হঠাৎ পেশিতে টান, কী করবেন?
ঠাণ্ডার সময় পেশিতে টান পড়া খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়। দৌড়াতে গিয়ে কিংবা ভারী কিছু তুলতে গিয়ে হঠাৎ টান লাগতে পারে পা বা পিঠের পেশিতে। এমনকি কিছু না করেও অনেক সময় ব্যথা হয় পেশির। ঘুমানোর সময় হয়তো টান লেগে গেল ঘাড়ে কিংবা গোসল করে মাথা মোছার সময় কাঁধে। তবে শুধু শীতে না, গরমেও এমনটা হতে পারে।
পেশির টান বা ব্যথার নিরাময় কীভাবে হবে, সেটা বোঝার জন্য আগে জানতে হবে, এই ব্যথা কেন হয়। পেশির মধ্যে পানির পরিমাণ কমে গেলে, পেশি তার ফ্লেক্সিবিলিটি বা স্থিতিস্থাপকতা হারায়। সেই কারণেই প্রয়োজন মতো সংকোচন-প্রসারণ করে উঠতে পারে না। তাই হঠাৎ প্রসারণের ফলে সেখানে আঘাত লাগে। পেশিতে প্রয়োজনীয় মিনারেল বা খনিজ পদার্থের অভাবেও এই সমস্যা হতে পারে।
কীভাবে পেশির টান বা ব্যথার হাত থেকে বাঁচা সম্ভব।
১। পানি পান
শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকলে পেশির ব্যথা হবে না? এ নিয়ে চিকিৎসক মহলে মিশ্র মত রয়েছে। কারও মতে, পর্যাপ্ত জল থাকলেও পেশির ব্যথা হতে পারে। তবে একটা বিষয়ে উভয় মহলই একমত। শরীর যদি সঠিক ভাবে হাইড্রেটেড থাকে, তাহলে টান লাগলেও ব্যথার পরিমাণ খুব বেশি হয় না। তাই যখনই তেষ্টা পাবে অল্প করে পানি খান।
২। কার্বোহাইড্রেট-এ না নয়
হাই-কার্বোহাইড্রেট খাবারগুলো পেশিকে দ্রুত পুষ্টি জোগায়। পেশির আঘাত সামলে ওঠার জন্য যে প্রয়োজনীয় উপাদানের দরকার হয়, তা-ও পাওয়া যায়, এই কার্বোহাইড্রেট থেকেই।
৩। লবণ-চিনিতে নজর
শুধু পানির পক্ষে পেশিকে হাইড্রেট রাখা সম্ভব নয়। পেশির ফ্লেক্সিবিলিটি বা স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখার জন্য দরকার লবণও। কারণ এই লবণে থাকে ইলেকট্রোলাইটস। পেশির কোষের মধ্যে পানি কীভাবে ঢুকবে, কতটা ঢুকবে, কতটাই বা বেররে, তার পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করে এই ইলেকট্রোলাইটস। তাই পরিমাণ মত লবণ খেতে পারেন।
৪। মাল্টি ভিটামিনের উপকার
চিকিৎসকের পরামর্শে মাল্টিভিটামিন খাওয়াটাও পেশির টানের হাতে থেকে রক্ষা পাওয়ার অন্যতম ভালো রাস্তা।
৫। ব্যায়াম বা স্ট্রেচিং
যারা নিয়মিত স্ট্রেচিং বা যোগাসন করেন, তাদের পেশির স্থিতিস্থাপকতা অন্যদের তুলনায় বেশি। এবং শরীরের চাহিদাতেই তাঁরা বেশি পরিমাণে ফ্লুইড নিতে বাধ্য হন। সব মিলিয়ে পেশির গুণগত মান তাতে ভালো হয়। তাই এই স্ট্রেচিং-এর দিকে নজর দিতে পারেন। এতে পেশির টান থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবেন।
জিএ
মন্তব্য করুন