• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১
logo
পেয়ারা পাতার গুণে কমে যাবে চুল পড়া
যে পদ্ধতিতে হলুদে দ্রুত চুল বাড়ে, খুশকিও দূরে থাকে
হলুদ চুলের সুরক্ষা এবং ত্বকের যত্নে একটি বহুল ব্যবহৃত উপকরণ। আয়ুর্বেদে হলুদের যে প্রদাহ-নাশক এবং ব্যাকটেরিয়াযুক্ত উপাদানের উল্যেখ রয়েছে, তা আধুনিক পুষ্টিবিদদের দ্বারাও স্বীকৃত। হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের জন্য উপকারী। বিশেষভাবে, ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলেন, হলুদ রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে মাথার ত্বকে সেবাম নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, যা চুলের বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক। হলুদের উপকারিতা: পুষ্টিবিদদের মতে, যেহেতু হলুদে ব্যাকটেরিয়ারোধক উপাদান রয়েছে এবং রক্ত সঞ্চালনেও সাহায্য করে, তাই তার প্রভাব পড়ে মাথার ত্বকেও। তাছাড়া হলুদে আছে কারকিউমিন, যা রোগ নিরাময়ে কার্যকর এবং চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।  রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি: হলুদ মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুলের ফলিকলকে পুষ্টি এবং অক্সিজেন সরবরাহ করে, ফলে চুল দ্রুত বাড়ে। খুশকি এবং ছত্রাকের বিরুদ্ধে লড়াই: হলুদে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক প্রতিরোধক উপাদান মাথার ত্বককে সুস্থ রাখে, ফলে চুলের বৃদ্ধি স্বাভাবিক থাকে। সেবাম নিয়ন্ত্রণ: হলুদ সেবাম নিঃসরণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, যা চুল পড়া এবং ত্বকের অন্যান্য সমস্যা কমিয়ে দেয়। স্বাস্থ্যকর চুলের ঔজ্জ্বল্য: হলুদ চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যা দূর করে, চুলকে মসৃণ এবং স্বাস্থ্যবান রাখে। ফ্রি র‌্যাডিকেলস থেকে সুরক্ষা: হলুদের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট চুলকে ফ্রি ফ্রি র‌্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে, যা অকালপক্কতা এবং চুলের ক্ষতি রোধ করে। খালি পেটে হলুদ পানি পানের উপকারিতা কাঁচা হলুদ খাওয়া যায়, তবে অনেকের পক্ষে স্বাদ গ্রহণ করা কঠিন হতে পারে। তারা রোজ সকালে খালি পেটে হলুদ পানি পান করতে পারেন। হলুদ পানি তৈরির উপকরণ: ১ গ্লাস গরম পানি ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো ১ চিমটি গোলমরিচ গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ মধু ১ টেবিল চামচ লেবুর রস প্রণালি: গরম পানিতে হলুদ গুলে নিন। তারপর গোলমরিচ গুঁড়ো, মধু এবং লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ঈষদোষ্ণ অবস্থায় পান করুন। কখন পান করবেন?  সকালবেলা খালি পেটে হলুদ পানি খাওয়াই সেরা, তবে সন্ধ্যাবেলাতেও খাওয়া যেতে পারে। নিয়মিত এই পানি পান চুলের জন্য উপকারী। সতর্কতা: প্রথমে অল্প পরিমাণে হলুদ পানি খেতে শুরু করুন। কারণ হলুদের অতিরিক্ত ব্যবহার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারেন। সূত্র: আনন্দবাজার আরটিভি/জেএম  
শীতে ত্বকের যত্নে টোনার, সিরাম ও ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজনীয়তা
টোনার ব্যবহারের আগে দূর করুন ভুল ধারণাগুলো
ত্বকের সমস্যা দূর করবে এই ম্যাজিকাল ফেস মাস্ক 
শীতের শুরুতেই গোড়ালির ফাটলরোধে ঘরোয়া উপায়
শীতকালেও ঠোঁট থাকবে গোলাপের মতো সুন্দর
শীত ভালো করে না পড়লেও, ঠোঁট ফাটা কিন্তু শুরু হয়ে গিয়েছে ইতোমধ্যেই। শীতের ঋতুতে পা ফাটার সঙ্গে নিয়মিত ঠোঁট ফাটার সমস্যাতেও ভোগেন অনেকেই। তবে গোলাপি সুন্দর ঠোঁট সবারই কাম্য। গোলাপি একজোড়া ঠোঁটে হাসি ভালো লাগতে বাধ্য। যতই লিপস্টিক ব্যবহার করি না কেন, গোলাপি ঠোঁট পাওয়ার ইচ্ছা সবার মনেই থাকে। কিন্তু অযত্ন এবং আবহাওয়ার পরিবর্তন, বিশেষ করে শীতকালে ঠোঁট কালচে হয়ে যায়। যা দেখতে খুব একটা ভালো লাগে না। তাই আজ জানাবো কিছু ঘরোয়া টোটকা যার মাধ্যমে কিন্তু সহজেই ঠোঁট ফাটা দূর হয়ে আপনি পাবেন গোলাপের মতো সুন্দর ঠোঁট।  ঠোঁট ফাটার হাত থেকে বাঁচতে হলে ঠোঁটের আদ্রতা বজার রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর্দ্রতা ধরে রাখতে হলে মৃত কোষ সরিয়ে ফেলাটা প্রয়োজন। চিনি গুঁড়োর সঙ্গে মধু মিশিয়ে এক্সফোলিয়েট করতে পারেন। কাঠবাদামের সঙ্গে চিনি গুঁড়ো মিশিয়েও এক্সফোলিয়েট করতে পারেন। বাইরে বের হলে অনেকেই ঠোঁটে লিপস্টিক পরেন। কিন্তু বাড়িতে ফিরে এসে আর সেই লিপস্টিক তোলেন না। এই রকম হওয়া ভালো নয়। তাই বাড়ি ফিরে রাসায়নিক দেওয়া লিপস্টিক তুলতে অ্যালোভেরা রিমুভার ব্যবহার করতে পারেন। শুষ্ক ঠোঁটের যত্ন নিতে হলে অতিরিক্ত ময়েশ্চারাইজার দেওয়া লিপস্টিক মাখুন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময়ে ভিটামিন ই বা শিয়া বাটার দেওয়া লিপ বাম লাগাতে পারেন। রাতে শুতে যাওয়ার সময় ঠোঁটের যত্ন নিতে ভুললে চলবে না। তাই রাতে শুতে যাওয়ার আগে মধুর সঙ্গে তিলের তেল মিশিয়ে সেই মিশ্রণ লাগিয়ে শুতে যান। এতে ঠোঁট আর্দ্র থাকে। ঠোঁটের নিয়মিত যত্নের পাশাপাশি আপনার ঠোঁটকে গোলাপি করে তুলতে সাহায্য করবে পিল অফ লিপ মাস্ক। এই মাস্ক ঠোঁটের ডেড সেলস দূর করবে এবং ঠোঁটকে সফট করে তুলবে। জেনে নিই, কীভাবে এই পিল অফ মাস্কটি তৈরি এবং ব্যবহার করবেন। >> প্রথমে কিছুটা বিট রুট নিয়ে এটি একটা গ্রেটারে গ্রেট করে নিন। >> গ্রেট করা হয়ে গেলে একটি পাতলা কাপড় / ছাঁকনীতে এটি ভালোভাবে ছেঁকে নিয়ে জুসটুকু আলাদা করে নিন। >>এবার এই জুসের মধ্যে হাফ চা চামচ জেলাটিন মিশিয়ে নিন। >> এবার এই মিশ্রনটি  ১০-১৫ সেকেন্ড মাইক্রোওয়েভ করুন। চাইলে চুলায়ও হালকা জ্বাল দিয়ে নিতে পারেন। দেখবেন মিশ্রনটি ঘন এবং আঠালো হয়ে গেছে। >> এবার এটিকে মোটামুটি ঠান্ডা করুন। ব্যস, আপনার পিল অফ লিপ মাস্ক তৈরি। ব্যবহার বিধি: প্রথমে ঠোঁট পরিষ্কার করে নিন। তৈরিকৃত লিপ মাস্কটি কটনবাড অথবা আপনার পরিষ্কার আঙ্গুলের সাহায্যে নিয়ে পুরুভাবে লাগান। এই কাজটি একটু দ্রুত করাই ভালো। কারণ বেশি ঠান্ডা হয়ে গেলে মাস্কটি জমে যেতে পারে। এবার এটা পুরোপুরিভাবে শুকানোর জন্যে অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে এর এক সাইড ধরে আস্তে আস্তে টান দিয়ে মাস্কটি তুলে ফেলুন। এবার, আপনার নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে একটি লিপবাম ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। এই লিপ মাস্কটি সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করুন। তবেই, আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত গোলাপি ঠোঁট পেয়ে যাবেন। আরটিভি/এফআই
ডার্ক সার্কেল দূর করতে চোখের ওপর রাখুন টি ব্যাগ
মানসিক চিন্তা, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবের পাশাপাশি হরমোনার ইমব্যালেন্স ডার্ক সার্কেলের অন্যতম কারণ। ডার্ক সার্কেল অনেক সময়ই সৌন্দর্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ঝটপট ডার্ক সার্কেল দূর করতে চাইলে প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্য নিতে পারেন। একমাত্র সঠিক জীবনযাপনই আপনাকে এনে দিতে পারে শিশুর মতো কোমল ও দাগমুক্ত ত্বক। তবে, আরও একটি উপায় রয়েছে, যা নিয়ম করে মেনে চললে আপনি ডার্ক সার্কেল ও ফোলাভাব থেকে মুক্ত পাবেন। তা হল টি ব্যাগ বা চা পাতা। চোখের ওপর ভেজানো বা ব্যবহৃত টি ব্যাগ রেখে দেন তা হলে দুর্দান্ত উপকার মিলবে।  • চা পাতার মধ্যে ক্যাফেইন রয়েছে, যা ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। যার জেরে চোখের নীচের ফোলাভাব কমে যায়। পাশাপাশি এটি ত্বককে শান্ত করে এবং চোখের চারপাশের ত্বকের প্রদাহ কমায়। তবে, এমনই চা পাতা বেছে নিতে হবে যার মধ্যে ক্যাফেইন রয়েছে। •টি-ব্যাগ ফ্রিজে ঘণ্টাখানেক রেখে ঠান্ডা করে চোখের ওপর লাগিয়ে রাখলে ক্লান্তি কাটিয়ে আসবে প্রশান্তি। • ব্যবহারের পরের ঠান্ডা টি-ব্যাগকে সামান্য কুসুম গরম পানি দিয়ে ভিজিয়ে যে রঙিন পানি বের হবে, তাতে মুলতানি মাটি মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমে গিয়ে ব্রণ থেকে মিলবে মুক্তি। • ব্যবহারের পর ঠান্ডা টি-ব্যাগকে অল্প কুসুম গরম পানি দিয়ে ভিজিয়ে যে রঙিন পানি বের হবে, তাতে এক চা–চামচ সুজি, এক চা–চামচ যেকোনো ডালের বেসন আর আধা চা–চামচ ব্রাউন সুগার মিশিয়ে অনায়াসেই তৈরি করে ফেলা সম্ভব ত্বকের উপযোগী স্ক্রাবার। এবার আলতো ঘষে মুখ ধুয়ে ফেললেই বাজিমাত। • একইভাবে বের করে নেওয়া রাঙা পানি আইস বক্সে জমিয়ে রাখতে পারি। পরে প্রয়োজনমতো টোনার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে যেকোনো দিন। • কুসুম গরম পানিতে ধোয়া রঙিন পানিতে ওয়াটার বেসড ময়েশ্চারাইজার আর কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে কাচের বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দেওয়া যায়। মিশ্রণটি প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে চোখের ওপর এক ফোঁটা করে আলতো মালিশ করে লাগিয়ে নিলে ক্লান্তি আর চোখের কোণের ও নিচের কালো দাগ দূর হবে। • চা পাতার মধ্যে ট্যানিন রয়েছে, যা ত্বকে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। যারা ড্রাই আইসে ভোগেন এবং চোখের চারপাশের চামড়ায় জ্বালাভাব, প্রদাহ কিংবা লালচে ভাব দেখা দেয়। তারাও চোখের ওপর ভেজানো টি ব্যাগ রাখতে পারেন। এটি ত্বকের প্রদাহ কমাবে এবং শুষ্কভাব দূর করবে। • চোখের চারপাশের ত্বকে রক্ত সঞ্চালন কমে গেলে ডার্ক সার্কেল বেড়ে যায়। চা পাতা এই কালচে দাগ দূর করতেও উপযোগী। চা পাতার মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত চোখের উপর ব্যবহৃত চায়ের ব্যাগ রাখলে ধীরে ধীরে ত্বক উজ্জ্বল হবে। এই টোটকায় আপনি চোখের চারপাশে বলিরেখাকেও প্রতিরোধ করতে পারবেন। এটি অ্যান্টি-এজিং হিসেবেও কাজ করে। • যখনই চোখের ওপর ভেজানো বা ব্যবহৃত টি ব্যাগ রাখবেন, ত্বক অনেক বেশি শান্ত হয়ে যাবে। অর্থাৎ, একটা কুলিং এফেক্ট অনুভব করবেন। তারপর যখন ওই টি ব্যাগ সরিয়ে ফেলবেন আগের থেকে অনেক বেশি সতেজতা অনুভব করবেন। সারাদিনের কাজকর্মের পর এই টোটকা কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন। আরটিভি/এফআই
মেনিকিউর ও পেডিকিউর করুন সহজ এই ধাপে
ত্বকের চেয়েও প্রতিদিন হাত-পা বেশি নোংরা হয়ে থাকে। অন্যদিকে হাত-পায়ের যত্নও ঠিকমতো নেওয়া হয় না। এর ফলে হাত-পায়ের ত্বক কালচে ও রুক্ষ হয়ে যায়। পাশাপাশি নখগুলোও নোংরা হয়ে যায় এজন্য ত্বকের পাশাপাশি হাত-পায়েরও বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। অনেকেই সময় বাঁচাতে পার্লারে গিয়ে মেনিকিউর-পেডিকিউর করেন। তবে পার্লারে যাওয়ার সুযোগ না হলে ঘরে বসে খুব সহজেই আপনি নিয়ম অনুযায়ী মেনিকিউর-পেডিকিউর করতে পারবেন। অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা আছে যে, মেনিকিউর-পেডিকিউর শুধু নারীরাই করে। আসলে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য এটি প্রয়োজন। বিভিন্ন কাজ করার ফলে নখের কোনায় ময়লা জমতে শুরু করে। এর ফলে সহজেই ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আমরা আক্রান্ত হতে পারি। তাই মেনিকিউর ও পেডিকিউরের মাধ্যমে নখগুলোকে বিভিন্নভাবে পরিষ্কার করা হয়। সহজে ঘরোয়া উপাদান দিয়েই মেনিকিউর ও পেডিকিউর করার পদ্ধতি জেনে নিন। উপাদান: একটি পাত্র বা বোল, গোলাপের পাপড়ি, মৃদু গরম পানি, গোলাপজল, লেবুর রস, শ্যাম্পু, পেট্রোলিয়াম জেলি, অলিভ অয়েল, চিনি, তুলা, ময়েশ্চারাইজার ক্রিম, একটি ছোট পরিষ্কার টাওয়েল, প্যাকের জন্য মুলতানি মাটি ও নেইলকাটার সেট। যেভাবে করবেন: প্রথমে হাত ও পায়ের নখগুলো সাইজ করে কেটে নিন। একটি পাত্রে বা বোলে মৃদু গরম পানি নিন। এতে এক টেবিল চামচ লেবুর রস, আধা চামচ শ্যাম্পু, গোলাপজল দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার প্রথমে পা এবং পরে হাতগুলো ওই মিশ্রণ দিয়ে ভিজিয়ে রাখবেন ১০-১৫ মিনিট। কিছুক্ষণ পরপর পা ও হাতে মিশ্রণটি মেশাবেন। ভেজানো অবস্থায় নেইল ব্রাশ দিয়ে নখগুলোকে ভালো করে ব্রাশ করুন, যাতে নখের ওপর থাকা বাড়তি মৃত কোষগুলো চলে যায়। এক টেবিল চামচ লেুবুর রস ও এক চা চামচ চিনি দিয়ে স্ক্রাব তৈরি করুন। তারপর ভালো করে ম্যাসাজ করুন। হাত ও পায়ের গোড়ালি ভালো করে ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজ হয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তারপর টাওয়েল দিয়ে হাত ও পা মুছে ফেলুন। এখন প্যাকের জন্য একটি ছোট পাত্রে এক টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, এক টেবিল চামচ গোলাপজল ও  এক চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং আপনার হাত ও পায়ে একটি নরম ব্রাশের সাহায্যে লাগান। আপনার নখগুলোতে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগান। এবার অপেক্ষা করুন প্যাকটি শুকানো পর্যন্ত। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সবশেষে ময়েশ্চারাইজার লাগান। প্রতি সপ্তাহে এটি একবার করলে ভালো ফল পাবেন। আরটিভি/এফআই
 মুখের লোম তুলুন এবার ঘরোয়া প্যাক দিয়ে 
অবাঞ্চিত লোম কারও পছন্দ নয়। কিন্তু পার্লারে গিয়ে থ্রেডিং করা বেশ কষ্টকর। এদিকে অফিস-বাড়ি সব একা হাতে সামলে অনেকেরই সপ্তাহ অন্তর অন্তর পার্লারে গিয়ে মুখের লোম তোলার সুযোগ হয়ে ওঠে না। আবার পার্লারে মুখের লোম তোলার পদ্ধতিও যথেষ্ট বেদনাদায়ক। সেখানে ওয়াক্সিং, থ্রেডিং ছাড়া তো উপায় নেই। এসব করতে গিয়ে চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে আসে।  তাই এত ঝামেলার মধ্যে যেতে না চাইলে বরং বাড়িতেই সহজ ও প্রাকৃতিক উপায়ে মুখের লোম ভ্যানিশ হোক এবার। থ্রেডিং, ওয়াক্সিং ও রেজারের ব্যবহার ছেড়ে একদম প্রাকৃতিক উপায়ে মুখের অবাঞ্চিত লোম তুলুন। ঠোঁটের ওপর, দু'গাল ও আইব্রোর অবাঞ্চিত লোম তুলতে ঘরোয়া ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। এতে লোমও পরিষ্কার হবে এবং ত্বকও ভালো থাকবে। জেনে নিন ঘরোয়া ফেসপ্যাক তৈরির পদ্ধতি— >> মুখের লোম তুলতে দুর্দান্ত কার্যকরী চিনির পেস্ট। এর জন্য লাগবে চিনি, গ্লিসারিন এবং লেবুর রস। এসব সামান্য কিছু উপকরণ দিয়েই মুখের লোম তুলতে পারবেন ঘরে বসেই। প্রথমে একটি পাত্রে চিনি ও লেবুর রস নিয়ে তা গরম করুন। চিনি সম্পূর্ণ গলে গেলে তা নামিয়ে নিন। ইষদুষ্ণ অবস্থাতেই সেই পেস্টে কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মেশান। এই মিশ্রণ ঠোঁটের উপর ও থুতনিতে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর স্ক্রাব করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক দিন এই উপায়ে মুখের লোম তুলে নিতে পারেন। >> দুধ বা পানির সঙ্গে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই পেস্ট অবাঞ্চিত লোমের ওপর লাগান। পেস্ট শুকনো হয়ে গেলে হাত দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন। লোমের অভিমুখে ঘষবেন। নিয়মিত এই টোটকা ব্যবহার করলে লোমের আধিক্য কমে যাবে। >> বেসনের সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি মুখে মাখুন। শুকিয়ে গেলে স্ক্রাব করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। বেসন ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে এবং গোলাপ জল ত্বকে সতেজতা আনে।  >> ডিমের সাদা অংশ মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে পিল-অফ মাস্কের মতো করে এই ফেসপ্যাক তুলে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বকে এই ফেসপ্যাক দুর্দান্ত কাজ করে। এতে ফেসিয়াল হেয়ার দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বক টানটান হয়ে ওঠে। >> পাকা পেঁপে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন। এতে এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি দিয়ে মুখে মালিশ করুন। এবার ১৫-২০ মিনিট বসে অপেক্ষা করুন। এরপর মুখ ধুয়ে ফেললেই অবাঞ্চিত লোম দূর হয়ে যাবে। তার সঙ্গে ত্বকের সমস্যা কমবে। >> যুগ যুগ ধরে রূপচর্চায় চন্দনের ব্যবহার হয়ে আসছে। আগেকার দিনে ব্রণ, ফুসকুড়ি বেরলেই মা-দাদিরা চন্দন বেটে লাগিয়ে দিতেন। তাদের এই টোটকাতেই দু' দিনে গায়েব হত ব্রণ। তাহলে মুখের লোম তুলতে সেই চন্দনেই ভরসা রাখুন। তাতে ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। এই ফেসপ্যাক বানানোর জন্য লাগবে চন্দনের গুঁড়ো, বেসন, কমলা লেবুর খোসার গুঁড়ো, লেবুর রস এবং গোলাপ জল। এসব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে মুখে লাগান। ফেসপ্যাক শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর অল্প পানি নিয়ে মুখে স্ক্রাব করুন। এইভাবে সার্কুলার মোশনে মাসাজ করতে থাকুন। তারপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন মুখ। সপ্তাহে ২ দিন এই ফেসপ্যাক লাগালে দূর হবে মুখের লোম। >> এক চামচ চিনির সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে ফেস স্ক্রাব বানিয়ে নিন। এই ফেস স্ক্রাব সার্কুলার মোশনে মুখের ওপর ঘষুন। লেবুর রস ত্বকে প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে এবং চিনি ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করে।  আরটিভি/এফআই
ফেসিয়াল করার পর ভুলেও এই ৫ কাজ করবেন না
সুন্দর টানটান ত্বক কে না চায়, কিন্তু ওমন সুন্দর ত্বক তো আর এমনি পাওয়া যায় না। তার জন্য় প্রয়োজন যত্নের। নিয়মিত রূপটানের দ্বারাই পাওয়া যেতে পারে সুন্দর, দাগছোপহীন ত্বক। ত্বকের যত্ন নিতে ফেসিয়ালের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু অনেকেই ফেসিয়ালের পর এমন কিছু কাজ করে থাকেন যার জন্য ত্বকের মোটেই ভালো নয়, বরং এই কাজগুলো করলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে আপনার। সেই সঙ্গে লাবণ্য হারিয়ে ফেকাসে হয়ে যায় মুখের ত্বক। আর সেই কারণেই তো ফেসিয়ালে পর কিছু কাজ একেবারেই করা উচিত নয় বলে জানান ত্বক বিশেষজ্ঞরা। আসলে ফেসিয়ালের পরে ত্বক খুব নরম ও সেনসিটিভ হয়ে যায়। সেই কারণেই তো এই সময় আরও বেশি করে ত্বকের যত্নের প্রয়োজন হয়। আর এই কাজটি যদি ঠিক মতো না করেন, তাহলে উলটো ঘটনাটাই ঘটে। সদ্য ফেসিয়ালের পর কী কী করা উচিত নয় দেখে নিন। কী কী কাজ করতে নেই জেনে নিন— ​স্ক্রাবিং করবেন না: ফেসিয়ালের সময় এমনিতেই ত্বকের উপরের অংশে জমে থাকা ময়লা, মৃত কোষ ধুয়ে য়ায়। তাই এই ধরনের ত্বকের পরিচর্যার পর আরও একবার স্ক্রাবিং করার প্রয়োজন হয় না। আর যদি আপনি এমনটা করেন, তাহলে স্কিন সেলে মারাত্মকভাবে ক্ষতি হয়ে যায়। তাই ফেসিয়ালের করার কিছুদিন পরই বরং স্ক্রাবিং করুন। এতে আপনি ভালো ফল পাবেন। ​রোদ লাগাবেন না ত্বকে: ফেসিয়ালের পর ত্বক যেহেতু সস্পর্শকাতর হয়ে যায়, তাই এই সময় চড়া রোদে ঘোরাঘুরি না করাই ভালো। আপনি যদি এমনটা করলেন তাহলে ত্বকের অনেকটাই অবনতি ঘটবে। সেই সঙ্গে অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাবে স্কিনের উপও মারাত্বকভাবে পুড়ে যায়। এর ফলে ত্বকে নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে। ​থ্রেডিং করবেন না: স্ক্রাবিং-এর মতই ফেসিয়ালের পর ভুরু প্লাক বা থ্রেডিং করবেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, আসলে এই সময় ত্বকের উপরিভাগ নরম থাকে যার ফলে এই সময় থ্রেডিং করলে ত্বকের প্রদাহ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এক কথায় বলতে গেলে ত্বক যখন খুব স্পর্শকাতর পরিস্থিতিতে থাকে তখনই প্রদাহ বা জ্বালা সৃষ্টি হয়। তাই এমন কাজ করা একেবারেই উচিত নয়। এত ভালোর থেকে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ​নতুন কোনও বিউটি প্রডাক্ট নয়: আসলে ফেসিয়াল পর ত্বক খুব সেনসিটিভ হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময় নতুন কোনও ক্রিম বা বিউটি প্রডাক্ট ব্যবহার ট্রাই না করারই শ্রেয়। একান্ত যদি চান তাহলে ফেসিয়াল করার অন্তত ৩-৪ দিন পর বিউটি প্রডাক্ট ব্য়বহার করবেন ফেস মাস্ক: এই সময় কোনও ফেসিয়াল মাস্ক ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, অনেকে মনে করেন ফেসিয়ালের পর প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি ফেসিয়াল পেস্ট ব্যবহার করা যেতেই পারে, তাতে কোনও ক্ষতি হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরণা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ ফেসিয়ালের পর ত্বক যেহেতু খুব স্পর্শকাতর হয়ে যায়। তাই এই সময় যে কোনও কিছু থেকে ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেসিয়ালের কম করে ৩৬ ঘন্টা পর থেকে ফেস মাস্ক বা কেমিকেল পিলং ব্যবহার করবেন, তার আগে নয়। আরটিভি/এফআই
রোদে পোড়া দাগ দূর হবে বেসনের এই বিশেষ প্যাকেই
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। যাদের শরীরে মেলানিন কম থাকে, তাদের ত্বক সহজেই রোদে পুড়ে যায়। এদিকে উৎসবেও বাহিরে ঘোরাঘুরি সময় সানস্ক্রিন, ছাতা ব্যবহারের পরেও সূর্যের তেজে চামড়ায় ট্যান (রোদে পোড়া কালো ছোপ) পড়েছে। এবার সেই হাত পায়ের ট্যান তোলার পালা। ঘরোয়া প্যাক দিয়েই ডিট্যান করে ফেলুন। এতে খরচও বাঁচবে অনেকটাই। এই দিকে ফলাফলও মিলবে দুর্দান্ত। তাহলে দেরি না করে ঝটপট সেই প্যাকের সম্বন্ধে জেনে নিন বিস্তারিত। উপকরণ লাগবে সামান্যই— বেসন, দই মোটামুটি সকলের বাড়িতেই থাকে। তা দিয়েই কিন্তু ট্যান (রোদে পোরা ভাব) উঠে যাবে নিমেষে। পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়বে দূর হবে ব্রণের দাপটও।  এই ফেসপ্যাক বানাতে লাগবে: ১. ১ টেবিল চামচ বেসন ২. ১ টেবিল চামচ দই ৩. আধ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো ৪. ১ চা চামচ লেবুর রস ৫. ১ টেবিল চামচ মধু যেভাবে বানাবেন: প্রথমে একটি ছোট বাটিতে ১ টেবিল চামচ বেসন নিয়ে নিন। তাতে আধ চা চামচ হলুদের গুঁড়ো দিয়ে মেশান। এরপর দই দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। তাতে দিয়ে দিন লেবুর রস এবং মধু। স্মুদ পেস্ট না হওয়া পর্যন্ত ভালো করে মেশাতে থাকুন। তাহলেই কয়েক মিনিটে তৈরি হয়ে গেল আপনার ডিট্যান প্যাক। এবার হাত-পায়ে তা লাগানোর পালা। ট্যান পড়া হাত-পা, গলায় ভালো করে বেসনের প্যাক লাগিয়ে নিন। তারপর ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তাতেই হাত-পা শুকিয়ে আসবে। এর পর ভেজা হাতে হালকা করে স্ক্রাবিংটা সেরে ফেলুন। শেষে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন।  প্যাকের গুণআগুণ: ঘরোয়া রূপটানে যুগ যুগ ধরে বেসনের ব্যবহার হয়ে আসছে। আগেকার দিনে মা-দাদিরা কাজের ফাঁকে এই উপকরণ দিয়েই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নিতেন। এখনও ঘরোয়া রূপচর্চায় সমানভাবে প্রাসঙ্গিক বেসন। এই উপকরণ ত্বককে এক্সফলিয়েট করে মৃত কোষ দূর করে। পাশাপাশি ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। হাইপারপিগমেন্টেশন এবং ব্রণও দূর হয় এর ছোঁয়ায়। এই দিকে দইয়ে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিডও ত্বককে এক্সফলিয়েট করে ভিতর থেকে। ত্বককে ময়শ্চারাইজ করতেও এর জুড়ি মেলা ভার। এর ছোঁয়াতেই দূর হয় ট্যানিং। আর লেবুর রস এবং মধু প্রাকৃতিক ব্লিচের কাজ করে। ট্যান এবং দাগছোপ দূর হয় এর গুণে। এক চিমটে হলুদের ছোঁয়ায় ব্রণ দূর হয়। কমে ত্বকের সংক্রমণ, জ্বালাপোড়া ভাবও। মাথায় রাখুন এই টিপস এতসব গুণে ভরপুর এই ফেসপ্যাক সপ্তাহে ২-৩ দিন মাখুন। দেখবেন দু' সপ্তাহেই সমস্ত ট্যান উধাও হয়েছে। এছাড়া এই প্যাক ব্যবহারের দিনেই কিন্তু সাবান ব্যবহার করবেন না। এই নিয়ম মেনে প্যাকটি ব্যবহার করলে কয়েক দিনে পার্থক্য নিজে চোখে দেখতে পাবেন। ট্যান তো দূর হবেই। সঙ্গে উপচে পড়বে ত্বকের উজ্জ্বলতাও।  আরটিভি/এফআই
ঝটপট ত্বকে উজ্জ্বলতা দেবে ডিমের ফেসপ্যাক
রূপচর্চায় ডিম ব্যবহার নতুন নয়। তবে মূলত, চুলের যত্নেই ডিম ব্যবহার করতে দেখা যায় বেশি। ডিমের সাদা অংশটা যদি ত্বকের চর্চায় ব্যবহার করা যায়, তাহলে ত্বক হবে টানটান, উজ্জ্বল। ডিমে রয়েছে লুটিন নামে এক ধরনের উপাদান, যা ত্বককে আর্দ্র রাখে। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে মসৃণ। ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রাকৃতিক প্রোটিন ও অ্যালবুমিন, যা ত্বক টানটান করে। এখনকার ব্যস্ত সময়ে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময়েই নেই আমাদের হাতে। তাই ঝটপট ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে কার্যকর ডিমের ফেসপ্যাক। রূপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিমের কুসুম কিন্তু ত্বক ঝকঝকে করতে দারুণ কাজে লাগে।  জেনে নিন ফেসপ্যাক তৈরির নিয়ম— শুষ্ক ত্বকের জন্য প্রথমে একটি ডিম নিয়ে তার থেকে কুসুম আলাদা করে নিন। এবার এই কুসুমটির সঙ্গে এক চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন। মুখে ভালো করে ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলে এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে নিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট বাদে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি শুষ্ক ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। মুখের অন্যান্য সমস্যার মধ্যে একটি সমস্যা হল ব্ল্যাকহেডেস। এ জন্য একটি ডিমের কুসুমকে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর তা ব্রাশে করে নাকের চারপাশে লাগিয়ে নিন। এরপর একটি টিস্যু পেপার লাগিয়ে নিন নাকের ওপর। ডিমের প্রথম লেয়ারটি শুকিয়ে গেলে আরেকটি লেয়ার লাগিয়ে নিন। এরপর শুকিয়ে গেলে কাগজ গুলোকে টেনে তুলে ফেলুন। দেখবেন কাগজের সঙ্গে ব্ল্যাকহেডসও উঠে আসবে। তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রবল সম্ভবনা দেখা যায়। সেক্ষেত্রে একটি ডিমের কুসুম, এক চামচ মধু এবং এক চামচ বাদাম তেল নিয়ে তা ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর প্যাকটি ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল রাখতে একটি ডিমের কুসুম, এক চামচ ঘন ক্রিম এবং এক চামচ গাজরের রস মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিন। এবার এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল করে তুলবে। আরটিভি/এফআই-টি