ত্বক-চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায় গাজর
গাজর খেতে অপছন্দ করেন এমন মানুষ কমই আছেন। এটি এমন এক সবজি, যা সারা বছর বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। স্বাদ ও পুষ্টিগুণে সেরা গাজর রূপচর্চার উপাদান হিসেবেও বেশ কার্যকর। গাজরে রয়েছে উল্ল্যেখযোগ্য পরিমাণে বেটা-ক্যারোটিন, একটি খাঁটি ‘মলিকিউল’ বা অণু যা বিভিন্ন উদ্ভিজ্জ উপাদান থেকে পাওয়া যায়। আর গাজর সঠিকভাবে ত্বকে ব্যবহার করতে পারলে বহুগুণে উপকার পাওয়া যায়।
চোখ আর দাঁতের মতো ত্বক ও চুলের জন্য বেশ উপকারি এটি। গাজর ত্বক আর চুলের সব সমস্যা এই এক গাজর ব্যবহারেই সমাধান করতে পারবেন। রূপচর্চার রুটিনে যদি গাজর যোগ করা যায় তবে ত্বক হবে উজ্জ্বল আর প্রাণবন্ত।
সমৃদ্ধ ত্বকের প্রসাধনীতে গাজরের নির্যাস অথবা এর বীজের তেল ব্যবহার করা হয়। এগুলো উচ্চ বেটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ। গাজরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং দুষণের কারণে হওয়া ত্বকের ক্ষতি রোধ করে। বেটা ক্যারোটিন রূপান্তরিত হয় ভিটামিন ‘এ’ হিসেবে, যা বয়সের ছাপ কমায়, কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায়। ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও স্থিতিস্থাপকতা বাড়ে।
গাজর খাওয়ার নির্দিষ্ট কিছু উপকারিতা রয়েছে যেমন- আঁশ বৃদ্ধি এবং চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখা। তবে প্রসাধনী হিসেবে এটা ব্যবহার করা ত্বকে ভিন্ন কিছু পরিবর্তন আনতে পারে। খাবার ও প্রসাধনী হিসেবে একই পণ্য ব্যবহার দেহে ভিন্ন ভিন্ন কাজ করতে পারে। তবে ত্বক ভালো রাখতে বেটা ক্যারোটিনের ব্যবহার সবচেয়ে নিরাপদ।
ত্বকে গাজরের নির্যাস সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে লক্ষ করা উচিত, এর সঙ্গে আর্দ্রতা রক্ষাকারী উপাদান যেমন- সেরামাইড, হায়ালুরনিক অ্যাসিড, গ্লিসারিন ইত্যাদি আছে কি না। গাজর অন্যান্য ভিটামিন এ সমৃদ্ধ পণ্যের মতো কাজ করে। তবে বিশেষজ্ঞরা রেটিনয়েড সমৃদ্ধ পণ্যের সঙ্গে গাজর ব্যবহারে নিষেধ করেন। কারণ, তা ত্বকে ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
মন্তব্য করুন