করোনাভাইরাস: লকডাউনের দিনগুলোতে মন ভালো রাখার উপায়
আংশিক কিংবা প্রয়োজন হলে সারা দেশে লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। এজন্য নাগরিকদের মাঝে দুরত্ব বজায় রাখা জরুরি।
তাহলে এই সময় পরিবারের সদস্য ছাড়া একে অপরের সঙ্গে দেখা হবে না, কিন্তু ইন্টারনেট তো আছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ছড়ায় না।ঘরবন্দির দিনগুলোতে প্রত্যেকের মাথায় নানান রকম কথা ঘুরবে। প্রথমেই আসবে ঘর-সংসারের চিন্তা, তারপর আসবে সংসারে অর্থ যোগানের চিন্তা। বিশেষ করে যারা দিন আনে দিন খায় - তারা তো বিশাল বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে গেলেন।
নিজ ঘরে একে অপরের সঙ্গে দেখা হবে না, কিন্তু ইন্টারনেট তো আছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ায় না। এই ভাইরাস সব মানুষের জীবনকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে। যা ইতোমধ্যে জনজীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। এই বিপদের সময় মাথা ঠান্ডা রাখা খুব দরকার।
লকডাউনের এই সময়টাকে বিপদ না মনে করে কী করে এই সময়টাকে ম্যানেজ করবেন তা দেখে নিন।
১. প্রথমত, আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ঘরে অতিরিক্ত খাদ্য সামগ্রী মজুত করবেন না। এতে সমাজে বিপদ সৃষ্টি হবে যা এই মুহূর্তের বিপদকে আরও বাড়িয়ে দেবে।
২. সংসার বুদ্ধি করে চালাবেন, ছুটি তে আছেন ভেবে এলাহি খাওয়া দাওয়ার আয়োজন না করাই ভালো। ঘরের প্রয়োজন বুঝে খরচ করুন এবং শরীরকে সুস্থ রাখুন।
৩. বাড়িতে বয়স্ক মানুষ, অসুস্থ মানুষ ও বাচ্চাদের বিশেষ খেয়াল রাখুন। এই সময়ে অন্য অসুখে অসুস্থ হলে আরও সমস্যা বাড়িয়ে দেবে।
৪. বাড়ির কাজ সবাইকে ভাগ করে করুন। কেউ কাজে ভুল করলে বকাঝকা না করে শুধু সংশোধন করে দিন। একে অন্যের সমালোচনা করবেন না।
৫. বাচ্চারা খেলতে না পেরে অস্থির হয়ে যেতে পারে। তাই বাচ্চাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আপনাদের সঙ্গে ঘরের কাজে লাগাবেন এবং সময় নিয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে খেলবেন। বাচ্চারা অস্থির হয়ে যাচ্ছে বলে মোবাইল হাতে তুলে দেবেন না। বাচ্চাদেরও সচেতন করুন এই অবস্থা সম্পর্কে। ছুটি বলে এলাকাতে খেলাধুলা করা যাবে না। বাচ্চাদের অযথা সমালোচনা করবেন না।
৬. যে যা ওষুধ নিয়মিত খান সেগুলো ঠিক মতো খাবেন। ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। হঠাৎ করে ওষুধ বন্ধ করবেন না।
৭. যারা নেশা করেন তারা যদি নেশা ত্যাগ করতে পারেন সেটা সবচেয়ে ভালো। শরীরের ক্ষতি হয় এমন কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। আপনার সুস্থতা আপনার পরিবারকে সুরক্ষিত রাখবে।
৮. পাড়ার মানুষদের সঙ্গে whatsapp গ্রুপ তৈরি করুন এবং সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন, সকলের খোঁজ খবর নিন। করোনা ছাড়াও মানুষের অন্য অসুখ হতে পারে তখন আপনার সাহায্য লাগতেই পারে। সূত্র: এইসময়
এস
মন্তব্য করুন