• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১
logo
জেনে নিন কীভাবে তৈরি করবেন গোলাপি ডিমের আচার
যেভাবে তৈরি করবেন হাঁসের নাগা রোস্ট
হাঁসের মাংস খেতে বেশ সুস্বাদু। শীতের দিনে হাঁসের মাংস খেতে পছন্দ করেন অনেকে। তাই শীতকাল এলে বাড়ির পাশাপাশি রাস্তার পাশের খাবার দোকানগুলোতে হাঁসের মাংস রান্না ও খাওয়ার ধুম পড়ে যায়।  চলুন জেনে নেওয়া যাক হাঁসের নাগা রোস্ট তৈরির রেসিপি—  উপকরণ  বড় হাঁস ১টি, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, টক দই ২ টেবিল চামচ, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, পেঁপেবাটা দেড় চা-চামচ, জিরাগুঁড়া ২ টেবিল চামচ, ধনেগুঁড়া ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, টমেটো সস ১ টেবিল চামচ, শর্ষের তেল ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি ৩ টেবিল চামচ, বড় এলাচি ১টি, গরমমসলা কয়েকটি, কাবাবচিনি ৬-৫টি, পানি ১ কাপ, বেরেস্তাবাটা ১ চা-চামচ, বাদামবাটা ১ চা-চামচ, গুঁড়া দুধ ২ টেবিল চামচ, জাফরান আধা চা-চামচ, জায়ফলগুঁড়া আধা চা-চামচ, জয়ত্রীগুঁড়া আধা চা-চামচ, নাগা মরিচ আস্ত ১টি, ঘি ১ টেবিল চামচ, কেওড়াজল ১ টেবিল চামচ, গোটা কাঁচা মরিচ ৪-৫টি, বেরেস্তা ২ টেবিল চামচ। প্রণালি  প্রথমে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে হাঁস। এরপর সামান্য হলুদ মেখে আগুনে হালকা ঝলসে নিন। টক দই, আদাবাটা, রসুনবাটা, লাল মরিচগুঁড়া, হলুদগুঁড়া, পেঁপেবাটা, জিরাগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, লবণ ও টমেটো সস হাঁসে মেখে নিন। এভাবে ম্যারিনেট করে ৫-৬ ঘণ্টা রেখে দিন। এবার শর্ষের তেলে পেঁয়াজকুচি, বড় এলাচি, গরমমসলা কয়েকটি ও কাবাবচিনি ভেজে নিন। ম্যারিনেট করা হাঁস দিয়ে খুব ভালোভাবে কষিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর ১ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিন। ১০ মিনিট পর বেরেস্তাবাটা, বাদামবাটা, দুধ, জয়ফল–জয়ত্রীগুঁড়া ও নাগা মরিচকুচি দিয়ে দিন। হাঁস সেদ্ধ হয়ে তেল ওপরে উঠে এলে ঘি, কেওড়াজল, গোটা কাঁচা মরিচ ও বেরেস্তা ছড়িয়ে কয়েক মিনিট দমে রেখে চুলা বন্ধ করে দিন। এরপর চুলা থেকে হাঁস নামিয়ে নিজের পছন্দ অনুযায়ী উপকরণ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।      আরটিভি/এইচএসকে  
যেভাবে তৈরি করবেন আপেল চা
শীতের বিকেলে বাড়িতেই বানিয়ে নিন পালংশাকের লুচি
শীতকালীন কিছু মজাদার পিঠার রেসিপি
এয়ার ফ্রায়ারে বানিয়ে নিন তিন রকমের আমিষ-নিরামিষ কাবাব
সয়াচাঙ্ক দিয়ে ব্রকলির রেসিপি
চিকেন হলো প্রোটিনের সর্বোত্তম উৎস। কিন্তু যাদের মাছ-মাংস খাওয়া নিষেধ রয়েছে তারা কী করবেন? শুধু শাক-সবজি খেতে আর কতদিনই বা ভালো লাগে। তাদের জন্য রয়েছে এমন খাবার, যা চিকেনের মতোই প্রোটিনের জোগান দেয় শরীরে। এছাড়া পদের বৈচিত্রের দিক থেকেও আমিষ রান্নার সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দেয় নিরামিষ খাবার। কিছু-কিছু নিরামিষ পদের স্বাদতো মুখে লেগে থাকে আজীবন। সয়াবিন এমন একটি খাদ্যবস্তু যার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অসুস্থ রোগীদের জন্য সয়াবিন খুবই ভালো। মাছ, মাংসর থেকেও বেশি প্রোটিন আছে সয়াবিনে। যারা নিরামিষ খেতে পছন্দ করেন তাদের ৭ থেকে ৮টি সয়াচাঙ্ক খেতে বলা হয়। কুমড়া, পটল, ফুলকপি, ডিম, ব্রকলি এসবের সঙ্গে দারুণ সুস্বাদু লাগে এই সয়াচাঙ্ক। শীতকাল মানেই সবজির ভরা মরসুম। আর এই সময় অন্যান্য সবজির মতোই একটি স্বাস্থ্যকর সবজি হলো ব্রকলি, রয়েছে বহু পুষ্টিগুণও। ব্রকলি যেন গাঢ় সবুজ রঙের ফুলকপি। তুলনামূলক কম হলেও বিভিন্ন বাজারে ব্রকলি পাওয়া যায়। ব্রকলির স্বাদে চাইলেই আনা যায় বৈচিত্র্য। আর স্বাদে বৈচিত্র্য আনতে চাইলে চটপট বাড়িতে বানিয়ে ফেলতে পারেন ব্রকলি দিয়ে সয়াবিন কারি। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে তৈরি করবেন- উপকরণ (৫ জনের জন্য) সয়াচাঙ্ক: ২ কাপ, ব্রকলি: ২ কাপ (লম্বা ডুমো করে কাটা), আলু: ১ কাপ (লম্বা ডুমো করে কাটা), হলুদ গুড়ো: ১ চা চামচ, মরিচ গুড়ো: ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ: ৮-১০টা, লবণ: স্বাদমতো, চিনি: ১/২ চা চামচ, সরিষার তেল: পরিমাণ মতো, ঘি: ১ চা চামচ, ভাজা জিরার গুড়ো: ১/২ চা চামচ প্রস্তুত প্রণালী: প্রথমে একটি পাত্রে ৫-৬ কাপ পরিমাণ পানি ফুটিয়ে নিন। সয়াবিনগুলো ফুটন্ত গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিটের জন্য। ১০-১৫ মিনিট পরে পানি ঝরিয়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিন। সয়াচাঙ্ক গুলোর পানি ভালো করে হাত দিয়ে চেপে চেপে ঝরিয়ে নিন। এই কাজটি খুব ভালোভাবে করতে হবে যেন সয়াবিনে কোনও পানি না থাকে। আবার পানি দিয়ে চেপে পানি ঝড়িয়ে নিন। এভাবে অন্তত ২-৩ বার পানি দিয়ে আবার চেপে পানি শুকিয়ে নিন।  এবার একটি প্যানে পরিমাণ মতো তেল গরম করুন। তেলে ১/৪ চা চামচ হলুদ ও স্বাদমতো লবন দিয়ে তার মধ্যে সয়াবিনগুলো দিয়ে দিন। হালকা বাদামি লাল করে ভেজে তুলে ফেলুন। আবার পরিমাণ মতো গরম তেলে ১/৪ চা চামচ হলুদ ও স্বাদমতো লবণ দিয়ে ব্রকলি ও আলু হালকা বাদামি লাল করে ভেজে তুলে ফেলুন।  এবার প্রয়োজনে প্যানে আরও কিছুটা তেল দিয়ে ফাঁড়ি করা কাঁচামরিচ দিন। ৩০ সেকেন্ড ভেজে সামান্য পানি দিন। বাকি ১/২ চামচ হলুদ, মরিচের গুড়ো ও স্বাদমতো লবণ দিয়ে নাড়তে থাকুন। মসলা থেকে তেল ছেড়ে দিলে ভেজে রাখা সয়াবিন, আলু ও ব্রকলি দিন। ফুটন্ত গরম পানি দিন ২ কাপ পরিমাণ। মাঝারি থেকে কম আঁচে ঢেকে দিন ১০ মিনিটের জন্য। এই সবজিতে খুব সামান্য ঝোল থাকবে। নামানোর আগে দিয়ে দিতে পারেন  কয়েকটি আস্ত কাঁচামরিচ। সবশেষে ঘি, চিনি এবং ভাজা জিরার গুড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন।
হোমমেড কেক দিয়েই সেলিব্রেট করুন ক্রিসমাস
বড়দিন মানেই নরম, গরম, সুস্বাদু কেক। তবে এ বারের কেকটি বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন। রান্নাঘরের সামান্য কয়েকটা জিনিস দিয়েই তৈরি করা যাবে বানানা-আমন্ড কেক। রইল রেসিপি। উপকরণ- ময়দা- ১ ১/৪ কাপ লবণ ১ চিমটি বেকিং সোডা- ১ চা চামচ বেকিং পাউডার- ১ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো- ১/৪ চা চামচ আমন্ড মিল্ক- ২/৩ কাপ মাখন- ২/৩ চিনি- ১ কাপ ডিম- ২টি ভ্যানিলা এসেন্স- ১ চা চামচ টক ক্রিম- ১/২ কাপ পাকা কলা- ২টি চিনির গুঁড়ো- ডাস্টিং জন্য ১ কাপ টক ক্রিমের জন্য লাগবে- লেবুর রস- ২-৩ চা চামচ হেভি ক্রিম- ১ কাপ প্রণালী: প্রথমে টক ক্রিম বানিয়ে রাখুন। একটি পাত্রে ২-৩ চা চামচ লেবুর রসের সঙ্গে ১ কাপ হেভি ক্রিম মেশান। ঘন না হওয়া পর্যন্ত ফেটাতে থাকুন। এবার পাত্রটি একটি সেলোফেন পেপারে মুড়িয়ে ঘরের তাপমাত্রায় এক ঘণ্টা বা ঘন না হওয়া পর্যন্ত রেখে দিন। পাকা কলা ব্লেন্ডারে মিহি করে বেটে নিন। কলাটি যত বেশি পাকা হবে কেক তৈরির করতে তত সুবিধে হবে। একটি পাত্রে ময়দা, লবণ, বেকিং সোডা, বেকিং পাউডার, দারুচিনি গুঁড়ো এবং আমন্ড মিল্ক একসঙ্গে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। আরেকটি বড় পাত্রে মাখন এবং চিনি নিয়ে ফেটাতে থাকুন। হ্যান্ড ব্লেন্ডার দিয়ে মেশাতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। চিনি-মাখনের মিশ্রণ মোলায়েম তুলতুলে হয়ে গেলে তাতে দুটি ডিম দিয়ে ফের ভালো করে ফেটান। শেষে এতে ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে ফের মেশান। এ বার এতে টক ক্রিম এবং মিহি করে বাটা কলা দিয়ে হালকা হাতে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণে আগের ময়দাসহ শুকনো উপকরণের মিশ্রণটি দিয়ে ফের ফেটিয়ে নিন। ব্যাটার প্রস্তুত হতে হতেই ওভেন এবং কেকের পাত্র তৈরি করে নিন। ১৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট বা ৩৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে ওভেন প্রি-হিট করুন। যে পাত্রে কেক তৈরি করবেন সেটিতে বাটার পেপার বসিয়ে দিন। এবং গায়ে মাখন মাখিয়ে নিন। পাত্রে কেকের মিশ্রণ সাবধানে ঢেলে দিন। এবং প্রি-হিট করা ওভেনে প্রায় ৪৫ মিনিট রেখে বেক করুন। কেকের সমস্ত উপকরণ বেক হলো কিনা তা টুথপিক ঢুকিয়ে পরীক্ষা করে নেবেন। গরম কেক একটি স্টিলের র‍্যাকের ওপর রেখে মিনিট পনেরোর জন্য ঠান্ডা করুন। তারপর কেক আনমোল্ট করে পুরোপুরি ঠান্ডা করুন। কেকের গা থেকে বাটার পেপার ছাড়িয়ে ওপরে চিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে আইসিং করে নিন। আরটিভি/এফআই
শীতের বিকেলে বানিয়ে ফেলুন গাজরের হালুয়া
শীতকাল মানেই বাজারে লাল টুকটুকে গাজরের ছড়াছড়ি। তাই শীতের শুরুতে বানিয়ে ফেলুন গাজরের হালুয়া। শীতকালে গাজরের হালুয়া খেতে ভালবাসেন না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া যায় না বললেই চলে। স্বাদ আর স্বাস্থ্যের এমন মিলনের দেখা মেলে খুব অল্প সংখ্যক রান্নাতেই। যারা জানেন, তাদের রসনা তৃপ্তিতে তো এমনিতে কোনও বাধা নেই। যারা আগে রাঁধেননি, তাদের জন্য রইল চিরন্তন এই পদটি রান্নার প্রণালী। উপকরণ— গাজর ৫০০ গ্রাম দুধ আধ লিটার ঘি ৬০ গ্রাম দারচিনি গুঁড়ো পরিমাণ মতো চিনি ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম মাওয়া ১৫০ গ্রাম কাজুবাদাম ও কিশমিশ পরিমাণ মতো প্রণালী  গাজরগুলোকে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে কুচিয়ে ফেলুন।  একটি পাত্রে দুধ গরম করতে দিন। দুধ কিছুটা গরম হয়ে এলে কুচিয়ে রাখা গাজর যোগ করুন। খেয়াল রাখুন দুধ যেন অতিরিক্ত ঘন না হয়ে যায়।  অন্য একটি পাত্রে ঘি ও দারচিনি গুঁড়ো দিয়ে দিন। মিনিট পাঁচেক পর মাওয়া ভালো করে কুরিয়ে ঢেলে দিন পাত্রে।  একটু রান্না হয়ে এলে মিশ্রণটি ঢেলে দিন দুধ ও গাজরের মিশ্রণের মধ্যে।  ঘন হয়ে আসা পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিয়ে কাজু ও কিশমিশ ছড়িয়ে পরিবেশন করুন জিভে জল আনা গাজরের হালুয়া। আরটিভি/এফআই
বাড়িতেই বানিয়ে নিন স্পিনাচ চিকেন পাই
বাজারে পালংশাকের ছড়াছড়ি। কিন্তু ঘরের সদস্যরা কিছুতেই শাক খতে চায় না, তাহলে উপায়। শাক যদি তৈরি করা যায় ভিন্ন স্বাদে, তাহলে বাড়ির সবাই খাবে খুশি মনে। এদিকে সামনেই আবার বড়দিন এবং ইংরেজি নতুন বছর। এই বেলা খাবার পাতে সাহেবিয়ানা আনতে বানিয়ে নিতে পারেন স্পিনাচ চিকেন পাই। রান্নার উপকরণ জেনে নিতে পারেন। স্পিনাচ চিকেন পাই— উপকরণ: ময়দা- ২ কাপ, বিস্কুটের গুঁড়ো- ২ টেবিল চামচ, মুগ ডাল- ২ টেবিল চামচ, চিকেন ব্রেস্ট- ২৫০ গ্রাম (বোনলেস), লবণ- স্বাদমতো, পেঁয়াজ- কুচোনো ১ কাপ, পালং শাক- দেড় কাপ, গোলমরিচ গুঁড়ো- ১ চা চামচ, সিদ্ধ ডিম- ২টি, কাঁচা ডিম- ১টি, অলিভ অয়েল বা সাদা তেল প্রণালী: - ব্লেন্ডারে ময়দা, বিস্কুটের গুঁড়ো এবং মুগ ডাল নিয়ে ভালো করে গুঁড়ো করে নিন। - এবার তাতে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি দিয়ে মেখে ডো বানিয়ে নিন। - ডো থেকে লেচি কেটে নিন, এবং সেলোফেন পেপার দিয়ে মুড়ে আধ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। - চিকেন ব্রেস্টের টুকরো খুব ছোটো টুকরো করে কেটে নিন। - পেঁয়াজ এবং পালংশাকও কুচিয়ে নিন। - এবার পাত্রে তেল গরম করে তাতে চিকেনের টুকরো এবং লবণ দিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকুন। - চিকেন সেদ্ধ হয়ে গেলে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ফের ভাজতে থাকুন। - শেষে এতে দিন পালং শাক কুচি। ফের ভাজতে থাকুন। পালংশাক ভালো করে মিশে গেলে তাতে গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। - পালং শাক দিলে তা থেকে পানি বের হয়। সেটিকে ঠিক করতে সামান্য ময়দা এই মিশ্রণে ছড়িয়ে নাড়াচাড়া করে নিন। চাইলে কর্নফ্লাওয়ারও দিতে পারেন। সবশেষে এতে দিয়ে দিন সেদ্ধ ডিমের কুচি। - ফ্রিজ থেকে ময়দা মাখা বের করে নিয়ে মোটা করে ছোটো ছোটো রুটির আকারে বেলে ফেলুন। - একটি রুটির ওপর অনেকটা চিকেনের পুর দিয়ে ওপরে আরেকটি রুটি বসিয়ে দিন। রুটির চারদিক অল্প পানি নিয়ে বন্ধ করে দিন। দুটি রুটির মাঝে চিকেনের পুর থাকবে। জিনিসটি দেখতে পাইয়ের আকারে হবে। - একটি বাটিতে কাঁচা ডিম ফেটিয়ে রাখুন। - এবার একটি বেকিং ট্রে তেল মাখিয়ে নিন। তাতে পাইগুলো রেখে পাইয়ের রুটির ওপরের অংশ ধারালো ছুরি দিয়ে অল্প করে চিরে দিন। যাতে বেক হওয়ার সময় ভিতরে তাপ যায়। - সব শেষে পাইয়ের ওপর ফেটানো ডিম ব্রাশ করে দিন। - এবার ওভেনে ২৫-৩০ মিনিটে পাইগুলো বেক করে নিন। পাইয়ের রং হালকা বাদামি হয়ে গেলে বুঝবেন সেটি তৈরি হয়ে গেছে। - ব্রেক ফাস্টের গরম গরম পাই খেতে দারুণ লাগে। সঙ্গে একটু মেয়োনিজ থাকলে তো কথাই নেই। আবার স্কুল বা অফিসের টিফিনের জন্য এটি ভালো অপশন। আরটিভি/এফআই/এআর
পুরান ঢাকার তেহারি রেসিপি
মজার একটি খাবারের নাম তেহারি। মাংস আর চালের মিশ্রণের এই খাবারটি পছন্দ করেন না এমন মানুষ কমই আছে। বিভিন্ন কায়দায় তেহারি রান্না করা হলেও পুরান ঢাকার তেহারির আলাদা কদর রয়েছে। নানা ধরনের মশলার ব্যবহার আর রান্নার বিভিন্ন কৌশল পুরান ঢাকার খাবারে তৈরি করে ভিন্ন স্বাদ। শাহী কিংবা নওয়াবী স্বাদও মেলে সেখানে। যেসব খাবারের জন্য পুরান ঢাকা বিখ্যাত তার মধ্যে একটি হলো তেহারি। মাংস ছোট ছোট টুকরা করে কেটে পোলাওয়ের চাল জড়িয়ে রান্না করা হয়। রেসিপি জেনে নিলে ঘরেই তৈরি করতে পারবেন এই সুস্বাদু খাবার। চলুন জেনে নেওয়া যাক- উপকরণ— মাংস রান্নার জন্য: মাংস ছোট ছোট টুকরো করা: ২ কেজি (গরু বা খাসি) , গোলমরিচ গুঁড়া: ২ চা-চামচ (স্বাদমতো), এলাচ: ৮-১০টি, দারুচিনি: ৪ টুকরো, জায়ফল গুঁড়া: ১ চা-চামচ, জয়ত্রি গুঁড়া: ১ চা-চামচ, সরিষার তেল: ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি: দেড় কাপ, আদা বাটা: ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা: ৩ টেবিল চামচ, টক দই: ১ কাপ, কাঁচা মরিচ: ১০-১৫টি, আস্ত জিরা: ১ চা-চামচ (ঐচ্ছিক), পোলাও রান্নার জন্য, পোলাওয়ের চাল: ১ কেজি, দুধ: ৪ কাপ, পানি: সাড়ে চার কাপ, তেজপাতা: ৪-৫টি, দারুচিনি: ২ টুকরা, গোলমরিচ: ৫-৬টি, লবণ: স্বাদমতো প্রণালি: টক দই, আদা-রসুন বাটা, গোলমরিচের গুঁড়া, লবণ, জায়ফল-জয়ত্রির গুঁড়া দিয়ে মাংস মাখিয়ে এক ঘণ্টা রেখে দিন। হাঁড়িতে তেল গরম করে আস্ত জিরা, এলাচ, দারুচিনি ফোঁড়ন দিয়ে বাদামি করে পেঁয়াজ ভেজে তাতে মাংস মিশিয়ে দিন। কিছুক্ষণ মাংস কষিয়ে আঁচ কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। প্রয়োজন হলে অল্প পানি দিন। মাংস সেদ্ধ হয়ে তেল ছেড়ে এলে নামিয়ে ঢেকে রাখুন। চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। হাঁড়িতে পানি, দুধ, দারুচিনি, তেজপাতা, গোলমরিচ ও লবণ নিয়ে চুলায় বসান। পানি ফুটে উঠলে চাল মিশিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করুন। চাল যখন প্রায় ফুটে আসবে, তখন রান্না করা মাংস চালের সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। হাঁড়িটি তাওয়ার ওপর বসিয়ে দিন। কাঁচা মরিচ মিশিয়ে দমে রাখুন ৫-১০ মিনিট। ব্যস হয়ে গেল পুরান ঢাকার তেহারি। আরটিভি/এফআই
শীতের সবজিতে মাছ-সরষে দিয়ে নিত্যনতুন রেসিপি
শীতের সবজি আর শীতের মাছ—দুটোরই স্বাদ অন্য রকম। এই দুই মিলিয়ে রান্না করতে পারেন এখন। আর শীতের সবজিদের ভীড়ে সিমের কিন্তু পুষ্টিগুণ অনেক। সিম দিয়ে সাধারণত ভাজা বা সরিষা দিয়ে চচ্চড়ি খাওয়া হয়। তবে এই শীতে আপনি সিমের প্রেমে পড়ে যাবেন, যদি এই পদগুলো খান। রইল একঘেয়ে সিমের নিত্যনতুন রেসিপি। সিম সরষে বাটা উপকরণ: ২০০ গ্রাম সিম, ১ টেবিল চামচ সর্ষের দানা, ১ টেবিল চামচ পোস্তদানা, ৩ টি কাঁচামরিচ কুঁচি, ১/২ আঁটি ধনেপাতা কুচি, ১/২ চা চামচ হলুদগুঁড়ো, ১ চা চামচ কালো জিরে, স্বাদমতো লবণ-চিনি, প্রয়োজন মতো সরিষার তেল প্রণালী: প্রথমে ব্লেন্ডারে পোস্ত-সরিষা দিয়ে পেস্ট করুন। এবার সিম, ধনেপাতা, কাঁচামরিচ দিয়ে সামান্য পানি দিয়ে আবার বেটে নিন। এবার কড়াইতে তেল গরম করে কালো জিরে ফোড়ন দিন। তাতে কাঁচামরিচ কুঁচি দিতে হবে। সমস্ত মিশ্রণ দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার লবণ-হলুদ, চিনি দিয়ে কষাতে থাকুন। ৫ মিনিট কম আঁচে রেখে সমস্ত পানি শুকিয়ে বাটা মতো হয়ে এলে চুলা বন্ধ করে ওপর থেকে সরিষার তেল ছড়িয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। সিম রুই উপকরণ: ৬ পিস রুই মাছ, ৬ টা সিম হাফ টুকরো করে কাটা, ১ টেবিল চামচ জিরে গুঁড়ো, ১ চা চামচ ধনে গুঁড়ো, ১ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো, ৪টি কাঁচামরিচ বাটা, আধ চা চামচ মরিচ গুঁড়া, ১ চা চামচ কাশ্মীরি মরিচগুঁড়া, স্বাদমতো লবণ, পরিমাণ মতো সরিষার তেল, ১টা টমেটো পিউরি, সামান্য আস্ত জিরে, আধ কাপ ধনেপাতা কুচি প্রণালী: প্রথমে মাছগুলো ভালো করে ধুয়ে লবণ-হলুদ মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। এই তেলেই সিমগুলো ভেজে তুলে রাখতে হবে। এবার তেলে আস্ত জিরে ফোড়ন দিয়ে টমেটো পিউড়ি দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে বাকি সব মশলা দিয়ে ভালো করে কষান। কষানো মশলায় সিম দিয়ে আবার একটু কষিয়ে নিয়ে পানি দিয়ে পাঁচ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন। এবার ঢাকনা খুলে ভেজে রাখা রুই মাছের পিসগুলো দিয়ে ঢেকে দিন। শেষে নামানোর আগে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে ঢেকে দিন। ২ মিনিট রেখে চুলা বন্ধ করে দিন। তৈরি সিম রুই। আরটিভি/এফআই
ফুলকপির ৩ স্ন্যাকস, রইল রেসিপি
শীত মানেই বাজারে ফুলকপি আর বাঁধাকপি। ভাত, রুটি, লুচি দিয়ে আলু-মটরশুঁটির সাদা ফুলকপির তরকারির কোনো তুলনা নেই। এ ছাড়া বিকেলের নাস্তাও জমে যায় ফুলকপির বিভিন্ন মুখরোচক স্ন্যাকসে। তবে অনেকেই আবার ফুলকপি দেখলে নাক সিঁটকান। তবে এই তিনটি স্ন্যাকস তৈরি করলে লোভ সামলানো দায়। ঝটপট রেসিপি দেখে নিন। ফুলকপির ঝাল পিঠে উপকরণ: হাফ সেদ্ধ ফুলকপি, ৫০ গ্রাম সুজি, ২০০ গ্রাম ময়দা, ধনেপাতা কুচি ১ মুঠো, স্বাদমতো লবণ, পরিমান মতো পানি, ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, ১/৪ চা চামচ লঙ্কার গুঁড়ো, ১/৪ চা চামচ জিরে গুঁড়ো, ১/৪ চা চামচ ধনে গুঁড়ো, ১/৪ চা চামচ গরম মশলার গুঁড়ো, ৩ টেবিল চামচ তেল প্রণালী: প্রথমে সেদ্ধ ফুলকপি নিয়ে ভালো করে ম্যাশ করে নিন। তার মধ্যে সুজি ও ময়দা মিশিয়ে দিন। ওপরে উল্লেখ করা সমস্ত উপকরণ ও মশলা মিশিয়ে দিন। তারপর ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার একটি প্যানে তেল গরম করে তার মধ্যে হাতা করে ব্যাটার দিয়ে দিতে হবে ও উল্টে-পাল্টে ভালো করে ভেজে নিন। এবার গরম গরম ঝাল ফুলকপির পিঠা পরিবেশন করুন।  ফুলকপি পেঁয়াজের পকোড়া উপকরণ: আধা ফুলকপির কুচি, ৩টা পেঁয়াজ কুচি, ২টা কাঁচামরিচ কুচি, আধ চা চামচ লবণ, ১ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো, ২ চা চামচ বেসন, ১ কাপ সাদা তেল, প্রয়োজন মতো পানি প্রণালী: একটা পাত্রে ফুলকপির কুচি, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি নিয়ে তাতে লবণ ও গোলমরিচ গুড়ো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার তাতে বেসন, নুডলস মশলা আর অল্প পানি নিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার একটা ফ্রাইং প‍্যানে সাদা তেল গরম করে তাতে মিশ্রণটি ছোট ছোট করে পাকোড়ার মত করে দিয়ে বাদামি করে ভেজে তুলে নিতে হবে। খুব অল্প সময়ে তৈরি এই ফুলকপি পেঁয়াজের পাকোড়া গরম গরম চা কফির সাথে দারুন লাগে। ফুলকপির কাটলেট উপকরণ: ফুলকপি- ১ টি মাঝারি আকারের, আলু- ২টি (মাঝারি আকারের, সেদ্ধ করা), ধনে পাতা- ২ টেবিল চামচ (কাটা), কাঁচামরিচ- ১/২টি (কুচি কুচি করে কাটা), আদা বাটা- ১ চা চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, গোলমরিচ গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ, হলুদের গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ, চাট মশলা- ১/২ চা চামচ, ময়দা- ২ টেবিল চামচ (বা প্রয়োজন মত), পাউরুটির গুঁড়ো- প্রয়োজন মতো (কাটলেটের বাইরের অংশের জন্য), তেল- ভাজার জন্য প্রণালি: ফুলকপি ধুয়ে কেটে ভালো করে সেদ্ধ করে নিন। একটি পাত্রে ফুলকপি সেদ্ধ, সেদ্ধ আলু, ধনেপাতা, কাঁচা মরিচ, আদা বাটা, লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো, হলুদের গুঁড়ো এবং চাট মশলা মিশিয়ে ভালো করে মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রণটি হাত দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে, ছোট ছোট বল তৈরি করুন এবং এগুলোকে চাপিয়ে কাটলেটের আকার দিন। একটি প্লেটে ময়দা ছড়িয়ে দিন এবং কাটলেটগুলো ময়দায় ভালোভাবে ঘুরিয়ে নিন। এরপর পাউরুটির গুঁড়োতে ঢেলে গড়িয়ে নিন। একটি প্যানে তেল গরম করে, কাটলেটগুলো সোনালি রং আসা পর্যন্ত ভাজুন। ভাজা কাটলেটটি কিচেন টাওয়েলে রাখুন যাতে অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। এবার গরম গরম ফুলকপির কাটলেট পরিবেশন করুন। আরটিভি/এফআই