। ভেজানোর আগে কিসমিস ধুয়ে নিতে হবে। এবার সারারাত এভাবে রেখে দিন। তারপর সকালে ছেঁকে নিয়ে তা হালকা গরম করে নিন। সকালে খালি পেটে পান করুন। তারপর অন্তত ৩০ মিনিট কিছু খাবেন না।
- ভেজানো কিসমিস আপনি চাইলে খেতে পারেন। না খেলেও ক্ষতি নেই। সপ্তাহে অন্তত ৪ দিন খালি পেটে এই পানি খেলে ১ মাসের মধ্যেই ফল পাবেন হাতেনাতে। বিশেষ করে মেয়েরা এই রুটিন ফলো করুন। কারণ মেয়েদের মধ্যে রক্তসল্পতার সমস্যা একটু বেশিই দেখা যায়। এবং এক্ষেত্রে কিসমিসে থাকা আয়রন বিশেষভাবে কাজে দেয়।
যেভাবে খাবেন কিসমিস- কিসমিস রাতভর পানিতে ভিজিয়ে রাখলে কিসমিসে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সহজেই দ্রবণীয় হয়ে যায়। ফলে সেই পানি পান করলে কিসমিসের গুণাগুণ আমাদের শরীর আরও সহজে নিতে বা শোষণ করতে পারে। তাই সকালে খালি পেটে ভেজানো কিসমিসসহ পানি পান করলে মিলবে নানা উপকারিতা।
মন্তব্য করুন
ঝটপট ত্বকে উজ্জ্বলতা দেবে ডিমের ফেসপ্যাক
রূপচর্চায় ডিম ব্যবহার নতুন নয়। তবে মূলত, চুলের যত্নেই ডিম ব্যবহার করতে দেখা যায় বেশি। ডিমের সাদা অংশটা যদি ত্বকের চর্চায় ব্যবহার করা যায়, তাহলে ত্বক হবে টানটান, উজ্জ্বল। ডিমে রয়েছে লুটিন নামে এক ধরনের উপাদান, যা ত্বককে আর্দ্র রাখে। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে মসৃণ। ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রাকৃতিক প্রোটিন ও অ্যালবুমিন, যা ত্বক টানটান করে। এখনকার ব্যস্ত সময়ে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময়েই নেই আমাদের হাতে। তাই ঝটপট ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে কার্যকর ডিমের ফেসপ্যাক।
রূপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিমের কুসুম কিন্তু ত্বক ঝকঝকে করতে দারুণ কাজে লাগে।
জেনে নিন ফেসপ্যাক তৈরির নিয়ম—
শুষ্ক ত্বকের জন্য প্রথমে একটি ডিম নিয়ে তার থেকে কুসুম আলাদা করে নিন। এবার এই কুসুমটির সঙ্গে এক চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন। মুখে ভালো করে ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলে এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে নিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট বাদে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি শুষ্ক ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে।
মুখের অন্যান্য সমস্যার মধ্যে একটি সমস্যা হল ব্ল্যাকহেডেস। এ জন্য একটি ডিমের কুসুমকে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর তা ব্রাশে করে নাকের চারপাশে লাগিয়ে নিন। এরপর একটি টিস্যু পেপার লাগিয়ে নিন নাকের ওপর। ডিমের প্রথম লেয়ারটি শুকিয়ে গেলে আরেকটি লেয়ার লাগিয়ে নিন। এরপর শুকিয়ে গেলে কাগজ গুলোকে টেনে তুলে ফেলুন। দেখবেন কাগজের সঙ্গে ব্ল্যাকহেডসও উঠে আসবে।
তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রবল সম্ভবনা দেখা যায়। সেক্ষেত্রে একটি ডিমের কুসুম, এক চামচ মধু এবং এক চামচ বাদাম তেল নিয়ে তা ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর প্যাকটি ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ত্বক উজ্জ্বল রাখতে একটি ডিমের কুসুম, এক চামচ ঘন ক্রিম এবং এক চামচ গাজরের রস মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিন। এবার এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল করে তুলবে।
আরটিভি/এফআই-টি
চোখের সমস্যা দূর করতে গাজর কতটা কার্যকর
চোখ দেহের সবচেয়ে স্বচ্ছ অঙ্গগুলোর একটি। চোখের সমস্যা আজকাল সব বয়সীদের মধ্যেই দেখা যায়। অনেকের ক্ষেত্রে আবার রাতে চোখে দেখায় অসুবিধা হয়। রাতকানা না হলেও, রাতেরবেলা দিনের তুলনায় চোখে দেখতে বেশ কষ্ট হয়। কী খেলে রাতের বেলাতেও দৃষ্টিশক্তি প্রখর হবে তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অনেকে বলেন গাজর খেলে দৃষ্টিশক্তি প্রখর হয়। এমনকি যাদের রাতেরবেলা চোখে দেখার সমস্যা রয়েছে, তার সমাধানও নাকি লুকিয়ে রয়েছে এই সবজিতেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক গাজর খেলে সত্যিই রাতে চোখে দেখার সমস্যা দূর হয় কিনা।
গাজরের মধ্যে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন। এই উপকরণ মানবশরীরে গিয়ে ভিটামিন এ- তে রূপান্তরিত হয়। আর ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপকরণ। বিশেষ করে কর্ণিয়ার সমস্যা, কিংবা রাতের বেলায় চোখে দেখতে পাওয়ার অসুবিধা সংক্রান্ত বিষয় দূর করতে কাজে লাগে ভিটামিন এ। আসলে ভিটামিন এ আলোকে স্থানান্তরিত করে সিগন্যালে যার ভিত্তিতে সাড়া দেয় আমাদের মস্তিষ্ক।
কিন্তু তাই বলে শুধু গাজর খেলেই কিন্তু আপনার দৃষ্টিশক্তি সাংঘাতিক প্রখর হয়ে যাবে না। কারণ চোখের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার জন্য গাজর নিঃসন্দেহে একটি প্রয়োজনীয় উপকরণ। কিন্তু শুধুমাত্র গাজরই যাবতীয় চোখ এবং দৃষ্টিশক্তি সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করতে পারে না। এর জন্য দরকার আরও অনেক উপকরণ। তবে প্রতিদিন গাজর খেলে কী কী উপকার পাবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক
গাজরে রয়েছে ক্যারোটিনয়েডস। এই উপকরণ বিশেষ কিছু ধরনের ক্যান্সার রুখে দিতে সহায়তা করে।
গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই গাজর খেলে সহজে পেট ভরে এবং অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। খাইখাই ভাব কমায়।
গাজরের মধ্যে গ্লাইসেমিক অ্যাসিডের পরিমাণ কম। তার ফলে ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই ডায়াবেটিস থাকলে গাজর খেতে পারেন।
ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে গাজরের মধ্যে। এই খাবার হাড়ের গঠন মজবুত করে। হাড় ক্ষয় হতে দেয় না।
ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় গাজর খেলে পেট ভর্তি লাগে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে এই গাজর।
গাজরের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি। এই উপকরণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সাহায্য করে গাজর।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এড়াতে নিয়মিত গাজর খেতে পারেন। কাঁচা গাজর ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে খেতে পারেন।
ব্লাড প্রেশার কমাতে গাজর সাহায্য করে। এছাড়াও গাজর খেয়াল রাখে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের। হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতাও কমে।
লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গাজর খেতে পারেন। অ্যাসিডিটির সমস্যাও দূর করে এই গাজর।
আরটিভি/এফআই
ঝাল ছাড়া ‘রেলওয়ে মাটন কারির’ রেসিপি
কষা মাংস-লুচি, গরম ভাত-শুনলে জিভে জল আসে না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া যাবে না। মোগল-ইংরেজদের সঙ্গে মিশে খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন ঘটলেও একই থেকে গিয়েছে বাঙালির মাংস-ভাতের অভ্যাস। আর মাংস দিয়ে তৈরি হয় মুখরোচক নানা খাবার। খাসির মাংস দিয়ে কোন পদ রাঁধবেন, এই নিয়ে অনেকের মনে দ্বিধা থাকে। একটু অন্য রকম স্বাদে খাসির মাংস রাঁধতে চাইলে ঝাল ছাড়া মাটন কারি চেষ্টা করে দেখতে পারেন। রান্নার প্রণালীটিও বেশ সহজ। তাহলে ঝটপট রান্নার পদ্ধতিটি শিখে নিন।
উপকরণ:
মাটন - ১ কেজি
আদা রসুনের পেস্ট - ১ চা চামচ
কালো গোলমরিচ গুঁড়ো করা - আধ চা চামচ
বড় আলু ৪টি (খোসা ছাড়িয়ে কাটা)
হলুদ গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ
কালো এলাচ - ২ টি
সবুজ এলাচ - ৩ টি
তেজপাতা - ১ টি
পেঁয়াজ ( ঝিরিঝিরি কাটা ) - ৫ টি মাঝারি সাইজের
ধনে গুঁড়ো - ২ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়ো - ১ চা চামচ
টমেটো পিউরি - ১ কাপ
পানি - ২-৩ কাপ
লবণ - স্বাদমতো
তেঁতুল বাটা - ১ চা চামচ
স্পেশাল মশলা - ১ টেবিল চামচ
প্রণালী:
হাড়যুক্ত মাটন খুব ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে স্বাদ অনুযায়ী লবণ, আদা-রসুন বাটা, গোলমরিচের গুঁড়ো এবং এক চামচ সরিষার তেল মিশিয়ে খুব ভালো করে মটনে মাখিয়ে নিন। আধ ঘণ্টার মতো মাংসটা ম্যারিনেটে বসিয়ে দিন। আলুর খোসা ছাড়িয়ে লবণ হলুদ মাখিয়ে ভালো করে ভেজে তুলে রাখুন।
এবার বানিয়ে ফেলুন রেলওয়ে মাটনকারির স্পেশাল মশলা। বড় এবং ছোট এলাচ, কালো গোলমরিচ, মৌরি, ধনে, দারচিনি, পাথরের ফুল (অপশনাল) এবং সামান্য লবণ শুকনো কড়াইয়ে ভেজে তুলে নিন। ভাজা মসলা ব্লেন্ডারে নিয়ে মিহি করে গুঁড়ো করে নিন। পুরো মসলাটা রান্নায় লাগবে না। তাই এটি তুলে রাখতে পারেন। পরের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।
প্রেশার কুকারে সরিষার তেল গরম করে তাতে বড় এবং ছোট এলাচ, তেজপাতা ফোঁড়ন দিন। সুগন্ধ উঠলে তাতে ঝিরঝিরি করে কাটা পেঁয়াজ এবং স্বাদমতো লবণ দিয়ে ভাজতে থাকুন। লবণ দেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন যে, মাংস, আলু এবং স্পেশাল মশলাতেও আগে লবণ দেওয়া হয়েছে। তাই লবণের পরিমাণটা বুঝে দিন। পেঁয়াজ ভাজা ভাজা হয়ে আসলে তাতে ম্যারিনেট করা মাটন দিয়ে ভাজতে থাকুন। মাংস যতক্ষণ না পরিমাণে প্রায় অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ ভাজুন। এবার এতে ধনে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, টমেটো পিউরি দিয়ে মাঝারি থেকে বেশি আঁচে মিনিট দশেক কষান। মশলা থেকে তেল আলাদা হলে তাতে পানি এবং তেঁতুলের পেস্ট দিয়ে দ্রুত ফুটিয়ে নিন। তারপর প্রেশার কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে মাঝারি থেকে উচ্চ আঁচে ৬ থেকে ৭ সিটি দিয়ে নিন।
প্রেশার কুকারের ভাপ বেরিয়ে গেলে ঢাকনা খুলে মাংসের ওপরে ধনেপাতা, ভাজা আলু এবং স্পেশাল মশলা ছড়িয়ে দিয়ে আরেকবার একটা সিটি দিন। তাহলেই তৈরি আপনার রেলওয়ে মাটন কারি। সাদা ভাত, পোলাও, রুটি, নান, পরোটা, কিংবা পাউরুটির সঙ্গে অসাধারণ খেতে লাগে এই রেলওয়ে মাটন কারি।
আরটিভি/এফআই
‘ইলিশ’ ভেবে উচ্চমূল্যে ‘সার্ডিন’ খাচ্ছেন না তো!
অনেক সময় আমরা আসল ইলিশ মাছ চিনতে ভুল করে থাকি। আর এই সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী। তারা ইলিশ মাছের মতো দেখতে সার্ডিন মাছকে ইলিশ বলে চালিয়ে দিচ্ছে। উচ্চমূল্যে ইলিশ কিনে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সরল ক্রেতা।
চলুন, জেনে নেওয়া যাক সার্ডিন ও ইলিশ চেনার উপায়:
সার্ডিনের দেহ পার্শ্বীয়ভাবে পুরু এবং পিঠের দিকের চেয়ে পেটের দিক অপেক্ষাকৃত উত্তল ও চ্যাপ্টা।
ইলিশের দেহ পার্শ্বীয়ভাবে পুরু, পিঠের ও পেটের দিক প্রায় সমভাবে উত্তল।
সার্ডিন বা চন্দনা ইলিশের দেহের দৈর্ঘ্য সাত সেন্টিমিটার থেকে বিশ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। ইলিশ বেশ বড় (৭৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত) হয়ে থাকে।
সারডিনের মাথার আকৃতি ছোট ও অগ্রভাগ ভোতা। ইলিশের মাথার আকৃতি লম্বাটে ও অগ্রভাগ সূচালো।
সার্ডিনের পৃষ্ঠীয় পাখনার অগ্রভাগে এবং পুচ্ছ পাখনার কিনারা ঘোলাটে। ইলিশের পৃষ্ঠীয় পাখনার অগ্রভাগে এবং পুচ্ছ পাখনার কিনারা অনেটা সাদাটে।
সার্ডিনের চোখের আকৃতি তুলনামূলকভাবে বড়। আসল ইলিশের চোখের আকৃতি তুলনামূলকভাবে ছোট।
সার্ডিনের পার্শ্বরেখা বরাবর এক সারিতে আইশের সংখ্যা ৪০ থেকে ৪৮টি। ইলিশের ৪০ থেকে ৫০টি।
সার্ডিনের বুকের নিচে ধারালো কিল বোন বা স্কুইটস বিদ্যমান এবং স্কুইটস এর সংখ্যা ২৯টি থেকে ৩৪টি পর্যন্ত থাকে। ইলিশেল পেটের নিচে বিদ্যমান স্কুইটসের সংখ্যা ৩০ থেকে ৩৩টি পর্যন্ত থাকে।
সার্ডিনের পৃষ্ঠীয় পাখনার উৎসে একটি কালো ফোঁটা রয়েছে। আসল ইলিশের কানকুয়ার পরে একটি বড় কালো ফোঁটা এবং পরে অনেকগুলো কালো ফোঁটা (a series of small spots) থাকে।
সার্ডিনের মাথার দৈর্ঘ্য দেহের আদর্শ দৈর্ঘ্যরে শতকরা ২২ থেকে ৩২ ভাগ হয়ে থাকে। ইলিশের মাথার দৈর্ঘ্য দেহের আদর্শ দৈর্ঘ্যরে শতকরা ২৮ থেকে ৩২ ভাগ হয়ে থাকে।
আরটিভি/টিআই
রোদে পোড়া দাগ দূর হবে বেসনের এই বিশেষ প্যাকেই
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। যাদের শরীরে মেলানিন কম থাকে, তাদের ত্বক সহজেই রোদে পুড়ে যায়। এদিকে উৎসবেও বাহিরে ঘোরাঘুরি সময় সানস্ক্রিন, ছাতা ব্যবহারের পরেও সূর্যের তেজে চামড়ায় ট্যান (রোদে পোড়া কালো ছোপ) পড়েছে। এবার সেই হাত পায়ের ট্যান তোলার পালা। ঘরোয়া প্যাক দিয়েই ডিট্যান করে ফেলুন। এতে খরচও বাঁচবে অনেকটাই। এই দিকে ফলাফলও মিলবে দুর্দান্ত। তাহলে দেরি না করে ঝটপট সেই প্যাকের সম্বন্ধে জেনে নিন বিস্তারিত।
উপকরণ লাগবে সামান্যই—
বেসন, দই মোটামুটি সকলের বাড়িতেই থাকে। তা দিয়েই কিন্তু ট্যান (রোদে পোরা ভাব) উঠে যাবে নিমেষে। পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়বে দূর হবে ব্রণের দাপটও।
এই ফেসপ্যাক বানাতে লাগবে:
১. ১ টেবিল চামচ বেসন
২. ১ টেবিল চামচ দই
৩. আধ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
৪. ১ চা চামচ লেবুর রস
৫. ১ টেবিল চামচ মধু
যেভাবে বানাবেন:
প্রথমে একটি ছোট বাটিতে ১ টেবিল চামচ বেসন নিয়ে নিন। তাতে আধ চা চামচ হলুদের গুঁড়ো দিয়ে মেশান। এরপর দই দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। তাতে দিয়ে দিন লেবুর রস এবং মধু। স্মুদ পেস্ট না হওয়া পর্যন্ত ভালো করে মেশাতে থাকুন। তাহলেই কয়েক মিনিটে তৈরি হয়ে গেল আপনার ডিট্যান প্যাক।
এবার হাত-পায়ে তা লাগানোর পালা। ট্যান পড়া হাত-পা, গলায় ভালো করে বেসনের প্যাক লাগিয়ে নিন। তারপর ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তাতেই হাত-পা শুকিয়ে আসবে। এর পর ভেজা হাতে হালকা করে স্ক্রাবিংটা সেরে ফেলুন। শেষে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন।
প্যাকের গুণআগুণ:
ঘরোয়া রূপটানে যুগ যুগ ধরে বেসনের ব্যবহার হয়ে আসছে। আগেকার দিনে মা-দাদিরা কাজের ফাঁকে এই উপকরণ দিয়েই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নিতেন। এখনও ঘরোয়া রূপচর্চায় সমানভাবে প্রাসঙ্গিক বেসন। এই উপকরণ ত্বককে এক্সফলিয়েট করে মৃত কোষ দূর করে। পাশাপাশি ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। হাইপারপিগমেন্টেশন এবং ব্রণও দূর হয় এর ছোঁয়ায়।
এই দিকে দইয়ে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিডও ত্বককে এক্সফলিয়েট করে ভিতর থেকে। ত্বককে ময়শ্চারাইজ করতেও এর জুড়ি মেলা ভার। এর ছোঁয়াতেই দূর হয় ট্যানিং। আর লেবুর রস এবং মধু প্রাকৃতিক ব্লিচের কাজ করে। ট্যান এবং দাগছোপ দূর হয় এর গুণে। এক চিমটে হলুদের ছোঁয়ায় ব্রণ দূর হয়। কমে ত্বকের সংক্রমণ, জ্বালাপোড়া ভাবও।
মাথায় রাখুন এই টিপস
এতসব গুণে ভরপুর এই ফেসপ্যাক সপ্তাহে ২-৩ দিন মাখুন। দেখবেন দু' সপ্তাহেই সমস্ত ট্যান উধাও হয়েছে। এছাড়া এই প্যাক ব্যবহারের দিনেই কিন্তু সাবান ব্যবহার করবেন না। এই নিয়ম মেনে প্যাকটি ব্যবহার করলে কয়েক দিনে পার্থক্য নিজে চোখে দেখতে পাবেন। ট্যান তো দূর হবেই। সঙ্গে উপচে পড়বে ত্বকের উজ্জ্বলতাও।
আরটিভি/এফআই
টোনার যেভাবে ব্যবহারে সুফল পাওয়া যাবে
রূপরুটিনে টোনারের ভূমিকা সত্যিই অনবদ্য। ত্বক উজ্জ্বলে টোনারের জুড়ি মেলা ভার। টোনার ত্বক ভিতর থেকে কোমল এবং আর্দ্র রাখে। তবে টোনার সম্পর্ক কিছু ভুল ধারণা রয়েছে অনেকেরই। যেগুলো মন থেকে ঝেড়ে না ফেললে টোনারের প্রকৃত উপকার পাওয়া যাবে না।
আপনার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রেখে আর্দ্রতার ঘাটতি পূরণ করতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে ফেসিয়াল টোনার। বাজারচলতি টোনার ব্যবহার করার বদলে বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন এটি। বাড়িতে টোনার বানানোর নিয়ম শিখে নিন এবং এর উপকারিতা সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল থাকুন।
১) অনেকেই ক্লিনজারের বিকল্প হিসাবে টোনার ব্যবহার করেন। তবে এমনটা কখনওই করা উচিত নয়। মুখ ভালো করে পরিষ্কার করার পরেও ত্বকে থাকা ব্যাক্টেরিয়া, বাড়তি তেল, মৃত কোষ পরিষ্কার করতে টোনার ব্যবহার করা হয়। তাই টোনার কখনওই ক্লিনজারের বিকল্প হতে পারে না।
২) অনেকেরই মনে হয় টোনার ব্যবহার করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। বিভিন্ন ধরনের টোনারে ভিন্ন উপাদান থাকে। প্রতিটির কাজ এক নয়। তাই আপনি কী রকম টোনার কিনছেন, তার উপরেই তৈলাক্ত কিংবা শুষ্কতা নির্ভর করে।
৩) স্ক্রাবারের পরিবর্তে শুধুমাত্র টোনার ব্যবহারেই ত্বকের মৃত কোষের বিড়ম্বনার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়- এমনটাই ভাবেন অনেকে। এই ধারণা একদম ভুল। আপনার ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে সাহায্য করতে পারে টোনার। তবে তা কখনও সম্পূর্ণভাবে ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে পারে না।
অ্যালোভেরার টোনার: হেলথলাইন জানাচ্ছে, অ্যালোভেরায় নানা উপকারী উপাদান রয়েছে, যা আপনার ত্বককে জেল্লাদার করে। অ্যাকনে কমাতেও সাহায্য করে। ত্বকের আর্দ্রতাও ধরে রাখে। শুষ্ক এবং সাধারণ ত্বকে এই টোনার ব্যবহার করতে পারেন আপনি।
যেভাবে বানাবেন: এই টোনার বানাতে আপনার প্রয়োজন, আধ কাপ রোজ ওয়াটার এবং আধ কাপ অ্যালোভেরা। এই দুই উপাদান ভালো করে মিশিয়ে বানিয়ে নিন টোনার। তারপর স্প্রে বোতলে ঢেলে রাখুন।
এসেনশিয়াল অয়েল টোনার: এই ধরনের ফেসিয়াল টোনারও ব্যবহার করতে পারেন আপনি। ত্বকের স্বাস্থ্য ধরে রাখতে এটি বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। টি-ট্রি অয়েল দিয়ে এই টোনার তৈরি করুন। তবে টি-ট্রি অয়েলের পরিবর্তে আপনি ল্যাভেন্ডার, ক্যামোমাইল, রোজ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন।
বানানোর নিয়ম: একটি পাত্রে পরিমাণ মতো গোলাপ জল নিন। তার মধ্যে আধ চামচ ভিটামিন ই অয়েল মেশান। এর সঙ্গে ৩ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে দিন। প্রতিটি উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ঢেলে রাখুন।
রোজ ওয়াটার টোনার: হেলথলাইন জানাচ্ছে, গোলাপ জল ত্বকের জন্যে উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান। এটি আপনার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে। আপনার ত্বকে প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। এক্সফোলিয়েটর হিসেবেও এর ভূমিকা রয়েছে।
যেভাবে বানাবেন: একটি পাত্রে ১ টেবিল চামচ গোলাপ জল নিন। এর সঙ্গে ১ টেবিল চামচ অ্যালকোহল মুক্ত উইচ হ্যাজেল মিশিয়ে নিন। এই দুই উপকরণ মিশিয়ে তৈরি করুন আপনার টোনার।
টোনার ব্যবহার করার সঠিক নিয়ম—
আপনার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখে টোনার। আর্দ্রতার ঘাটতিও পূরণ করে। ফলে, ত্বকের একাধিক সমস্যাও ধারেকাছে ঘেষতে পারে না। এই ৩ টোনারই গ্রীষ্ণে ব্যবহারের উপযুক্ত। এসব উপকার পেতে ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। তারপর একটি কটন প্যাডে টোনার নিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। ২ মিনিট পরে ময়শ্চারাইজার বা সানস্ক্রিন লাগান। দিনে ২ বার এই টোনার ব্যবহার করতে পারেন।
আরটিভি/এফআই
ফেসিয়াল করার পর ভুলেও এই ৫ কাজ করবেন না
সুন্দর টানটান ত্বক কে না চায়, কিন্তু ওমন সুন্দর ত্বক তো আর এমনি পাওয়া যায় না। তার জন্য় প্রয়োজন যত্নের। নিয়মিত রূপটানের দ্বারাই পাওয়া যেতে পারে সুন্দর, দাগছোপহীন ত্বক। ত্বকের যত্ন নিতে ফেসিয়ালের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু অনেকেই ফেসিয়ালের পর এমন কিছু কাজ করে থাকেন যার জন্য ত্বকের মোটেই ভালো নয়, বরং এই কাজগুলো করলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে আপনার। সেই সঙ্গে লাবণ্য হারিয়ে ফেকাসে হয়ে যায় মুখের ত্বক। আর সেই কারণেই তো ফেসিয়ালে পর কিছু কাজ একেবারেই করা উচিত নয় বলে জানান ত্বক বিশেষজ্ঞরা।
আসলে ফেসিয়ালের পরে ত্বক খুব নরম ও সেনসিটিভ হয়ে যায়। সেই কারণেই তো এই সময় আরও বেশি করে ত্বকের যত্নের প্রয়োজন হয়। আর এই কাজটি যদি ঠিক মতো না করেন, তাহলে উলটো ঘটনাটাই ঘটে। সদ্য ফেসিয়ালের পর কী কী করা উচিত নয় দেখে নিন।
কী কী কাজ করতে নেই জেনে নিন—
স্ক্রাবিং করবেন না: ফেসিয়ালের সময় এমনিতেই ত্বকের উপরের অংশে জমে থাকা ময়লা, মৃত কোষ ধুয়ে য়ায়। তাই এই ধরনের ত্বকের পরিচর্যার পর আরও একবার স্ক্রাবিং করার প্রয়োজন হয় না। আর যদি আপনি এমনটা করেন, তাহলে স্কিন সেলে মারাত্মকভাবে ক্ষতি হয়ে যায়। তাই ফেসিয়ালের করার কিছুদিন পরই বরং স্ক্রাবিং করুন। এতে আপনি ভালো ফল পাবেন।
রোদ লাগাবেন না ত্বকে: ফেসিয়ালের পর ত্বক যেহেতু সস্পর্শকাতর হয়ে যায়, তাই এই সময় চড়া রোদে ঘোরাঘুরি না করাই ভালো। আপনি যদি এমনটা করলেন তাহলে ত্বকের অনেকটাই অবনতি ঘটবে। সেই সঙ্গে অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাবে স্কিনের উপও মারাত্বকভাবে পুড়ে যায়। এর ফলে ত্বকে নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে।
থ্রেডিং করবেন না: স্ক্রাবিং-এর মতই ফেসিয়ালের পর ভুরু প্লাক বা থ্রেডিং করবেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, আসলে এই সময় ত্বকের উপরিভাগ নরম থাকে যার ফলে এই সময় থ্রেডিং করলে ত্বকের প্রদাহ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এক কথায় বলতে গেলে ত্বক যখন খুব স্পর্শকাতর পরিস্থিতিতে থাকে তখনই প্রদাহ বা জ্বালা সৃষ্টি হয়। তাই এমন কাজ করা একেবারেই উচিত নয়। এত ভালোর থেকে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
নতুন কোনও বিউটি প্রডাক্ট নয়: আসলে ফেসিয়াল পর ত্বক খুব সেনসিটিভ হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময় নতুন কোনও ক্রিম বা বিউটি প্রডাক্ট ব্যবহার ট্রাই না করারই শ্রেয়। একান্ত যদি চান তাহলে ফেসিয়াল করার অন্তত ৩-৪ দিন পর বিউটি প্রডাক্ট ব্য়বহার করবেন
ফেস মাস্ক: এই সময় কোনও ফেসিয়াল মাস্ক ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, অনেকে মনে করেন ফেসিয়ালের পর প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি ফেসিয়াল পেস্ট ব্যবহার করা যেতেই পারে, তাতে কোনও ক্ষতি হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরণা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ ফেসিয়ালের পর ত্বক যেহেতু খুব স্পর্শকাতর হয়ে যায়। তাই এই সময় যে কোনও কিছু থেকে ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেসিয়ালের কম করে ৩৬ ঘন্টা পর থেকে ফেস মাস্ক বা কেমিকেল পিলং ব্যবহার করবেন, তার আগে নয়।
আরটিভি/এফআই