কলমি শাকেও আছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
সময়টা ভালো যাচ্ছে না। করোনার এই সংকটময় মুহূর্তে বার বার উঠে আসছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কথা। তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এমন বেশ কিছু খাদ্য উপাদান দরিদ্র মানুষের নাগালের বাইরে। আবার কোনো কোনো উপাদান সহজে পাওয়া যায় না। সেই হিসেবে কলমি শাক সহজে পাওয়া যায়, দামেও কম। একই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যথেষ্ট।
চলুন জেনে নিই কলমি শাকের কিছু গুণ-
- কলমি শাক অত্যন্ত উপকারী একটি শাক। এই শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি থাকে। ফলে হাড় মজবুত হয় সঙ্গে সঙ্গে গড়ে ওঠে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।
- সন্তানের জন্মের পরে কলমি শাক মা যদি কলমি শাক খান সেক্ষেত্রে সন্তানেরও বাড়তি পুষ্টি হয়। সদ্য মা হওয়া নারীকে কলমি শাক খাওয়ালে সন্তান পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ পাবে।
- কলমি শাকে লোহার পরিমাণ বেশি থাকায় এটি খেলে শরীর থেকে রক্ত শূন্যতা দূর করে।
- মৌমাছি থেকে পোকা মাকড়ের কামড়ানোর যন্ত্রণার উপশম কলমি শাকের রস। এই শাকের রস লাগালে যন্ত্রণা কমে যায়।
- বসন্ত রোগের প্রতিষেধক হিসাবে কলমি শাক কাজ করে।
আরও পড়ুন :
জিএ
মন্তব্য করুন
গোলাপ জল নাকি শসার রস, কোন ত্বকে কোনটি কার্যকর
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কয়েকটি প্রাকৃতিক উপাদান বেশ কার্যকরী। তাই তো বাঙালির ঘরোয়া রূপটানেও প্রাকৃতিক উপাদানের কদর তুঙ্গে। যারা প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে ত্বকের যত্ন নিতে ভালোবাসেন, তারা গোলাপ জল এবং শসার রসের উপকারিতা সম্পর্কে অবগত। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে বা পিএইচের সমতা বজায় রাখতে এই দু’টি জিনিসই প্রায় একই রকম ভাবে কাজ করে। কিন্তু এই গরমে কোন উপাদানটি ত্বকের জন্য বেশি উপকারী, আর কোন উপাদানটি কোন ধরনের ত্বকে মাখা যাবে তা বুঝে উঠতে পারেন না। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই ২ উপাদানের ব্যবহার ও উপকারিতা।
ত্বকের জন্যে উপকারী এই উপাদান: গোলাপ জল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে প্রাকৃতিক টোনার হিসেবেও কাজ করে। তাই নিয়মিত গোলাপ জল মাখলে ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক থাকে। ত্বক হঠাৎই তৈলাক্ত কিংবা শুষ্ক হয়ে যায় না। এমনকী ত্বক টানটান রাখতেও সাহায্য করে। গোলাপের নির্যাসে ভিটামিন সি মেলে, যেটি আপনার ত্বকের অন্দরে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায়। তাই নিয়মিত গোলাপ জল লাগালে ত্বকে সহজেই বয়সের ছাপ পড়ে না। এদিকে গোলাপের গুণে ত্বকের প্রদাহ থাকে নিয়ন্ত্রণে। ত্বকে জ্বালা বা অস্বস্তি হয় না। এমনকী ত্বকে প্রকট হয় না লালচে ভাব। তাই তো আপনার রূপটান রুটিনে গোলাপ জল থাকা মাস্ট।
যেভাবে ব্যবহার করবেন: মুখ পরিষ্কার করে নেওয়ার পরে একটি কটন প্যাডে পরিমাণ মতো গোলাপ জল নিন। তারপরে সেটি আপনার সারা মুখে বোলান। নিয়মিত এই স্কিনকেয়ার রুটিন ফলো করলেই মিলবে উপকার।
শসার রসের জুড়ি মেলা ভার: গরমের দিনে ঘরোয়া রূপটানে শসার রস সত্যিই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এতে উপস্থিত কুলিং এজেন্ট মুহূর্তেই আপনার ত্বককে তরতাজা করে। আর ত্বকের জ্বালা পোড়া কমিয়ে শীতলভাব অটুট রাখে। শসায় উপস্থিত জলের পরিমাণ ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে একাই একশো।
কমাবে প্রদাহ: এটিতে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা আপনার ত্বকের প্রদাহ কমায়। তাই নিয়মিত শসা লাগালে প্রখর গরমেও ত্বকের জ্বালাপোড়া নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এমনকী ত্বকের টেক্সচারও উন্নত হবে। তাছাড়া শসা ত্বকের জন্যে এতটাই উপকারী যে, সংবেদনশীল কিংবা শুষ্ক ত্বকেও নির্ভয়ে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি ব্যবহার করতে পারেন।
শসা নাকি গোলাপ জল, কোনটি ব্যবহার করবেন:
শসা এবং গোলাপ জল দুটোই ত্বকের জন্যে উপকারী। শুধু সঠিক নিয়মে ব্যবহার করা জরুরি। অর্থাৎ আপনার ত্বকের সমস্যা বুঝে এই ২ প্রাকৃতিক উপাদান মুখে লাগালেই মিলবে চটজলদি উপকার।
আপনার ত্বকে যদি প্রদাহ বাড়ে, তাহলে শসার রস ব্যবহার করে তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তাছাড়া এটির কুলিং এজেন্ট গরমে ত্বককে সুস্থ রাখবে। জ্বালা-পোড়া এবং চুলকানি কাছে ঘেঁষতে দেবে না।
গোলাপ জল যেমন আপনার ত্বককে টোনড করবে, তেমনই ত্বকের জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করবে।
দুই উপাদানের উপকারিতা এবং ব্যবহারে সূক্ষ্ম বিভাজন রেখা রয়েছে। সেটিতে গুরুত্ব দিন। আপনার ত্বকের প্রকৃতি এবং সমস্যা বুঝে প্রাকৃতিক উপাদান দুটি ব্যবহার করুন। তাহলেই মিলবে উপকার।
যে ধরনের ত্বকের জন্য যেটি ভালো:
১) খসখসে, শুষ্ক ত্বকের জন্য গোলাপ জল ভালো। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতেও এটি খুব কাজের। গোলাপ জল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ, তাই পেলবতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। ত্বকের তেমন কোনও সমস্যা না থাকলেও গোলাপ জল মাখা যায়।
২) স্পর্শকাতর, তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো শসার রস। মুখ বা চোখের তলায় ফোলা ভাব দূর করার পাশাপাশি ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে এই তরলটি। ওপেস পোর্সের সমস্যা থাকলেও শসার রস মাখা যায়।
আরটিভি/এফআই
একসঙ্গে টমেটো ও শসার সালাদ খেলেই হবে যে বিপদ
বর্তমানে, সকলেই কমবেশি সালাদ খায়। শরীরকে হাইড্রেট রাখতে ও পাচনতন্ত্র স্বাভাবিক রাখতে সালাদ খুবই কার্যকরী। তাছাড়া, ডায়েট ঠিক রাখতেও সালাদ খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে সব পরিবারেই। শরীরকে আদ্র রাখতে, রক্তের ঘাটতি কমাতে এবং এনার্জি বাড়ানোর জন্য, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও সালাদ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন সবসময়। সাধারণত স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে বিভিন্ন পুষ্টিকর সবজি ও প্রোটিনের সংমিশ্রনেই সালাদ বানানো হয়। যার মধ্যে থাকে টমেটো আর শসা। কিন্তু, অনেকেই জানেন না যে শসা ও টমেটো একসঙ্গে খাওয়া কখনও উচিত নয়। কারণ, এটি বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
পুষ্টিবিদরা জানান, শসা আর টমেটো একসঙ্গে খেলে হজমশক্তি নষ্ট হতে পারে। অ্যাসিডিক পিএইচ ভারসাম্যকেও ব্যাহত করতে পারে। যে কারণে গ্যাস, পেটের ফোলাভাব, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি, বদহজমের মতো সমস্যা শুরু হয়।
পুষ্টিবিদরা আরও জানান, শসাতে খনিজ পদার্থ রয়েছে যা আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে, কিন্তু তাদের একটি বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা ভিটামিন সি শোষণে কাজ করে। পুষ্টিবিদদের মতে শসা এবং টমেটোর সংমিশ্রণ এড়ানোই কাম্য। যেহেতু উভয়েরই হজমের সম্পূর্ণ ভিন্ন উপায় রয়েছে, তাই এই দুইয়ের কম্বিনেশন একসঙ্গে খাওয়ার অভ্যাস এড়ানোই উচিত কারণ এর ফলে পেট খারাপও হতে পারে।
শরীরের ভিতরে ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়াও শুরু করে দেয় শসা ও টমেটো। এই কারণে শুধু পাকস্থলী নয়, পুরো শরীরের জন্যই ক্ষতিকর এই দুটি একসঙ্গে খাওয়া। এ কারণে পেটে নানা ধরনের সমস্যাও হয়।
এ ছাড়াও শসার মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে যা টমেটোর ভিটামিন সি’র সঙ্গে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এতে পাকস্থলী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেকে দইয়ের সঙ্গে টমেটো, শসা, পেঁয়াজ মিশিয়ে রায়তা করে খেতে ভালোবাসেন। কিন্তু তাও পেটের মারাত্মক ক্ষতি করে।
তাহলে কী এই ফল আর সবজি খাবেন না?
খাবার আগে বা পরে সালাদ খাবেন না। খাবার খাওয়ার মধ্যেই খাবেন। আর যদি অন্য সময় খেতে চান তবে হয় শসার আর নয় টমেটোর সালাদ আলাদাভাবে খেতে হবে।
আরটিভি/এফআই
অফিসে ইমোশনাল হয়ে গেলে যে বিষয়ে খেয়াল রাখবেন
মানুষ মাত্রই তার ইমোশন থাকবে। ইমোশন এক্সপ্রেস করা অবশ্যই ভালো, তবে অফিসে কাজ করার সময় এই ইমোশনই আপনার জন্য ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে। কর্মক্ষেত্রে ইমোশনাল হয়ে পড়া একটি স্বাভাবিক ব্যাপার কিন্তু এর মাত্রাতিরিক্ত প্রকাশ কাজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যখন আপনি কোনো ইমোশনের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারেন না, তখন সেটি আপনার পেশাগত দক্ষতা, মনোযোগ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
প্রত্যেকের ব্যক্তিগত জীবনে নানা সমস্যা থাকে। এই সমস্যাগুলো বিভিন্নভাবে প্রফেশনাল লাইফে এফেক্ট ফেলতে পারে। ফ্রাস্ট্রেশন, দুশ্চিন্তা, রাগ, কাউকে অপছন্দ করা বা নিজে ভালো না থাকা- সবই কোনো না ভাবে ইমোশন। তাই আগে বুঝতে হবে আপনি কী ধরনের ইমোশনাল প্রবলেম ফেইস করছেন এবং কীভাবে সেটি কাটিয়ে উঠবেন।
ইমোশনাল হয়ে কাজের ক্ষতি না করে কীভাবে তা মোকাবিলা করা যায় চলুন দেখে নেওয়া যাক—
নিজের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বোঝা: আপনি যে ইমোশনাল প্রবলেম ফেইস করছেন সেটা বোঝার জন্য আগে বুঝতে হবে আপনি কেমন আছেন। আমাদের মস্তিষ্কের আগে শরীর বুঝতে পারে আমরা কেমন আছি। চোখ লাল হয়ে যাওয়া, স্বাভাবিকের তুলনায় বুকে ধড়ফড় বেশি হওয়া এগুলো ইমোশন এক্সপ্রেস করারই একটি লক্ষণ। যদি বুঝতে পারেন অন্য সময়ের তুলনায় বেশি দুশ্চিন্তা হচ্ছে অথবা মন খারাপ হয়ে আছে, তাহলে যে কোনো অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একবার ভাবুন। এ সময়গুলোতে যদি একা থাকতে ভালো না লাগে তাহলে অফিসেই ক্লোজ কোনো সহকর্মীর সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুন।
রিল্যাক্স থাকা: কর্মক্ষেত্রে রিল্যাক্স থাকা অনেক জরুরি। সুযোগ পেলে চেষ্টা করুন নিজেকে একটু সময় দেওয়ার। ডিপ ব্রিদিং কিন্তু রিল্যাক্স হওয়ার খুব ভালো একটি উপায়। দুশ্চিন্তা, ফ্রাস্ট্রেশন, রাগ ঝেড়ে ফেলার জন্য এই পদ্ধতিটি বেশ কাজে দেয়। জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে ধীরে ধীরে ছাড়ুন। এভাবে ১০ পর্যন্ত গুণে শ্বাস নিন ও ছাড়ুন। এছাড়া হাঁটাহাঁটি বা রিল্যাক্সিং মিউজিক শুনলেও বেশ আরাম লাগে। কারও সঙ্গে কথা বলতে যদি ভালো লাগে তবে সেটাও করতে পারেন।
পছন্দের কাজ করা: কাজের সময় মেন্টাল স্ট্রেস নতুন কিছু নয়। যে কোনো কারণেই স্ট্রেস হতে পারে। যে সময় এমন হচ্ছে, হতে পারে তখন কথা বলার জন্য আশেপাশে কাউকে পাচ্ছেন না। তখন আপনার নিজেকেই নিজের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হয়ে উঠতে হবে। ছোট একটি জার্নাল পড়া, স্টিকি নোটে নিজের কথা লিখে রাখা, পছন্দের কোনো ভিডিও দেখা বা গান শোনা, কাগজে আঁকিবুঁকি- সে কোনো কিছুই হয়ে উঠতে পারে আপনার ইমোশন নিয়ন্ত্রণের উপায়।
কলিগদের প্রতি সম্মান থাকা: আপনি নিজেকে যেমন সম্মানিত হিসেবে দেখতে চান, আপনার কলিগকেও ঠিক একইভাবে ট্রিট করুন। যদি কেউ রুড আচরণ করে, জরুরি নয় আপনাকেও তার মতো হতে হবে। বরং রাগ না করে তাকে আপনার মতামত বোঝানোর চেষ্টা করুন।
ক্ষমা চাওয়া: ইমোশনাল হয়ে রাগ করা খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। যদিও উচিত নয়, তবু কাজ করতে করতে এমন যদি কখনো হয়েও যায়, তবে চেষ্টা করুন দ্রুত ক্ষমা চাওয়ার। একদম ডিফেন্সিভ হয়ে যে কিছু বলতে হবে এমন নয় কিন্তু! ‘আমি আমার আচরণের জন্য দুঃখিত’ – এমন একটি কথাও অনেক কিছু বদলে দিতে পারে।
নিজের দোষ স্বীকার করা: যদি আপনার ভুলের কারণে কোনো মিস কমিউনিকেশন অথবা ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই রিয়েক্ট করা যাবে না। নিজের ভুল স্বীকার করে নিতে হবে।
নেগেটিভ ইমোশন বাড়ি পর্যন্ত না নিয়ে যাওয়া: কথাটি শুনতে একটু অবাক লাগলেও চেষ্টা করুন দিনের যত রাগ, মন খারাপ আছে সেগুলো অফিসেই শেষ করে ফেলতে। যদি এই খারাপের রেশ বাড়ি পর্যন্ত থাকে, তাহলে ভিতরে ভিতরে আপনি নিজেই হতাশ হয়ে যাবেন। অফিস শেষ করে বাড়ি ফেরার আগে সম্ভব হলে বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে বাইরে কিছুটা সময় কাটিয়ে আসতে পারেন। এতে অনেকটা হালকা লাগবে।
নিয়মিত বিশ্রাম নেওয়া: কাজের শেষে পরিমিত বিশ্রাম ক্লান্তি যেমন দূর করে, তেমনই অনেক নেতিবাচক অনুভূতি ঠেকিয়ে রাখতেও সাহায্য করে। ঘুম ভালো হলে শরীর ভালো থাকবে, সাথে ইমোশন কন্ট্রোল করাও ইজি হবে। রাতে দেরি করে ঘুমানো, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, সকালে দেরি করে অফিসে যাওয়া – এগুলো টেনশন অনেক বাড়িয়ে দেয়। তাই চেষ্টা করুন সময়মতো ঘুমিয়ে সকাল সকাল উঠে পড়তে।
নিজেকে দোষ না দেওয়া: অনেকেই যে কোনো নেগেটিভ ঘটনার কারণে নিজেকে দোষী মানতে থাকেন। এমনটি করা একদমই উচিত নয়। সব সময় পরিস্থিতি আপনার হাতে থাকবে না এটা মেনে নেওয়া শিখতে হবে। পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, সেটা সামাল দিতে পারা জরুরি। এতে যে কোনো সময় নিজেকে যে কোনো পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়া সহজ হবে।
১০ পর্যন্ত গোণা: অফিসে ইমোশনাল হয়ে যদি কখনো রাগ হয় বা ফ্রাস্ট্রেশন কাজ করে অথবা তার চেয়েও খারাপ কিছু হয়, তখন মনে মনে ১০ পর্যন্ত গুণতে শুরু করুন। যদি বুঝতে পারেন নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছেন না তখন এই মেথড ইউজ করুন। যদি কোনো ঘটনার জন্য আপনি দায়ী হয়ে থাকেন, তবে কিছুটা সময় একা থাকুন। তবে হ্যাঁ, কিছু সময় পর অবশ্যই যে কারণে এমনটি হয়েছে সেটি নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
এক নজরে অফিসে ইমোশন কন্ট্রোল করার উপায়
নিজের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বুঝতে পারা
বাড়তি চাপ না নিয়ে কর্মক্ষেত্রে রিল্যাক্স থাকা
১০ পর্যন্ত গোণা
স্টিকি নোটে কিছু লেখা অথবা পছন্দের গান শোনা, ভিডিও দেখা
নেগেটিভ ইমোশন বাড়ি পর্যন্ত না নিয়ে যাওয়া
পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নেওয়া
ইমোশন প্রতিটি মানুষের ইম্পরট্যান্ট একটি পার্ট। আবেগ না থাকলে আমরা কেউই টিকে থাকতে পারবো না। এর মানে এই নয় যে, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইমোশনকেই প্রায়োরিটি দিতে হবে। অফিসে যদি ইমোশন কন্ট্রোলে রাখতে পারেন, তবে কর্মস্থলে যেমন আপনি ভালো থাকবেন, তেমনই কাজ করাও আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে।
আরটিভি/এফআই
কোটিপতিদের কিছু অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য ও মিল
একসময় মিলিয়নিয়ার বা কোটিপতি শব্দের প্রচলন ছিল না। ১৭ শতকের কিছু সময় পর্যন্ত মিলিয়নিয়রের অস্তিত্ব ছিল না। ডে'জ অব্য দ্য ইয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ১৭১৯ সালে জন ল মিসিসিপি কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পর দারুণ সফলতা পান। আর তিনি প্রথম ব্যক্তি হয়েছিলেন যাকে মিলিয়নিয়ার হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল। জন ল'র এক মিলিয়ন ফ্রাঙ্কেরও বেশি অর্থ ছিল এবং তিনিই মিলিয়নিয়ার হিসেবে পরিচিত পাওয়া প্রথম ব্যক্তি ছিলেন। পরবর্তী কয়েক বছর 'মিলিয়নিয়ার' শব্দটি ধনী ও বিলাসবহুল ব্র্যান্ডগুলোকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছিল।
আর আজকের পৃথিবীতে অর্থের পিছে ছোটেন না, এমন মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম। তবে জীবনভর ছোটাছুটি করেও আক্ষরিক অর্থে বিত্তবান হন না সবাই। যারা কোটিপতি হতে পারেন, তাদের ছোটাছুটি আর অন্যদের ছোটাছুটির মধ্যে নিশ্চয়ই বিরাট তফাত থাকবে। প্রায় সব কোটিপতিরাই পরিশ্রমী এবং মনোযোগী। তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। এই সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলো কোটিপতি হওয়ার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখে। আর কোটিপতিদের মধ্যে কিছু অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। যা তাদের বাকিদের থেকে আলাদা করে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কোটিপতিদের ৫টি অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য এবং তাদের মধ্যে মিলগুলো—
মিতব্যয়ী: কোটিপতিরা অর্থ ব্যয় করতে পছন্দ করেন না। বেশিরভাগ কোটিপতি মিতব্যয়ী। তারা ডিসকাউন্ট এবং কুপনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কোটিপতিরা বিশ্বাস করেন যে, এটি সম্পদ ধরে রাখার একটি উপায়।
চশমা পরে না: চশমা পরাকে নির্বোধ হওয়ার লক্ষণ হিসাবে দেখা হয়। বেশিরভাগ কোটিপতি আসলে চশমা পরেন না। বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী ব্যক্তির মধ্যে, মাত্র দুজন চশমা পরেন। তারা হলেন ওয়ারেন বাফেট ও বিল গেটস।
কুম্ভ রাশি: অধিকাংশ কোটিপতি কুম্ভ রাশির হয়ে থাকে। তাদের বেশিরভাগের জন্ম ২০ জানুয়ারি এবং ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। গো কমপেয়ার বিশ্লেষণ অনুসারে, ১৯৯৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ফোর্বসের শীর্ষ ১০০ ধনী ব্যক্তির মধ্যে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ কুম্ভ রাশির।
বড় পরিবার: বেশিরভাগ কোটিপতিদের তিন থেকে পাঁচটি সন্তান থাকে। তাদের বেশিরভাগই একটি বড় পরিবার বজায় রাখতে পছন্দ করেন। গো কমপেয়ার বিশ্লেষণ অনুসারে, প্রায় ২১ শতাংশ কোটিপতির তিন বা তার বেশি সন্তান রয়েছে।
সস্তা গাড়ি চালায়: বেশির ভাগ ধনকুবেররা দামি গাড়ি চালায় না। তারা সাধারণ বা সেকেন্ড-হ্যান্ড গাড়ি চালায়। কারণ তারা তাদের সম্পদ সঞ্চয় করে।
কোটিপতিদের মধ্যে মিল যেখানে:
কোটিপতিরা এতো সম্পদের মালিক হওয়ার পরে কেমন হয় তাদের জীবনধারা? অর্থের সঙ্গে তো দায়িত্বও বাড়ে। কী করেন তারা সারা দিন? কীভাবে ভারসাম্য রাখেন জীবনে? নিজ উদ্যোগেই ধনী হয়েছেন, এমন শতাধিক ব্যক্তিসহ সফল দুই শ জনের জীবনধারা বিশ্লেষণ করেছে মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস। এই বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, নিজের ভালো থাকাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন তারা। সময়ের ব্যবস্থাপনা এমনভাবে করেন, যেন সবকিছু সামলানো যায় ঠিকঠাক। উল্লেখযোগ্য আর কী কী জানা গেল জেনে নিন।
মিরাকল মর্নিং: সকালটা হলো সারা দিনের ভিত্তি। ধনীদের একটা বড় অংশ তেমনটাই বিশ্বাস করেন। দিনের প্রথম আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা সময় তারা শরীর এবং মনের সতেজতার জন্য ব্যয় করেন। কেউ হাঁটতে হাঁটতে শোনেন পডকাস্ট, কেউ শরীরচর্চার সময় শোনেন কোনো অডিও অনুষ্ঠান। কেউ আবার ‘এক্সারসাইজ বাইক’ চালাতে চালাতে উদ্দীপনামূলক বার্তা পড়া দিয়ে শুরু করেন নিজের দিন। কারও কাছে সকালটা হলো ‘দ্য মিরাকল মর্নিং’।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ: ধনীদের মধ্যে কারও কাছে স্বাস্থ্যই সম্পদ, কারও কাছে সম্পর্কগুলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যিনি যে বিষয়কে গুরুত্ব দেন, সেই বাবদ সময় বরাদ্দ রাখেন ঠিকঠাক। যিনি সম্পর্ককে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন, তিনি কিন্তু হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও প্রিয়জনকে সময় দেন, সন্তানের আনন্দের প্রতি যত্নশীল হন, পারিবারিক আয়োজনের জন্য সময় রাখেন। বার্ষিক যে অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে তিনি ছুটছেন, সেই লক্ষ্যের পথে এগিয়ে যান একটু একটু করে। বড় লক্ষ্য অর্জনের জন্য রোজকার ছোট ছোট কাজ নির্দিষ্ট করে ফেলেন তারা। নিজের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সকাল সকালই বসে যান পরিকল্পনা করতে। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সকালটাই সেরা সময় তাদের কাছে; মাল্টিটাস্কিং না করে একদিকে মনোযোগ দেন তারা।
মিটিং করে সময় নষ্ট করেন না: কোটিপতিদের জীবনধারা বিশ্লেষণ করে ফোর্বস বলছে, তাদের মধ্যে মিটিং করার প্রবণতা কম। স্টিভ জবস বা মার্ক জাকারবার্গের হাঁটতে হাঁটতে মিটিং সেরে নেওয়ার কথা অনেকেই জানেন। মিলিয়নিয়াদের কাজের ধরন থেকে বোঝা যায়, কাজকে ফলপ্রসূ করতে লম্বা দৈর্ঘ্যের মিটিংয়ের প্রয়োজন হয় না।
ই–মেইল প্রসেসিং টাইম: সারাদিন নিজের ই–মেইল আর মুঠোফোনের নোটিফিকেশন দেখেন না মিলিয়নিয়াররা। বরং তারা দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ রাখেন ই–মেইলের জবাব দেওয়ার জন্য। এভাবে কাজ ভাগ করে নেওয়ার ফলে অনেকটা সময় বেঁচে যায় তাদের।
কাজের সময় কাজ, বিশ্রামের সময় বিশ্রাম: অফিসের সময় শেষ হয়ে গেলেও হয়তো আপনার এমন অনেক কাজ রয়ে যায়, যা করা উচিত, যা করা প্রয়োজন কিংবা যা করলে ভালো হয়। তবে ধনকুবেররা কিন্তু এসব কাজ করার পেছনে বাড়তি সময় ব্যয় করেন না। কাজের সময় শেষ হলেই তারা বাড়ি চলে যান। সময়মতো খেয়ে নেন রাতের খাবার। রাত হলো তাদের ‘রিচার্জ’ হওয়ার সময়। রাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেন তারা। পরের দিনটা শুরু করেন পূর্ণ উদ্যমে।
সূত্র: ফোর্বস
আরটিভি/এফআই/এআর
ডার্ক সার্কেল দূর করতে চোখের ওপর রাখুন টি ব্যাগ
মানসিক চিন্তা, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবের পাশাপাশি হরমোনার ইমব্যালেন্স ডার্ক সার্কেলের অন্যতম কারণ। ডার্ক সার্কেল অনেক সময়ই সৌন্দর্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ঝটপট ডার্ক সার্কেল দূর করতে চাইলে প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্য নিতে পারেন। একমাত্র সঠিক জীবনযাপনই আপনাকে এনে দিতে পারে শিশুর মতো কোমল ও দাগমুক্ত ত্বক। তবে, আরও একটি উপায় রয়েছে, যা নিয়ম করে মেনে চললে আপনি ডার্ক সার্কেল ও ফোলাভাব থেকে মুক্ত পাবেন। তা হল টি ব্যাগ বা চা পাতা। চোখের ওপর ভেজানো বা ব্যবহৃত টি ব্যাগ রেখে দেন তা হলে দুর্দান্ত উপকার মিলবে।
• চা পাতার মধ্যে ক্যাফেইন রয়েছে, যা ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। যার জেরে চোখের নীচের ফোলাভাব কমে যায়। পাশাপাশি এটি ত্বককে শান্ত করে এবং চোখের চারপাশের ত্বকের প্রদাহ কমায়। তবে, এমনই চা পাতা বেছে নিতে হবে যার মধ্যে ক্যাফেইন রয়েছে।
•টি-ব্যাগ ফ্রিজে ঘণ্টাখানেক রেখে ঠান্ডা করে চোখের ওপর লাগিয়ে রাখলে ক্লান্তি কাটিয়ে আসবে প্রশান্তি।
• ব্যবহারের পরের ঠান্ডা টি-ব্যাগকে সামান্য কুসুম গরম পানি দিয়ে ভিজিয়ে যে রঙিন পানি বের হবে, তাতে মুলতানি মাটি মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমে গিয়ে ব্রণ থেকে মিলবে মুক্তি।
• ব্যবহারের পর ঠান্ডা টি-ব্যাগকে অল্প কুসুম গরম পানি দিয়ে ভিজিয়ে যে রঙিন পানি বের হবে, তাতে এক চা–চামচ সুজি, এক চা–চামচ যেকোনো ডালের বেসন আর আধা চা–চামচ ব্রাউন সুগার মিশিয়ে অনায়াসেই তৈরি করে ফেলা সম্ভব ত্বকের উপযোগী স্ক্রাবার। এবার আলতো ঘষে মুখ ধুয়ে ফেললেই বাজিমাত।
• একইভাবে বের করে নেওয়া রাঙা পানি আইস বক্সে জমিয়ে রাখতে পারি। পরে প্রয়োজনমতো টোনার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে যেকোনো দিন।
• কুসুম গরম পানিতে ধোয়া রঙিন পানিতে ওয়াটার বেসড ময়েশ্চারাইজার আর কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে কাচের বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দেওয়া যায়। মিশ্রণটি প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে চোখের ওপর এক ফোঁটা করে আলতো মালিশ করে লাগিয়ে নিলে ক্লান্তি আর চোখের কোণের ও নিচের কালো দাগ দূর হবে।
• চা পাতার মধ্যে ট্যানিন রয়েছে, যা ত্বকে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। যারা ড্রাই আইসে ভোগেন এবং চোখের চারপাশের চামড়ায় জ্বালাভাব, প্রদাহ কিংবা লালচে ভাব দেখা দেয়। তারাও চোখের ওপর ভেজানো টি ব্যাগ রাখতে পারেন। এটি ত্বকের প্রদাহ কমাবে এবং শুষ্কভাব দূর করবে।
• চোখের চারপাশের ত্বকে রক্ত সঞ্চালন কমে গেলে ডার্ক সার্কেল বেড়ে যায়। চা পাতা এই কালচে দাগ দূর করতেও উপযোগী। চা পাতার মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত চোখের উপর ব্যবহৃত চায়ের ব্যাগ রাখলে ধীরে ধীরে ত্বক উজ্জ্বল হবে। এই টোটকায় আপনি চোখের চারপাশে বলিরেখাকেও প্রতিরোধ করতে পারবেন। এটি অ্যান্টি-এজিং হিসেবেও কাজ করে।
• যখনই চোখের ওপর ভেজানো বা ব্যবহৃত টি ব্যাগ রাখবেন, ত্বক অনেক বেশি শান্ত হয়ে যাবে। অর্থাৎ, একটা কুলিং এফেক্ট অনুভব করবেন। তারপর যখন ওই টি ব্যাগ সরিয়ে ফেলবেন আগের থেকে অনেক বেশি সতেজতা অনুভব করবেন। সারাদিনের কাজকর্মের পর এই টোটকা কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন।
আরটিভি/এফআই
পুষ্টিগুণে ভরপুর আতা ফলে রয়েছে দারুণ কিছু উপকারিতা
খেতে যেমন সুমিষ্ট এই দেশি ফলটি, তেমনি এতে ঠাসা আছে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান। কাস্টার্ড অ্যাপেল, চেরিমোয়া বা অন্য অনেক নামেই পরিচিত এই ফলটি। তবে বাংলায় একে বলে আতা ফল। সাধারণত যেসব ফলের নামের সঙ্গে আমরা পরিচিত তার তুলনায় এর নাম একটু কম শোনা গেলেও পুষ্টিগুণ কিন্তু ভরপুর রয়েছে এই ফলের মধ্যে। আতা আদতে মধ্য-ক্রান্তীয় অঞ্চলের একটি ফল। মূলত শীতকালে এর ফলন হয়। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ দেশি ফল আতা খেলে পাওয়া যাবে অনেক উপকার।
কোন কোন পুষ্টি উপাদান রয়েছে আতা ফলে: প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, ভিটামিন (সি, বি৬, এ), থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড মেলে আতায়।
আতা খেলে আপনি কী কী উপকার পেতে পারেন, একনজরে দেখে নেওয়া যাক—
আতার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপকরণ রয়েছে। এই ফলের মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং পলিফেনল। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন সি।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর হওয়ার ফলে আতা খেলে আমাদের শরীরের অক্সিডেটিভ ড্যামেজ হয় না। কিংবা এই জাতীয় ক্ষয়ক্ষতি হলে তা পূরণ হয়ে যায়।
চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য যেকোনও সবুজ রঙে শাকসবজি এবং ফল কাজে লাগে। আতা ফল খেলেও দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে, প্রখর হয়।
আতার মধ্যে থাকে ক্যারোটিনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেট লুটেইন। এই উপকরণ চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। দৃষ্টিশক্তি ভালো করে। চোখের দৃষ্টি নষ্ট হতে দেয় না। চোখের দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।
আতা ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সলিউয়েবল ফাইবার। এই উপকরণ অন্ত্রের সমস্যা দূর করে এবং হজমশক্তি ভালো করে।
হজমশক্তি ভালো হয় বলে আতা ফলের সাহায্যে প্রদাহজনিত সমস্যা অর্থাৎ অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর হয়। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে এই ফল।
একাধিক ভিটামিন এবং মিনারেলস রয়েছে আতা ফলের মধ্যে। এই তালিকায় আছে ভিটামিন বি৬ এবং পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। ব্লাড প্রেশারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এইসব উপকরণ। এছাড়াও হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা থেকে আপনাকে দূরে রাখে।
আতা ফলের মধ্যে রয়েছে ভিটামি এ, ভিটামিন বি৬ এবং ভিটামিন সি। এই সমস্ত ভিটামিন আমাদের ত্বকের জন্য খুবই ভালো। কারণ এগুলো ত্বকের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়াও কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আরটিভি/এফআই
বিবাহিত দম্পতিদের ভালো রাখবে যে বিষয়গুলো
যে কোনো ব্যক্তির জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো বিয়ে। বিয়ে এমন একটি ধাপ যেখানে একে অপরের ভালো সময় এবং খারাপ সময়ের মধ্যে ভালবাসার আর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ে সফল করতে এবং সারাজীবন এটিকে স্থায়ী করার জন্য, দম্পতিকে বেশ কয়েকটি বিষয়ে ভাবতে হয়। যেমন প্রতিটি বিবাহিত দম্পতির মধ্যে মতবিরোধ থাকাটা একেবারেই সাধারণ বিষয়। এই সম্পর্ক কখনো প্রেম আবার কখনো দ্বন্দ্বে ভরা। তবে ফাটল খুব বেশি বেড়ে গেলে সম্পর্কে থাকা দুই জনের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। অনেক সময় পারস্পরিক মতপার্থক্য দুই ব্যক্তির মধ্যে এত বড় ব্যবধান তৈরি করে যে তা থেকে সম্পর্ক ভেঙে যায়। ফলে দম্পতি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের বিবাদ মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা গুরুত্বপূর্ণ। এই অবস্থায়, কয়েকটি জিনিস বিষয় বিবেচনায় রাখা উচিত।
সঙ্গীকে সময় দিন: প্রতিটি সম্পর্ককে মজবুত রাখতে সময় দেওয়া প্রয়োজন। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা আরও বেশি করে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আজকের ব্যস্ত জীবনে, একজন কর্মরত স্বামী এবং স্ত্রীর একে অপরের জন্য সময় বের করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু এটাই আপনার সম্পর্ককে ভালো রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায়। স্বামী-স্ত্রীর দূরত্ব একটা ফাটল সৃষ্টি করে যা ভবিষ্যতে সম্পর্ককে দুর্বল করে দেয়। অতএব, আপনার সঙ্গীর জন্য সময় বের করার চেষ্টা করুণ।
কথোপকথন খুবই গুরুত্বপূর্ণ: আপনি প্রায়শই শুনেছেন যে যুদ্ধের চেয়ে সংঘাত সমাধানের জন্য আলোচনা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি আপনার সঙ্গীর সম্পর্কে কিছু খারাপ মনে করেন তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করার চেষ্টা করুন। যেকোন সম্পর্ককে দুর্বল করার জন্য ইগো বা যোগাযোগের অভাবই যথেষ্ট। আপনি বুঝতেও পারবেন না যে এই ছোট্ট ভুলটি আপনার সম্পর্কের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করতে পারে।
ভুল স্বীকার করা: সাধারণত এমন হয় যে আমরা জেনে বা না জেনে এমন ভুল করি যা অন্যের হৃদয়ে আঘাত করে, কিন্তু রাগের বশে আমরা আমাদের সেই ভুলটি দেখতে পারি না। এটা করা মোটেও ঠিক নয়। যখনই আপনার সাথে এমন কিছু ঘটবে বা আপনার সঙ্গী আপনার কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হবেন, তখন একটি ছোট সরি বলতে দেরি করবেন না। আপনার ছোট ক্ষমা আপনার মধ্যে দূরত্ব তৈরির ঝুঁকি হ্রাস করে।
মানসিক সামঞ্জস্য: প্রতিটি সম্পর্কতেই মানসিক সামঞ্জস্য অত্যাবশ্যক। জীবনে উত্থান পতনের প্রতিটি মুহূর্তেই একে অপরের পাশে থাকা জরুরি। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন একটি কঠিন সময় পার করতে থাকেন, তবে অপরজনকে মানসিক সমর্থন দিয়ে পাশে থাকা উচিত।
আরটিভি/এফআই/এআর