পেয়ারা প্রতিদিন কেন খেতেই হবে?
প্রায় সব মৌসুমে পাওয়া যায় পেয়ারা। গরীবের আপেল খ্যাত এই ফল ডায়েটে রাখতে অসুবিধে নেই। আর ভিটামিন সি-যুক্ত এই ফলে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে ভরপুর। কার্ডিওভাসকুলার অসুখ, ছানির সমস্যা, বার্ধক্যের ছাপ থাকলে প্রতিদিন অবশ্যই এই ফল খেতে হবে।
ভারতীয় পুষ্টিবিদ সোমা চক্রবর্তী বলেন, ডায়াবেটিস রুখতে পেয়ারার জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত পেয়ারা খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়া থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। ফলে মানবদেহে সুগারের পরিমাণ শুষে নিয়ে তা অনেকটাই কমিয়ে দেয় পেয়ারা। এ ছাড়াও অ্যান্টি অক্সিড্যান্টের মাত্রা বেশি থাকায় ক্যানসার প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে এই ফল। প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় জীবনীশক্তি বাড়িয়ে জীবাণু সংক্রমণেও সাহায্য করে এই ফল। ১০০ গ্রাম আপেলে যেখানে এক মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে, পেয়ারায় তার পরিমাণ ২১২ মিলিগ্রাম। অন্যদিকে এই ফল ভিটামিন এ-র ভাণ্ডার। যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
পেট ভালো রাখতে পেয়ারা খান নিয়মিত। পেয়ারায় রয়েছে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ও অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল গুণ। যা ডায়রিয়াতে ম্যাজিকের মতো কাজ দেয়। এ ছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। স্ট্রেস দূর করতেও পেয়ারার জুড়ি মেলা ভার। পেয়ারায় আছে ম্যাগনেসিয়াম। পেশী আর স্নায়ুতন্ত্র রিল্যাক্সে সাহায্য করে ম্যাগনেসিয়াম।
পেয়ারায় থাকা ভিটামিন বি-৯ ও ফলিক অ্যাসিড গর্ভস্থ শিশুর স্নায়ুর বিকাশে সাহায্য করে। তাই অন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রেও এই ফল খেতে বলেন চিকিৎসকরা। ভিটামিন বি থ্রি ও বি সিক্স থাকায় মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এই ফল। ফলে মস্তিষ্ক সচল থাকে। পেয়ারা হজমশক্তি যেমন বাড়ায়, তেমনই কমলালেবু, আপেল, আঙুরের মতো ফলের থেকে পেয়ারায় গ্লুকোজের পরিমাণও কম থাকে। ভিটামিন সি-এ উপস্থিত কার্টিনিন ফ্যাট ভেঙে দেয়। তাই এই ফল ওজন কমাতেও সাহায্য করে। ভালো রাখে ত্বকও।
সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা।
জিএ
মন্তব্য করুন