এসি থেকেও ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস, রুখতে যা করবেন
বিশ্বের আতঙ্ক করোনাভাইরাস নিয়ে বিভিন্ন সময় নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। নতুন তথ্য হলো এসি থেকেও ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস। সম্প্রতি আমেরিকার ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ (CDC)-র জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র সে রকমই ইঙ্গিত দিয়েছে।
জানা যায়, চিনের গানজাংহু প্রদেশে এক রেস্তোরাঁয় উহান থেকে এক ব্যক্তি সপরিবারে খেতে গিয়েছিলেন। তার পাশাপাশি এক মিটার এর থেকে বেশি দূরত্বে থাকা আর ও দুটি পরিবার খেতে বসেন অন্য দুই টেবিলে। সামনে ছিল একটি এসি। পরবর্তীতে দেখা যায় ওই তিনটি পরিবারের মোট ১০ জন সার্স কোভ-২ ভাইরাস এ আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় একই সময়ে। এই তিন টেবিল এর কেউই কিন্তু তাদের নিজেদের মধ্যে কেউ কাউকে স্পর্শও করেননি। পরবর্তীতে উহান ফেরত ব্যক্তির শরীরে প্রথম করোনার লক্ষণ দেখা দেয়।
কোভিড-১৯ ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায়। কথা বলা, হাঁচি, কাশির ফলে যে ড্রপলেট তৈরি হয় তা আয়তনে প্রায় ৫ মাইক্রোমিটারের বেশি। এত বড় কণার পক্ষে এক মিটারের বেশি দূর পর্যন্ত যাওয়া খুব মুশকিল। তাই সেটা এক মিটারের মধ্যেই থিতিয়ে পড়ে। বিজ্ঞানীদের মতে, যে ড্রপলেটের এক মিটারের মধ্যে লুটিয়ে পড়ার কথা, এয়ার কন্ডিশনের বায়ুর প্রবাহ সেগুলোকে অনেকটা বেশি দূর পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে পারে।
এসি নিয়ে যে সতর্কতা অবলম্বন করবেন
- সেন্ট্রাল এসি আছে, এমন জায়গা থেকে করোনাভাইরাসের রোগীদের একটু দূরে রাখতে হবে।
- সেন্ট্রাল এসি আছে এমন হাসপাতালে প্রতি দু’জন রোগীর মধ্যে দূরত্ব আরও একটু বাড়াতে হবে।
- এসি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার সময় এসি-র ব্লোয়ার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
- একান্তই এসি চালাতে হলে অবশ্যই সার্ভিসিং করে তবেই এসি চালান। লকডাউনের বাজারে এসি সার্ভিসিংয়ের লোক পাওয়া একটু মুশকিলের। তাই যতটা নিজে পারা যায়, নিজেই করুন। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার কারণে এসির মধ্যে থাকা ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক হঠাৎ করে ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আর তার থেকে হতে পারে নিউমোনিয়া, সাইনোসাইটিসের মতো সমস্যা। যা এই সময় আতঙ্ক ছড়াতে পারে।
- এসি চালালেও দিনের কোনও একটা সময় অন্তত জানালা দরজা খুলে দিন। পর্দা নামিয়ে ঘরে সূর্যের আলো আসতে দিন।
জিএ/পি
মন্তব্য করুন