• ঢাকা বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১
logo
উৎসবে আনন্দ হোক সুগার ফ্রি মিষ্টিতে
মুচমুচে সুস্বাদু স্ন্যাকসের রকমারি রেসিপি
আবহাওয়া যেরকমই হোক না কেন বাঙালির বিকেলে চা এবং তার সাথে টা না হলে যেনো চলেই না। চায়ের সাথে পাকোড়া, সমুসা, আলুর শিঙাড়া কিংবা রকমারি মুখরোচক স্ন্যাকসের নাম শুনলেই  জিভে জল চলে আসে। দোকান থেকে কিনে খেতে না চাইলে ঘরেই তৈরি করতে পারেন এরকম মুখরোচক স্ন্যাকস।  চলুন জেনে নেওয়া যাক ভিন্নস্বাদের রকমারি মুখরোচক স্ন্যাকসের সব রেসিপি। চিকেন চিজ পাকোড়া উপকরণ: চিকেন (বোনলেস, ২০০ গ্রাম), গোলমরিচগুঁড়ো (আধ-চা চামচ), নুন (স্বাদ মতো), শুকনা মরিচ গুঁড়ো ( ১ চা-চামচ), কাচামরিচ (২ টি), আদা রসুন বাটা (২ চামচ), হলুদ গুঁড়ো (১/৪ চা-চামচ), পিৎজা চিজ (গ্রেটেড, ৫০ গ্রাম), সাদা তেল (ভাজার জন্য)। প্রণালী: একটা ব্লেন্ডারে চিকেন, লবণ, কাঁচামরিচ, শুকনা মরিচ গুঁড়ো, আদা-রসুন বাটা ও গোলমরিচ দিন। ভালো করে ব্লেন্ড করুন যাতে মিহি হয়। আধঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন। একটা বাটিতে বেসন, লবণ, পানি, বেকিং সোডা মেশান। ভালো করে ফেটিয়ে নিন যাতে দলা না থাকে। চিকেনের মিশ্রণ ফ্রিজ থেকে বের করে নিন। একটা বড়ো পাত্রে তেল ব্রাশ করে মিশ্রণটা ছড়িয়ে রাখুন। তার ওপর গ্রেটেড চিজ বিছিয়ে দিন। সেখান থেকে অল্প মণ্ড তুলে মুড়ে ছোট বল তৈরি করুন। প্যানে তেল গরম করুন। চিকেন বলগুলো বেসনের গোলায় ডুবিয়ে লালচে করে ভেজে তুলুন। চাটনির সাথে পরিবেশন করুন। ছানার কাটলেট উপকরণ: ছানা (২৫০ গ্রাম), ভেজানো ছোলার ডাল বাটা (ছোট ৪ চামচ), আদা বাটা (২ চামচ), জিরে বাটা (আন্দাজমতো) বা জিরে গুঁড়ো (২ চামচ), কাঁচামরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি, লবণ, চিনি, ভাজা গরম মশলার গুঁড়ো (জায়ফল, জয়ত্রি, সা-জিরে, সা-মরিচ, এলাচ, দারচিনি, জিরে ইত্যাদি ভেজে গুঁড়ো করা), সাদা তেল (ভাজার জন্য), অ্যারারুট, বিস্কুটের গুঁড়ো। সালাদের উপকরণ: টমেটো, শসা, গাজর। প্রণালী: ছানাকে ভালোভাবে ম্যাশ (চটকে নিন মিহি করে) করে নিয়ে তাতে ছোট চায়ের চামচের ৪ চামচ ছোলার ডাল বাটা মিশিয়ে নিন। ২ চামচ আদা বাটা , জিরে গুঁড়ো, কাঁচামরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি, (ধনেপাতা না থাকলে পার্সলে পাতা কুচি), স্বাদমতো লবণ, চিনি, কাজুবাদাম বাটা দিয়ে ছানাটাকে ভালো করে মেখে নিন। এবার সমস্ত ভাজা মশলার গুঁড়ো মিশিয়ে কাটলেটের আকারে গড়ে অ্যারারুটে ডুবিয়ে বিস্কুটের গুঁড়ো মাখিয়ে সাদা তেলে ভেজে নিন। এবার প্লেটে সালাদ দিয়ে সাজিয়ে কাটলেট পরিবেশন করুন।
মুরগির দুই পদেই জমে উঠুক ভুঁড়িভোজ
ঝাল ছাড়া ‘রেলওয়ে মাটন কারির’ রেসিপি
রাজস্থানের শাহী রাজ কচুরি 
পূজায় ভিন্ন স্বাদের মুচমুচে ‘চিকেন পোটলি’
এবারের পূজায় রাঁধতে পারেন ভাইরাল এই পদ
ম্যাগির আছে নানা প্রকার। ম্যাগিকে নিয়েই হয় রান্নার যত পরীক্ষা-নিরীক্ষা। নানা রকম ম্যাগির তালিকায় এবার যুক্ত করে নিন ম্যাগির নতুন আরেক পদ। আর তা হলো বিরিয়ানি ম্যাগি। পূজায় বাড়ির সবাইকে নতুন কিছু খাওয়াতে চাইলে রেঁধে নিতে পারেন এই পদটি। ২ মিনিটের ম্যাগির এই বিশেষ পদ তৈরি করতে পারেন ঝটপট। জেনে নিন রেসিপি— উপকরণ: ম্যাগি ৫ প্যাকেট, পেঁয়াজ ৩টি, পেঁয়াজের বেরেস্তা ১ কাপ, গাজর ১টি, মটরশুটি ১০টি, কাঁচা মরিচ ৩টি, ধনেপাতা ১/৪ কাপ, পুদিনা পাতা ১/৪ কাপ, জিরা ১ চা চামচ, তেজপাতা ১টি, আদা কুঁচি ১ টেবিল চামচ, রসুন কুঁচি ১ টেবিল চামচ, আতর ১/৪ কাপ, মরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়ো ১ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়ো ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ, বিরিয়ানি মশলা গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ, লবণ ১ চা চামচ, কস্তুরি মেথি ১/২ টেবিল চামচ রাঁধবেন যেভাবে:  প্রথমে গাজর, বিনস, পেঁয়াজ, মরিচ, ধনেপাতা কুঁচি করে কেটে নিন। এরপর কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে সব সবজি, আদা-রসুন বাটা দিয়ে দিন। সঙ্গে অল্প মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো ছড়িয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। এরপর ম্যাগি ভেঙে দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে সেদ্ধ হতে দিন। এবার ম্যাগি সেদ্ধ হয়ে গেলে ঢাকনা তুলে ওপর থেকে বিরিয়ানি মশলা আর ধনেপাতা কুঁচি আর পেঁয়াজের বেরেস্তা ছড়িয়ে নিলেই তৈরি আপনার বিরিয়ানি ম্যাগি।   আরটিভি/এফআই/এআর
পূজা স্পেশাল গঙ্গাজলি নাড়ু 
নাড়ু ছাড়া যেন পূজা জমেই না। আর নাড়ু মানেই আমরা বুঝি নারকেল দিয়ে তৈরি মিষ্টি। নারকেলের মধ্যে কখনও চিনি মিশিয়ে, কখনও আবার গুড় দিয়ে তৈরি করা হয় নাড়ু। পূজা কিংবা কোনও অনুষ্ঠান হলেই বাড়িতে অনেক রকমের নাড়ু বানানো হয়। যেমন তিলের নাড়ু, সুজির নাড়ু, গুঁড়ের নাড়ু আরও অনেক রকমের নাড়ু। ঘরেই সহজে বানিয়ে ফেলতে পারেন নাড়ু। বাড়ির অনুষ্ঠানে নাড়ু ছাড়া মিষ্টিমুখ যেন অসম্পূর্ণ। এবারের পূজায় ভিন্ন রকম নাড়ু বানাতে চাইলে গঙ্গাজলি নাড়ু তৈরি করতে পারেন। শতাব্দী প্রাচীন বিলুপ্ত প্রায় গঙ্গাজলি নাড়ুর স্বাদ অতুলনীয়।  গঙ্গাজলি নাড়ু তৈরির উপকরণ সামান্য। তবে যেটা লাগবে, তা হল ধৈর্য্য। ঝটপট রান্নার পদ এটি নয়। তাই যদি কখনও মনে করেন বাড়িতে গঙ্গাজলি নাড়ু বানাবেন, তাহলে হাতে অনেকটা সময় রাখুন। না হলে নাড়ু ভালো তৈরি হবে না।   জেনে নিন রেসিপি— উপকরণ: নারকেল বাটা বা কোরা - ১ কাপ চিনি - ১ কাপ পানি - ১/২ কাপ ছোটো এলাচ - ৪ টি কর্পূর - এক চিমটি প্রণালী:  নারকেলটা প্রথমে পানিতে বেশ কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। এতে কোরানোর সময় নারকেলের খোলের খয়েরি অংশ সাদা নারকেল কোরার মধ্যে মিশবে না। এরপর নারকেলের সাদা অংশটা ছাড়িয়ে বেটে নিন। ব্লেন্ডারে মিহি করে বেটে নিতে পারেন। আবার চাইলে কুরিয়েও নিতে পারেন। বাটার সময় এতে কিন্তু পানি দেবেন না। এবার কড়াই গরম করে, খুব কম আঁচে চিনি এবং পানি দিয়ে সিরা তৈরি করতে শুরু করুন। এতে মিশিয়ে দিন থেঁতো করা এলাচ। চাইলে আবার এলাচ গুঁড়োও ব্যবহার করতে পারেন। এবার চিনির রস গাঢ় হলে এলাচগুলো তুলে ফেলে দিন। তারপর তাতে নারকেল বাটা দিয়ে নেড়েচেড়ে নারকেলের সঙ্গে রস একেবারে মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন, চিনির রসে যেন খয়েরি রং না ধরে অর্থাৎ চিনি ক্যারামেলাইস্ না হয়ে পড়ে। এতে নারকেল লাল হয়ে যাবে এবং নাড়ুগুলো সঠিক চেহারা পাবে না। এবার এতে এক চিমটে কর্পূর মিশিয়ে একটা বড় ট্রে বা থালায় ঢেলে শুকোনোর জন্য অপেক্ষা করতে থাকুন। শুকিয়ে গেলে এটিকে আরও একবার ব্লেন্ডারে বেটে গুঁড়ো পাউডারের মতো তৈরি করতে হবে। অনেকে এই গুঁড়োই মিষ্টি হিসেবে খান। তবে এটি দিয়ে নাড়ু পাকিয়ে নিলে বা ছাঁচে ফেলে অর্ধচন্দ্রাকার দিলে দেখতে বেশি সুন্দর লাগে।
বরিশালের জনপ্রিয় শরবত মলিদা
বরিশাল অঞ্চলের একটি জনপ্রিয় পানীয় হলো মলিদা। বিভিন্ন উৎসব পার্বণে এই অঞ্চলে মলিদা খাওয়ার চল অনেক পুরোনো। তবে বর্তমান প্রজন্মের অনেকে এই মলিদার সঙ্গে পরিচিত নন। এ অঞ্চলের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে জনপ্রিয় পানীয় মলিদার নামটি সর্বাঙ্গে জড়িয়ে। যদিও আধুনিকতার ছোঁয়ায় বড় কোনো উৎসব ছাড়া মলিদার আয়োজন এখন আর দেখা যায় না। তবে কেউ কেউ এখনও সংস্কৃতি বা ঐতিহ্য ধরে রাখতে ছোট পরিসরে মলিদা খাওয়ানোর আয়োজন করেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক মলিদা তৈরির রেসিপি। রেসিপি- উপকরণ: নতুন পোলাওয়ের চাল, নারিকেল, আদা, লবণ, খাঁটি আঁখের গুড়, খই/মুড়ির প্রয়োজন হয়।  পরিমাণের হিসাব কষলে বড় এক কাপ বাটা পোলাওয়ের চালের সঙ্গে, কিছুটা মুড়ি/খই বাটা, বড় টেবিল চামচ নারিকেল বাটা, চা চামচ আদা বাটার সাথে পরিমাণ মতো আঁখের গুড়, লবণ মিশিয়ে ৩-৪ কাপ পানির সাথে মিশ্রণ করতে হবে। প্রণালি: একটি পাত্রে প্রথমে পরিমাণ মতো পোলাওয়ের চাল বাটা, মুড়ি বা খই বাটা, নারিকেল বাটা ও খাঁটি আঁখের গুড় মিশিয়ে হাত দিয়ে কচলে নিন যেন সবগুলো উপাদান একসঙ্গে মিশে যায়। আরেকটি পাত্রে পানি দিয়ে তাতে আগের মিশ্রণগুলো অল্প অল্প করে মিশিয়ে নাড়তে থাকুন, তবে এ মিশ্রণে পানির পাশাপাশি তরল দুধ বা ডাবের পানিও ব্যবহার করেন অনেকে। এবারে সবগুলো মিশ্রণ ঢালার পর পরিমাণ মতো লবণ ও আদা বাটা দিয়ে ভালো করে নাড়ুন। মিশ্রণ হয়ে গেলে পছন্দমতো গ্লাসে ঢেলে তার ওপর মুড়ি বা খই ছিটিয়ে অল্প নারিকেল বাটা ছিটিয়ে দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন সুস্বাদু মলিদা। মলিদাকে আরও সুস্বাদু করতে অনেক জায়গাতে চিড়াও মিশানো হয়। আগে মিশ্রণ ও বাটার কাজ শীলপাটা ও ঘুঁটনি দিয়ে করা হতো, তবে এখন চাইলে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে তৈরি করে নিতে পারেন। যদিও চাল বাটার কাজটি শীলপাটায় করলে স্বাদটা অনেক ভালো হবে। ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন। আরটিভি/এফআই
ভোগের পায়েস রাঁধবেন যে নিয়মে
জন্মদিন, অন্নপ্রাশন, বিয়ে অথবা যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানে হিন্দুদের একটা পদ বাঁধা থাকে আর তা হলো পায়েস। যে কোনও পূজার ভোগেও পায়েস দেওয়ার চল রয়েছে। প্রদেশ অনুযায়ী পায়েসও ভিন্নভাবে তৈরি করা হয়। ওড়িশায় যেমন এই পায়েসকে বলা হয় ক্ষীর। দুধ ঘন করে, চিনি, কাজু, কিশমিশ আর সামান্য চালের দানায় বানানো হয় এই পায়েস। জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণের খুব প্রিয় এই সাবুদানা ক্ষীর। দুধ ভালো করে জ্বাল দিয়ে তাতে ঘিয়ে ভাজা সাবুদানা ফেলে বানানো হয় এই পায়েস। এছাড়াও কোথাও সিমুই এর পায়েস দেওয়া হয়। দুর্গাপুজো থেকে কালীপূজা সব পূজার প্রসাদে খিচুড়ি, পাঁচরকম ভাজা, লাবড়া, পোলাও যাই থাক না কেন পায়েস থাকবেই। পায়েস ছাড়া যেন পূজা অসম্পূর্ণ। ভোগের পায়েস করার নিয়ম: অনেক নিয়ম শুদ্ধির মধ্যে দিয়ে রান্না করা হয় এই পদ। গোবিন্দভোগ চালের সঙ্গে যখন মেশে, ঘি, দুধ , কাজু, কিশমিশ তখন তার স্বাদটাই আলাদা হয়ে যায়। ভোগের পায়েসের সঙ্গে স্বাদে বাড়ির পায়েসের তফাত বিস্তর। এছাড়াও থাকে বাড়িতে তৈরি বিশেষ মিষ্টিও। দেখে নিন কেমন করে বানাবেন ভোগের পায়েস।  যা যা লাগবে: গোবিন্দ ভোগ চাল- ১০০ গ্রাম দুধ- ১ লিটার চিনি- ১০ গ্রাম কাজু বাদাম কিশমিশ- ২ চামচ তেজপাতা- ১টা এলাচ গুঁড়ো- ১ চামচ ঘি- চামচ কীভাবে বানাবেন: ১০০ গ্রাম চালের জন্য ১ লিটার দুধ নিন। চাল ধুয়ে ভালো করে ঘি মাখিয়ে নিন। এবার অন্য একট পাত্রে দুধ বসান। জ্বাল দিয়ে ভালো করে দুধ ঘন করে নিন। দুধ ফুটে উঠলে তাতে চাল দিয়ে দিন। এবার ওর মধ্যে তেজপাতা, এলাচ গুঁড়ো দিন। চাল সেদ্ধ হচ্ছে বুঝলে চিনি দিন। কারণ চিনি আগে দিয়ে দিলে চাল সেদ্ধ হতে চায় না। নামানোর আগে কাজু, কিশমিশ ছড়িয়ে দিন।  আরটিভি/এফআই
পূজায় একদিন রেঁধে নিন অষ্টমঙ্গলা ঝোল
খাবার ছাড়া পূজা ঠিক জমে না। ঝাঁ-চকচকে মন্দিরের রং-বাহারী সাজসজ্জায় উৎসবের আমেজ তৈরি হয় বটে, তবে পূজার আভিজাত্য প্রকাশিত হয় খাবারে। নিরামিষ, আমিষ, যত ধরনের মিষ্টির নাম আমরা জানি, তার প্রায় সবই; তারপর আছে পূজার জন্য বিশেষ বিশেষ খাবার। সব মিলিয়ে পুরো পূজার সময় আধ্যাত্মিক মুক্তির আবেশ যেমন থাকে, তেমনি থাকে স্বাদমুক্তিরও প্রাণান্ত প্রচেষ্টা, সাধ্যমতো। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত দুর্গাপূজার বেশির ভাগই রাজসিক পূজা। ফলে, খাবারদাবার ছাড়া এ অনুষ্ঠান কল্পনা করাটাই কষ্টকর। তাহলে আজ জেনে নিন পূজার জন্য বিশেষ একটি পদ অষ্টমঙ্গলা ঝোল। জেনে নিন রেসিপি। উপকরণ: আলু (লম্বা ডুমো করে কাটা) - ১ কাপ, কুমড়ো (লম্বা ডুমো করে কাটা) - ১ কাপ, রাঙা আলু (লম্বা ডুমো করে কাটা) - ১ কাপ, বেগুন (লম্বা ডুমো করে কাটা) - ১ কাপ পটল (লম্বা ডুমো করে কাটা) - ১ কাপ, ঝিঙে (লম্বা ডুমো করে কাটা) - ১ কাপ, বাঁধাকপি (লম্বা ডুমো করে কাটা) - ১ কাপ, ফুলকপি (লম্বা ডুমো করে কাটা) - ১ কাপ মটর ডালের বড়ি- ১ মুঠো, নারকেল কুচি- ১ মুঠো, তেজপাতা- ২-৩টি, শুকনো মরিচ- ২-৩টি, পাঁচফোঁড়ন- ১ চামচ, কাঁচামরিচ চেরা- বেশ কয়েকটি, ধনেপাতা কুচি- ১ মুঠো, লবণ স্বাদমতো, চিনি- স্বাদমতো, সরিষার তেল, ঘি প্রণালী: আলু, কুমড়ো, ঝিঙে, রাঙা আলু এবং পটলের খোসা ছাড়িয়ে নিন। তবে পটল এবং ঝিঙের সমস্ত খোসা ছাড়াবেন না। মাঝে একটু করে রেখে দেবেন। এবার বেগুনসহ সবজি লম্বা ডুমো করে কেটে নিন। ফুলকপির ফুল ছাড়িয়ে ছোটো টুকরো করে কাটুন। বাঁধাকপি এবং নারকেল যতটা সম্ভব মিহি করে কুচিয়ে নিন। কাঁচামরিচ চিরে রাখুন। কড়াইতে তেল এবং ঘি একসঙ্গে গরম করুন। তাতে প্রথমে নারকেল কুচি ভেজে নিন। তারপর তাতে ভেজে নিন বড়িগুলো। প্রয়োজনে কড়াইতে আরও কিছুটা তেল বা ঘি দিন। ঘি দিলে খেতে বেশি সুস্বাদু হবে। গরম তেলে তেজপাতা, শুকনো মরিচ এবং পাঁচফোঁড়ন দিন। মশলার সুগন্ধ উঠলে প্রথমে তাতে শক্ত সবজিগুলো ভেজে নেবেন। সেই অনুযায়ী প্রথমে আলু ও ফুলকপি ভাজুন। মিনিট পাঁচেক ভাজার পর তাতে পটল, রাঙা আলু এবং বাঁধাকপি দিয়ে ভাজতে থাকুন। তারপর তাতে সবচেয়ে নরম সবজি মানে কুমড়ো, ঝিঙে এবং বেগুন দিয়ে ভাজুন। এতে স্বাদ অনুযায়ী লবণ এবং কাঁচা মরিচ চেরা দিয়ে ভালো করে ভাজতে থাকুন। এই পদটি মাঝারি আঁচে ঢাকা দিয়ে রান্না করতে হবে। রান্নার মাঝে মাঝে জল ছিটিয়ে দিতে হবে। না হলে সেটি পুড়ে যেতে পারে। সবজি নরম হয়ে গেলে তাতে ধনেপাতা কুচি, চিনি দিয়ে খুব ভালো করে মেশান। শেষে এতে নারকেল কুচি ভাজা এবং বড়ি ভাজা দিয়ে মেশাতে থাকুন। এই সবজি একেবারে শুকনো হবে না। খুব সামান্য ঝোল থাকবে। তাই জলের পরিমাণ বুঝে দেবেন। আর সাবেকি নিয়ম অনুযায়ী এই রান্নায় আদা, হলুদ বা অন্য কোনও মশলা পড়ে না। সম্পূর্ণ নিরামিষ এই রান্না পূজার দিনেও খেতে পারবেন অনায়াসে। আরটিভি/এফআই
ইলিশের ডিমের মজাদার রেসিপি
চলছে ইলিশের মৌসুম। ইলিশ মাছ খেতে ভালোবাসেন না, এরকম খুব কম বাঙালিকে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে। সরিষা ইলিশ হোক বা ভাপা অথবা হোক তেল ঝোল, দুপুরে খাবারের পাতে যদি ইলিশ মাছ থাকে তাহলে খাওয়াটা যেন জমে ওঠে। অনেকেইরই পছন্দ পুষ্টিগুণে ভরপুর ইলিশ মাছের ডিম। মাছের মতোই সুস্বাদু এর ডিমও। গরম ভাতের সঙ্গে ইলিশের ডিমের ভুনা খেতে বেশ লাগবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক রেসিপি। উপকরণ: ইলিশ মাছের ডিম- ২ কাপ আলু- ৩টি (আধা ইঞ্চি কিউব করে কাটা) পেঁয়াজ কুচি- আধা কাপ আদা বাটা- আধা চা চামচ রসুন বাটা- ১ চা চামচ মরিচ গুঁড়া- ১ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়া- আধা চা চামচ জিরা বাটা- আধা চা চামচ ধনে গুঁড়া- আধা চা চামচ কাঁচামরিচ- ৩/৪টি বা স্বাদ মতো লবণ- পরিমাণ মতো তেল- ২ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি- ১ টেবিল চামচ। প্রণালি: মাছের ডিম ধুয়ে নিন। আলু খোসা ফেলে আধা ইঞ্চি কিউব করে কাটুন। তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি হালকা বাদামি করে ভেজে নিন। চুলার জ্বাল কমিয়ে সব মসলা ও পানি দিয়ে সামান্য কষিয়ে নিন। এবার ডিম দিয়ে আরও ৫ মিনিট কষিয়ে পরিমাণ মতো পানি দিন। আলুর কাটা টুকরো দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ ঢেকে রান্না করুন। ঝোল ফুটতে শুরু করলে কাঁচামরিচ চিরে উপরে ছিটিয়ে দিন। মাখা মাখা হলে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন। আরটিভি/এফআই
আলু দিয়ে বানিয়ে নিন বিহারি পদ
আলু এমনই এক সবজি যেটি মাংস, মাছসহ নানা ধরনের তরকারিতে ব্যবহার করা হয়। ভর্তা, ভাজি, চিপসসহ নানাভাবে খাওয়া যায়। বিরিয়ানিতেও অনেকের চোখ থাকে ওই আলুর দিকেই। সব সবজির র‍্যাংকিং করা হলে সেখানে আলুর অবস্থান শীর্ষে থাকবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। বাঙালির ঘরে ঘরেই আলু সেদ্ধ, বিরিয়ানির আলু, আলু ভাজা, সাদা আলুর চচ্চড়ি, আলু পোস্ত, আলুর দম আরও নানা পদ তৈরি হয়ে আসছে। আবার আলুর দম রান্নায়ও রয়েছে নানান ভিন্নতা, চলুন আজ ভিন্ন রকম আলুর দম রান্নার রেসিপি জেনে নেওয়া যাক। এই রান্নার প্রণালীটি কিন্তু সম্পূর্ণ বিহারি। উপকরণ: ছোট আলু- ৭০০ গ্রাম, সরিষার তেল- ১/২ কাপ, আস্ত জিরা- ১ চামচ, আস্ত ধনে- ১ চামচ, আস্ত মৌরি- ১ চামচ, আস্ত গোলমরিচ- ১ চামচ, শুকনো মরিচ- ২-৩টি, ধনেপাতা কুচি, তেঁতুলের ক্বাথ, গন্ধরাজ লেবু, হলুদ গুঁড়ো- ১ চামচ, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়ো- ১ চামচ, গোলমরিচ গুঁড়ো- ১ চামচ, লবণ, বিট লবণ ভাজা মসলার জন্য লাগবে: সম পরিমাণ আস্ত জিরা, আস্ত ধনে এবং শুকনো মরিচ। প্রণালী: আলু সামান্য লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিন। সেদ্ধ আলু ঠান্ডা করতে দিন। প্রথমে ভাজা মসলা তৈরি করে নিতে পারেন। শুকনো খোলায় জিরা, ধনে এবং শুকনো মরিচ ভেজে গুঁড়ো করে নিন। এবার বাকি যে মশলা আছে মানে আস্ত জিরে, আস্ত ধনে, মৌরি, আস্ত গোলমরিচ এবং শুকনো মরিচ ব্লেন্ডারে যতটা সম্ভব মিহি করে বেটে নিন। সেদ্ধ আলু, হলুদ ও কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়ো সরিষার তেলে লাল করে ভেজে তুলুন। ভাজা আলু আলাদা করে রেখে কড়াইতে আরেকটু তেল দিয়ে গরম করুন। তাতে বাটা মসলা দিয়ে ভাজতে থাকুন। মসলায় স্বাদমতো লবণ, হলুদ এবং কাশ্মীরি মরিচের গুঁড়ো দিয়ে কষাতে থাকুন। মসলা যাতে না পোড়ে সেজন্য সামান্য পানি দিয়ে দিতে পারেন। মসলা কষানো হয়ে গেলে তাতে আধা টেবিল চামচ ভাজা মসলা দিয়ে কষান। মসলা থেকে তেল বের হলে তাতে ভাজা আলু দিয়ে ভালো করে মেশান। তাতে সামান্য পানি দিয়ে ফোটাবেন। ধীরে ধীরে মসলা ঘন হয়ে যাবে। তখন এতে  ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে ফের মেশান। কম আঁচে মসলা ও আলু সেদ্ধ হতে দিন। আলুর দম তৈরি হলো। তবে আলুর দম শুধু বানালেই চলবে না, তার গার্নিশিংটাও খুব জরুরি। প্লেটে বা শালপাতার বাটিতে আলুর দম রেখে প্রথমে তেঁথুলের ক্বাথের পানি ছড়িয়ে দিন। তার ওপর ছড়িয়ে দিন বিট লবণ। এর ওপর দেবেন সামান্য ভাজা মসলার গুঁড়ো এবং ধনেপাতা কুচি। সবশেষে ওপরে ছড়িয়ে দিন গন্ধরাজ লেবুর রস। আরটিভি/এফআই