বাচ্চাদের ‘উচ্চতা’ বাড়ায় এই ৫ মহৌষধি খাবার

বাড়ন্ত শিশুর পুষ্টির চাহিদা মেটাতে অভিভাবকদের একটু বাড়তি খেয়াল রাখতেই হয়। এ সময় উচ্চতা ঠিকঠাক না বাড়লে মা-বাবার মনে ওঠে চিন্তার ঢেউ। তারা বুঝতে পারেন না ঠিক কোন কোন নিয়ম মেনে চললে সন্তানের ওজন বাড়ানো সম্ভব হবে। তাই তারা যেখানেই যা দেখেন বা শোনেন, তাই সন্তানের ওপর প্রয়োগ করেন। আর তাতে সমস্যা বাড়ে। তাই এই ভুলটা এবার থেকে আর করবেন না। তার বদলে সন্তানের ডায়েটে জায়গা করে দিন কয়েকটি উপকারী খাবার। তাতেই তার উচ্চতা হু হু করে বাড়বে। সেই সঙ্গে সুস্থ থাকবে সন্তান।

জেনে নিন ৫ মহৌষধি খাবারের নাম—

দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে ভরসা​: সন্তানের যদি ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স না থাকে, তাহলে তাকে প্রতিদিন দুধ খাওয়াতেই পারেন। কারণ, এই পানীয়ে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন ই। সেই সঙ্গে এতে ভরপুর ক্যালসিয়ামও রয়েছে। আর ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম উচ্চতা বাড়ানোর কাজে একাই একশো। তাই আজ থেকেই তাকে গরুর দুধ খাওয়ান। আর সে দুধ খেতে না চাইলে দই, পনির, ছানার মতো দুগ্ধজাত খাবারও প্রতিদিন খাওয়াতে পারেন। তাতেও উপকার মিলবে বলে জানালেন বিশেষজ্ঞরা।

বন্ধুত্ব হোক হোল গ্রেইনের সঙ্গে: সন্তানের উচ্চতা বাড়াতে চাইলে তাকে আস্ত শস্য খাওয়াতে হবে। কারণ, এই ধরনের খাবারে থাকে ভিটামিন বি, ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম এবং সেলেনিয়ামের ভাণ্ডার। সেই সঙ্গে এসব খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালোরিও রয়েছে। যার দরুন হোল গেইন খাবার খেলে দ্রুত উচ্চতা বাড়ে বাচ্চাদের। সেই সঙ্গে দূর হয় পুষ্টির ঘাটতি। তাই আজ থেকেই তার ডায়েটে ব্রাউন রাইস, আটার রুটি, হোল গ্রেইন পাস্তার মতো খাবারগুলোকে জায়গা করে দিন। তাতেই হাতেনাতে উপকার মিলবে বলে জানালেন বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদেরা।

আরও পড়ুন

বর্ষায় কাপড়ের যত্ন নেবেন যেভাবে

ডায়েটে রাখতে হবে ডিম: আমাদের অতি পরিচিত ডিম সেরার সেরা একটি খাবার। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন যা পেশি গঠনে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, কুসুমে মজুত ভিটামিন বি২ বা রাইবোফ্লাভিন উচ্চতা বাড়াতে পারে। তাই ছোট্ট সোনামনির প্রতিদিনের ডায়েটে ডিম রাখতে ভুলবেন না যেন। আর অবশ্যই তাদের প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়ান। এক্ষেত্রে ২টা ডিম খাওয়ালেও সমস্যার কিছু নেই।

শাক থাকুক নিয়মিত: বাড়ির ছোট্ট সোনামনিরা শাক দেখলেই নাক সিঁটকায়। কিন্তু তারপরও তাকে নিয়মিত শাকের পদ খাওয়াতে হবে। কারণ, এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফাইবার, ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন থেকে শুরু করে একাধিক জরুরি খনিজ এবং ভিটামিন। আর এসব উপাদান ছোটদের উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে তার শরীরে পুষ্টির ঘাটতিও মিটিয়ে দেয়। তাই চেষ্টা করুন নিয়মিত শাক খাওয়ানোর।

সোয়াবিন: আপনার সন্তানের ডায়েটে যত দ্রুত সম্ভব সোয়াবিনকে জায়গা করে দিন। আসলে এই উদ্ভিজ্জ খাবার হলো প্রোটিনের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান হাড় এবং পেশির গঠনে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এতে কিছুটা পরিমাণে ক্যালসিয়ামও থাকে। যার ফলে সন্তানের উচ্চতা বাড়তে সময় লাগে না। তাই ছোট্ট সোনামনির ডায়েটে অন্ততপক্ষে ৫০ গ্রাম সোয়াবিন রাখতে ভুলবেন না যেন। আশা করছি, তাতেই উপকার মিলবে।