মন খারাপ? অফিসে কাজের অনেক চাপ? দম ফেলার ফুরসত পাচ্ছেন না? এরকম পরিস্থিতিতে সবার মুখে যেন ঘুরেফিরে একটা কথাই আসে, সেটা হলো ‘জীবনটা ত্যাজপাতা হয়ে গেলো!’ অথচ এ কথার নেতিবাচক অর্থ অনেকটাই দূর হয়ে যেতো যদি আমরা জানতাম রান্নায় ব্যবহার করা ছাড়াও তেজপাতার রয়েছে হরেকরকম ব্যবহার। আসুন জেনে নিই তেজপাতার তের গুণ-
১. পানিতে তেজপাতা দিয়ে সিদ্ধ করে গোসল করলে ত্বকের অ্যালার্জি সমস্যা কমবে চমৎকারভাবে।
২. শরীরে কোথাও ফোঁড়া উঠলে তার ওপর তেজপাতা বেটে প্রলেপের মতো করে দিলে ব্যথা কমবে।
৩. দাঁতের মাড়ির ক্ষয় কমাতে তেজপাতা চূর্ণ করে দাঁত মাজতে পারেন।
৪. ঘামাচি দূর করার জন্য তেজপাতা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, তারপর মিহি করে বেটে নিন। ওই বাটা শরীরে মেখে ঘণ্টা খানেক রাখুন। তারপর গোসল করে ফেলুন।
৫. চোখ ওঠা উপশম করে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: শীতের পোশাক অর্ধেক দামে
--------------------------------------------------------
৬. দুর্বলতা দূর করে। শারীরিকভাবে দুর্বল ও রোগা মানুষদের জন্য তেজপাতা দারুণ কার্যকরী। কয়েকটাপাতা থেঁতলে ২ কাপ গরম পানিতে ১০-১২ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ছেঁকে নিয়ে পান করুন। ২ বার করে টানা ২ সপ্তাহ খেলে শরীরে শক্তিও ফিরে পাবেন।
৭. তেজপাতা মেশানো গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করলে ঠান্ডার উপশম হয়।
৮. তেজপাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে কুলি করুন, অরুচি ও মুখের তেতো ভাব চলে যাবে।
৯. সবারই কম-বেশি তন্দ্রা ভাব আসে। অত্যধিক তন্দ্রা ভাব রোগও বটে। এর প্রতিকারের জন্য ৫-৭ গ্রাম করে তেজপাতা ৩-৪ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে, ছেঁকে বেশ কিছুদিন খেলে দারুণ উপকার পাবেন।
১০. বলা হয় স্মৃতিভ্রমের হাত থেকে রেহাই পেতে তেজপাতা মেশানো সেদ্ধ পানি আশানুরূপ ফল দেয়।
১১. যারা বেশি ঘামেন তারা রোজ একবার করে তেজপাতা বাটা মেখে আধাঘণ্টা থাকার পর গোসল করে নিতে পারেন। এতে ঘামের মাত্রাটা কমে যাবে। আবার ঘামাচিরও উপশম হবে।
১২. আমাদের অনেক সময় ঘন ঘন তেষ্টা পায়। সেক্ষেত্রে ১ লিটার পানিতে তেজপাতা সেদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে ২-৩ বার খান। দেখবেন বার বার তেষ্টা পাচ্ছে না।
১৩. চর্মরোগ হলে তেজপাতা থেঁতলে ৪ কাপ পানিতে সেদ্ধ করে সকাল-বিকেল খেতে হবে। ৪-৫ সপ্তাহ খেলেই চর্মরোগ সেরে যাবে।
আরও পড়ুন
কেএইচ/পি