বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের আক্রমণে প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃতের তালিকা বড় হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত মারা গেছেন সাত হাজারেরও বেশি মানুষ।
চীন থেকে বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পরই এ নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। যদিও চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করে কোনো কিছুই বলতে পারছেন না। এই রোগ সারানোর কোনোরকম ওষুধ এখনো পর্যন্ত আবিষ্কার করতে পারেননি চিকিৎসক-বিজ্ঞানীরা।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রাথমিকভাবে জ্বর, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং পেশিতে যন্ত্রণা হবে। আর তার সঙ্গে ক্লান্তও মনে হবে। কতক্ষণ করোনাভাইরাস শরীরে থাকে এবং লক্ষণ জানার জন্য কতদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে তাও জানাতে পারছেন না চিকিৎসকেরা।
সেলফ আইসোলেশনের অর্থ ১৪ দিন বাড়িতে বন্দি অবস্থায় থাকা। সেই সময়ে কাজে না যাওয়া, স্কুলে বা অন্যান্য জনসমাগমের আশঙ্কা থাকতে পারে সেগুলো বর্জন করা। এমনকী বাড়িতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের থেকেও আলাদা হয়ে থাকতে হয়। দূরে থাকতে হবে গৃহের পোষাপ্রাণীদের থেকেও।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) নির্দেশ দিয়েছে কোনও রকম অসুস্থতা অনুভব করলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে বাড়িতেই স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এখন কথা হলো, বাড়িতে থাকলেই কি এই রোগ ঠেকানো সম্ভব? হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলেই বা কী করতে হবে?
সবাইকে কি স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে পরীক্ষা করা সম্ভব?
প্রথম ও সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো কতজনকে কোয়ারেন্টাইন এবং কতজনকে বাড়িতে থাকতে বলা হবে। নিজে থেকেই মানুষকে স্ক্রিনিংয়ের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। যদিও এতে দেশের মেডিক্যাল সিস্টেমে বড় চাপ পড়বে। এমনকী বেশিরভাগ মানুষই জানেন না কোথায় গিয়ে স্ক্রিনিং করাতে হবে।
সবাই কিন্তু শুধু বাড়িতে থাকলেই হবে না
অনেকেই ভাবছেন সামান্য সর্দি-কাশি-জ্বরের লক্ষণ থাকলে বাড়িতে থেকেই তা ঠিক করে নেয়া যাবে। কিন্তু তা একেবারেই নয়। হাসপাতালে গিয়ে সঠিক চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এটি পাবলিক হেলথ ইস্যু।
ডাক্তারদের কথায়, সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক বায়ুবাহিত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে যথেষ্ট নয়। তবে হাঁচি বা কাশি থেকে ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি কিছুটা কমাতে সাহায্য করতে পারে এই মাস্ক। কিন্তু ট্রিপল লেয়ার মাস্ক হওয়া জরুরি। হাত থেকে মুখের সংক্রমণের বিরুদ্ধেও কিছু সুরক্ষা দেয় এমন মাস্ক। তাই কোনোরকম অসুস্থতা অনুভব করলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
এস