ডিম হলো এক ধরণের সুলভ এবং পুষ্টিতে ভরপুর খাবার, যা নিয়মিত খাওয়ার জন্য পুষ্টিবিদদের পরামর্শ পাওয়া যায়। তবে প্রশ্ন হলো, প্রতিদিন কি ডিম খাওয়া উচিত?
ডায়েট লিস্টে যদি প্রতিদিন ডিম থাকে, তাহলে কিছু বিষয় জানা প্রয়োজন। পুষ্টিবিদের মতে, ডিম খাওয়ার পরিমাণ এবং ধরন শরীরের স্বাস্থ্য বা কাজের ধরণের ওপর নির্ভর করে।
যেমন, সুস্থ ব্যক্তিরা দিনে একটি ডিম খেতে পারেন, যার মাধ্যমে পাওয়া যাবে ৬ গ্রাম প্রোটিন। তবে, তারা শুধু ডিমের সাদা অংশ খেতে পারবেন সর্বোচ্চ ৪টি। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন বা বেশি শারীরিক পরিশ্রম করেন, তাদের জন্য দিনে ২টি ডিম অথবা ৮টি ডিমের সাদা অংশ খাওয়া ভালো, কারণ তাদের শরীর ডিমের প্রোটিন সহজে গ্রহণ করে, যা পেশির সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
তবে, যারা ডায়াবেটিস বা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য ডিমের কুসুম খাওয়া একেবারেই উপযুক্ত নয়। তারা শুধুমাত্র ১টি ডিমের সাদা অংশ খেতে পারবেন।
অ্যালার্জি বা ক্রনিক কিডনি ডিজিজের সমস্যা না থাকলে, প্রতিদিন ডিম খাওয়ার অভ্যাস রাখা যেতে পারে। এটি একটি সস্তা এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার।
ডিমে রয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান, যেমন ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যারোটিনয়েডস, লিউটিন, জিয়াজ্যান্থিন ইত্যাদি। তাই শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সব বয়সী মানুষের জন্য এটি উপকারী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিমের সব গুণাবলী পেতে হলে সেদ্ধ ডিম খাওয়াই সবচেয়ে ভালো। যদি সেদ্ধ ডিম খেতে না চান, তাহলে ননস্টিক কড়াইয়ে ডিমের পোচ খাওয়া যেতে পারে। তবে, ডিমের ওমলেট বা অর্ধসিদ্ধ ডিম খাবেন না, কারণ এতে পুষ্টির পরিপূর্ণতা পাওয়ার পাশাপাশি পেটের সমস্যা হতে পারে।
আরটিভি/জেএম