ঢাকাসোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২

ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-৯)

লাইফস্টাইল ডেস্ক

শুক্রবার, ২০ এপ্রিল ২০১৮ , ০৯:০০ পিএম


loading/img

ড্রাইভিং লাইসেন্স করানোর জন্য বিআরটিএ’র নিয়ম মেনে আবেদন করলেন। আবেদনের পরই পাবেন শিক্ষানবিস ড্রাইভিং লাইসেন্স। এটি পাবার পর অংশ নিতে হয় দুই-তিন মাসের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে। প্রশিক্ষণ শেষ করার পর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সকল লাইসেন্স প্রত্যাশীদেরকেই নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্টে অংশগ্রহণ করতে হয়।

বিজ্ঞাপন

ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আরটিভি অনলাইনের ধারাবাহিক আয়োজনের নবম পর্ব আজ।

প্রশ্ন: জেব্রা ক্রসিংয়ে চালকের কর্তব্য কী?

বিজ্ঞাপন

উত্তর: জেব্রা ক্রসিংয়ে পথচারীদের অবশ্যই আগে যেতে দিতে হবে এবং পথচারী যখন জেব্রা ক্রসিং দিয়ে পারাপার হবে তখন গাড়িকে অবশ্যই তার আগে থামাতে হবে। জেব্রা ক্রসিংয়ের ওপর গাড়িকে থামানো যাবে না বা রাখা যাবে না।

প্রশ্ন: কোন কোন গাড়িকে ওভারটেক করার সুযোগ দিতে হবে?

উত্তর: যে-গাড়ির গতি বেশি, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস ইত্যাদি জরুরি সার্ভিস, ভিভিআইপি গাড়ি ইত্যাদিকে।

বিজ্ঞাপন

প্রশ্ন: হেডলাইট ফ্ল্যাশিং বা আপার ডিপার ব্যবহারের নিয়ম কী?

বিজ্ঞাপন

উত্তর: শহরের মধ্যে সাধারণত ‘লো-বিম বা ডিপার বা মৃদুবিম’ ব্যবহার করা হয়। রাতে কাছাকাছি গাড়ি না থাকলে অর্থাৎ বেশিদূর পর্যন্ত দেখার জন্য হাইওয়ে ও শহরের বাইরের রাস্তায় ‘হাই বা আপার বা তীক্ষ্ম বিম’ব্যবহার করা হয়। তবে বিপরীত দিক থেকে আগত গাড়ি ১৫০ মিটারের মধ্যে চলে এলে হাইবিম নিভিয়ে লো-বিম জ্বালাতে হবে। অর্থাৎ বিপরীত দিক হতে আগত কোনো গাড়িকে পাস বা পার হওয়ার সময় লো-বিম জ্বালাতে হবে। 

প্রশ্ন: গাড়ির ব্রেক ফেল করলে করণীয় কী?

উত্তর: গাড়ির ব্রেক ফেল করলে প্রথমে অ্যাক্সিলারেটর থেকে পা সরিয়ে নিতে হবে। ম্যানুয়াল গিয়ার গাড়ির ক্ষেত্রে গিয়ার পরিবর্তন করে প্রথমে দ্বিতীয় গিয়ার ও পরে প্রথম গিয়ার ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে গাড়ির গতি অনেক কমে যাবে। এই পদ্ধতিতে গাড়ি থামানো সম্ভব না হলে রাস্তার আইল্যান্ড, ডিভাইডার, ফুটপাত বা সুবিধামত অন্যকিছুর সাথে ঠেকিয়ে গাড়ি থামাতে হবে। ঠেকানোর সময় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি যেন না হয় বা কম হয় সেইদিকে সজাগ থাকতে হবে।

প্রশ্ন: গাড়ির চাকা ফেটে গেলে করণীয় কী?

উত্তর: গাড়ির চাকা ফেটে গেলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। এই সময় গাড়ির চালককে স্টিয়ারিং দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে হবে এবং অ্যাক্সিলারেটর থেকে পা সরিয়ে ক্রমান্বয়ে গতি কমিয়ে আস্তে আস্তে ব্রেক করে গাড়ি থামাতে হবে। চলন্ত অবস্থায় গাড়ির চাকা ফেটে গেলে সাথে সাথে ব্রেক করবেন না। এতে গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে।

প্রশ্ন: হ্যাজার্ড বা বিপদ সংকেত বাতি কী?

উত্তর: প্রতিটি গাড়ির সামনে ও পিছনে উভয়পাশের কর্নারে একজোড়া করে মোট দু-জোড়া ইনডিকেটর বাতি থাকে। এই চারটি ইনডিকেটর বাতি সবগুলো একসাথে জ্বললে এবং নিভলে তাকে হ্যাজার্ড বা বিপদ সংকেত বাতি বলে। বিপজ্জনক মুহূর্তে, গাড়ি বিকল হলে এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এই বাতিগুলো ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন: গাড়ির ড্যাশবোর্ডে কী কী ইন্সট্রুমেন্ট থাকে?

উত্তর:

ক. স্পিডোমিটার- গাড়ি কত বেগে চলছে তা দেখায়।

খ. ওডোমিটার– তৈরির প্রথম থেকে গাড়ি কত কিলোমিটার বা মাইল চলছে তা দেখায়।

গ. ট্রিপমিটার- এক ট্রিপে গাড়ি কত কিলোমিটার/মাইল চলে তা দেখায়।

ঘ. টেম্পারেচার গেজ- ইঞ্জিনের তাপমাত্রা দেখায়।

ঙ. ফুয়েল গেজ- গাড়ির তেলের পরিমাণ দেখায়।

কেএইচ/পি

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |