• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
ফুলকপির পরোটার সহজ রেসিপি
ভাইরাল জ্বরে এক বাটি স্যুপেই চাঙা থাকার টনিক
ঋতু পরিবর্তনের সময়ে অনেকেই ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। সঙ্গে কারও কারও সর্দি-কাশি থাকছে। ঋতু পরিবর্তনের সময় জ্বর, সর্দি, কাশি হলে সেটাকে ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু বলা হয়। কোনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যদি জ্বর হয় আর সাধারণ ফ্লু হলে লক্ষণ কিন্তু মোটামুটি এক থাকে। আর এই ভাইরাল জ্বরে গলায় খুসখুসে লাগা, নাক বন্ধ হয়ে থাকার ব্যাপারটা অনেক অস্বস্তিতে ভোগায়। এই সময়ে দিনে হোক বা রাতে, আপনাকে আরাম দিতে পারে একমাত্র এক বাটি ইষদুষ্ণ, হালকা স্যুপ। ডিনারে হোক বা ব্রেকফাস্টে, গরম গরম স্যুপ কিন্তু দারুণ সুস্বাদু। পেটও যেমন ভরবে, তেমনি মনও। সঙ্গে যদি থাকে পুষ্টিগুণ, তাহলে সোনায় সোহাগা। তাহলে ঝটপট জেনে নিন এই সুধার রেসিপি। উপকরণ- মুরগির হাড়- আধ কেজি, মুরগির মাংস- আধ কেজি, চিনি- ২ টেবিল চামচ, লাল চিলি সস- ৫ টেবিল চামচ, চিংড়ি- আধ কাপ, কর্নফ্লাওয়ার- ৬ টেবিল চামচ, হাঁসের ডিম- ৬টি, কাঁচামরিচ ফালি- ৪টি, লেমন গ্রাস- ৮ টুকরো, চিকেন স্যুপের স্টক- ১২ কাপ, লবণ স্বাদমতো, লেবুর রস- ৪ টেবিল চামচ। প্রণালী- মুরগির হাড় সেদ্ধ করে চিকেন স্যুপের স্টক ছেঁকে নিন। মুরগির মাংস ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। চিংড়ি ছোট ছোট টুকরো করে নিন। ডিম অল্প ফেটিয়ে নিন। কর্নফ্লাওয়ার এক কাপ পানিতে গুলে নিন। চিকেন স্টকে অর্ধেক গোলানো কর্নফ্লাওয়ার ও ডিম দিয়ে মিশিয়ে কাঁচামরিচ, মাংস, চিংড়ি, চিনি, চিলি সস, লেমন গ্রাস, লবণ দিয়ে নেড়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। আঁচে বসিয়ে হালকাভাবে ঘন ঘন নাড়তে থাকুন। অনবরত না নাড়লে ফেটে যাবে। মাঝারি আঁচে ১৫ থেকে ১৭ মিনিট নেড়ে নেড়ে ফুটিয়ে আঁচ কমিয়ে দিন। ৩ থেকে ৪ মিনিট পর লেবুর রস দিয়ে হালকাভাবে নেড়ে, প্রয়োজন হলে আরও চিলি সস ও লবণ মেশান। গরম-গরম পরিবেশন করুন।গলা খুশখুশ করলে কিংবা সর্দি-কাশি হলে এই পিপার সাওয়ার স্যুপ কিন্তু দারুণ অস্ত্র। এবার জানুন ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ানোর মন্ত্র। যাতে পেটও ভরে আবার পুষ্টিগুণও দারুণ। আরটিভি/এফআই/এআর
যেভাবে বানাবেন কমলার হালুয়া
নতুন স্বাদের আইসক্রিম হবে ডাবের পানিতে
ঘরোয়াভাবে সহজেই রসমালাই তৈরির রেসিপি
উৎসবে আনন্দ হোক সুগার ফ্রি মিষ্টিতে
মুচমুচে সুস্বাদু স্ন্যাকসের রকমারি রেসিপি
আবহাওয়া যেরকমই হোক না কেন বাঙালির বিকেলে চা এবং তার সাথে টা না হলে যেনো চলেই না। চায়ের সাথে পাকোড়া, সমুসা, আলুর শিঙাড়া কিংবা রকমারি মুখরোচক স্ন্যাকসের নাম শুনলেই  জিভে জল চলে আসে। দোকান থেকে কিনে খেতে না চাইলে ঘরেই তৈরি করতে পারেন এরকম মুখরোচক স্ন্যাকস।  চলুন জেনে নেওয়া যাক ভিন্নস্বাদের রকমারি মুখরোচক স্ন্যাকসের সব রেসিপি। চিকেন চিজ পাকোড়া উপকরণ: চিকেন (বোনলেস, ২০০ গ্রাম), গোলমরিচগুঁড়ো (আধ-চা চামচ), নুন (স্বাদ মতো), শুকনা মরিচ গুঁড়ো ( ১ চা-চামচ), কাচামরিচ (২ টি), আদা রসুন বাটা (২ চামচ), হলুদ গুঁড়ো (১/৪ চা-চামচ), পিৎজা চিজ (গ্রেটেড, ৫০ গ্রাম), সাদা তেল (ভাজার জন্য)। প্রণালী: একটা ব্লেন্ডারে চিকেন, লবণ, কাঁচামরিচ, শুকনা মরিচ গুঁড়ো, আদা-রসুন বাটা ও গোলমরিচ দিন। ভালো করে ব্লেন্ড করুন যাতে মিহি হয়। আধঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন। একটা বাটিতে বেসন, লবণ, পানি, বেকিং সোডা মেশান। ভালো করে ফেটিয়ে নিন যাতে দলা না থাকে। চিকেনের মিশ্রণ ফ্রিজ থেকে বের করে নিন। একটা বড়ো পাত্রে তেল ব্রাশ করে মিশ্রণটা ছড়িয়ে রাখুন। তার ওপর গ্রেটেড চিজ বিছিয়ে দিন। সেখান থেকে অল্প মণ্ড তুলে মুড়ে ছোট বল তৈরি করুন। প্যানে তেল গরম করুন। চিকেন বলগুলো বেসনের গোলায় ডুবিয়ে লালচে করে ভেজে তুলুন। চাটনির সাথে পরিবেশন করুন। ছানার কাটলেট উপকরণ: ছানা (২৫০ গ্রাম), ভেজানো ছোলার ডাল বাটা (ছোট ৪ চামচ), আদা বাটা (২ চামচ), জিরে বাটা (আন্দাজমতো) বা জিরে গুঁড়ো (২ চামচ), কাঁচামরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি, লবণ, চিনি, ভাজা গরম মশলার গুঁড়ো (জায়ফল, জয়ত্রি, সা-জিরে, সা-মরিচ, এলাচ, দারচিনি, জিরে ইত্যাদি ভেজে গুঁড়ো করা), সাদা তেল (ভাজার জন্য), অ্যারারুট, বিস্কুটের গুঁড়ো। সালাদের উপকরণ: টমেটো, শসা, গাজর। প্রণালী: ছানাকে ভালোভাবে ম্যাশ (চটকে নিন মিহি করে) করে নিয়ে তাতে ছোট চায়ের চামচের ৪ চামচ ছোলার ডাল বাটা মিশিয়ে নিন। ২ চামচ আদা বাটা , জিরে গুঁড়ো, কাঁচামরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি, (ধনেপাতা না থাকলে পার্সলে পাতা কুচি), স্বাদমতো লবণ, চিনি, কাজুবাদাম বাটা দিয়ে ছানাটাকে ভালো করে মেখে নিন। এবার সমস্ত ভাজা মশলার গুঁড়ো মিশিয়ে কাটলেটের আকারে গড়ে অ্যারারুটে ডুবিয়ে বিস্কুটের গুঁড়ো মাখিয়ে সাদা তেলে ভেজে নিন। এবার প্লেটে সালাদ দিয়ে সাজিয়ে কাটলেট পরিবেশন করুন।
মুরগির দুই পদেই জমে উঠুক ভুঁড়িভোজ
মুরগির মাংস হচ্ছে এমন একটি উপকরণ যা রোজকার পাত থেকে বিশেষ অনুষ্ঠানের পদে জায়গা করে নিতে পারে। আর পরিবারের ছোট-বড় সবারই প্রিয় মুরগির মাংস। এখন প্রায় সবার বাসায় ফ্রিজে মুরগির মাংস থাকে। মুরগির মাংস দিয়ে নানান পদ তৈরি করা যায়। খাবারের মাঝে মাঝে বৈচিত্র আনার জন্য মুরগির মাংসের একটি ভিন্ন স্বাদের রেসিপি জেনে নিতে পারেন। ঝট করে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারবেন মুরগির এই বিশেষ পদ। জেনে নিন রেসিপি— মুরগির স্টু তৈরির উপকরণ: মুরগি ৫০০ গ্রাম, গোটা ছোট পেঁয়াজ ১০টি, তেজপাতা ২টি, আদাবাটা ১ চা-চামচ, গোটা গোলমরিচ ৮-১০টি, মাখন ৩ টেবিল চামচ, পেঁপের টুকরা ৪টি, আলুর টুকরা ৪টি, গাজর ৪ টুকরা, গোলমরিচের গুঁড়ো আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, পানি পরিমাণমতো। প্রণালি: কড়াইতে মাখন দিন। তেজপাতা দিন। গোটা পেঁয়াজ দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। সবজি, আদাবাটা, লবণ, গোটা গোলমরিচ দিয়ে নেড়ে মুরগি দিন। ভালো করে মিশিয়ে পানি দিয়ে ঢাকা দিন। সবকিছু সেদ্ধ হলে গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে নামিয়ে নিন। লেবু মরিচ মুরগি তৈরির উপকরণ: মুরগির মাংস ৭৫০ গ্রাম, লেবুর রস ৪-৫ চা চামচ, গোলমরিচ ১ চা চামচ, পেঁয়াজ ৩টা কুঁচি করা, রসুন, কাঁচা মরিচ বাটা ৩ চা চামচ, কাজু ১৫টি, গন্ধরাজ লেবুর পাতা। প্রণালী: কেটে ধুয়ে রাখা মুরগির মাংসে লেবুর রস, গোলমরিচ মাখিয়ে ম্যারিনেট করে এক ঘণ্টা রেখে দিন। কড়াইয়ে সাদা তেল দিয়ে গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন আর কাঁচা মরিচ বাটা দিয়ে হালকা ভাজতে হবে। তবে খেয়াল রাখবেন যেন সাদা থাকে, বেশি ভাজা না হয়। এবার ভাজা তুলে নিন। ঠান্ডা হলে কয়েকটি কাজু মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে রেখে দিন। এবার ওই তেলের সঙ্গে আরও খনিকটা তেল মিশিয়ে মাংসের টুকরোগুলো প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে ভাজতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে মুরগির মাংস তুলে নিয়ে, ওই তেলে পেস্টটি দিয়ে দিন। এবার সেটিকে ভালো করে কষাতে হবে। এবার পরিমাণ মতো লবণ এবং গোলমরিচ মিশিয়ে নিন। মুরগির মাংস ঢেলে দিন। তাতে এক চা চামচ মতো লেবুর খোসা গ্রেট করে দিয়ে দিন। মশলা মজে এলে, এক চা চামচ লেবুর রস দিয়ে দিন। সঙ্গে আরেকটু গোলমরিচ আর চেরা মরিচ দিয়ে পরিবেশন করুন। গন্ধরাজ লেবু ও লেবুর পাতা দিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম লেবু মরিচ মুরগি। আরটিভি/এফআই
ঝাল ছাড়া ‘রেলওয়ে মাটন কারির’ রেসিপি
কষা মাংস-লুচি, গরম ভাত-শুনলে জিভে জল আসে না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া যাবে না। মোগল-ইংরেজদের সঙ্গে মিশে খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন ঘটলেও একই থেকে গিয়েছে বাঙালির মাংস-ভাতের অভ্যাস। আর মাংস দিয়ে তৈরি হয় মুখরোচক নানা খাবার। খাসির মাংস দিয়ে কোন পদ রাঁধবেন, এই নিয়ে অনেকের মনে দ্বিধা থাকে। একটু অন্য রকম স্বাদে খাসির মাংস রাঁধতে চাইলে ঝাল ছাড়া মাটন কারি চেষ্টা করে দেখতে পারেন। রান্নার প্রণালীটিও বেশ সহজ। তাহলে ঝটপট রান্নার পদ্ধতিটি শিখে নিন। উপকরণ: মাটন - ১ কেজি আদা রসুনের পেস্ট - ১ চা চামচ কালো গোলমরিচ গুঁড়ো করা - আধ চা চামচ বড় আলু ৪টি (খোসা ছাড়িয়ে কাটা)  হলুদ গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ কালো এলাচ - ২ টি সবুজ এলাচ - ৩ টি তেজপাতা - ১ টি পেঁয়াজ ( ঝিরিঝিরি কাটা ) - ৫ টি মাঝারি সাইজের ধনে গুঁড়ো - ২ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো - ১ চা চামচ টমেটো পিউরি - ১ কাপ পানি - ২-৩ কাপ লবণ - স্বাদমতো তেঁতুল বাটা - ১ চা চামচ স্পেশাল মশলা - ১ টেবিল চামচ প্রণালী: হাড়যুক্ত মাটন খুব ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে স্বাদ অনুযায়ী লবণ, আদা-রসুন বাটা, গোলমরিচের গুঁড়ো এবং এক চামচ সরিষার তেল মিশিয়ে খুব ভালো করে মটনে মাখিয়ে নিন। আধ ঘণ্টার মতো মাংসটা ম্যারিনেটে বসিয়ে দিন। আলুর খোসা ছাড়িয়ে লবণ হলুদ মাখিয়ে ভালো করে ভেজে তুলে রাখুন। এবার বানিয়ে ফেলুন রেলওয়ে মাটনকারির স্পেশাল মশলা। বড় এবং ছোট এলাচ, কালো গোলমরিচ, মৌরি, ধনে, দারচিনি, পাথরের ফুল (অপশনাল) এবং সামান্য লবণ শুকনো কড়াইয়ে ভেজে তুলে নিন। ভাজা মসলা ব্লেন্ডারে নিয়ে মিহি করে গুঁড়ো করে নিন। পুরো মসলাটা রান্নায় লাগবে না। তাই এটি তুলে রাখতে পারেন। পরের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। প্রেশার কুকারে সরিষার তেল গরম করে তাতে বড় এবং ছোট এলাচ, তেজপাতা ফোঁড়ন দিন। সুগন্ধ উঠলে তাতে ঝিরঝিরি করে কাটা পেঁয়াজ এবং স্বাদমতো লবণ দিয়ে ভাজতে থাকুন। লবণ দেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন যে, মাংস, আলু এবং স্পেশাল মশলাতেও আগে লবণ দেওয়া হয়েছে। তাই লবণের পরিমাণটা বুঝে দিন। পেঁয়াজ ভাজা ভাজা হয়ে আসলে তাতে ম্যারিনেট করা মাটন দিয়ে ভাজতে থাকুন। মাংস যতক্ষণ না পরিমাণে প্রায় অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ ভাজুন। এবার এতে ধনে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, টমেটো পিউরি দিয়ে মাঝারি থেকে বেশি আঁচে মিনিট দশেক কষান। মশলা থেকে তেল আলাদা হলে তাতে পানি এবং তেঁতুলের পেস্ট দিয়ে দ্রুত ফুটিয়ে নিন। তারপর প্রেশার কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে মাঝারি থেকে উচ্চ আঁচে ৬ থেকে ৭ সিটি দিয়ে নিন। প্রেশার কুকারের ভাপ বেরিয়ে গেলে ঢাকনা খুলে মাংসের ওপরে ধনেপাতা, ভাজা আলু এবং স্পেশাল মশলা ছড়িয়ে দিয়ে আরেকবার একটা সিটি দিন। তাহলেই তৈরি আপনার রেলওয়ে মাটন কারি। সাদা ভাত, পোলাও, রুটি, নান, পরোটা, কিংবা পাউরুটির সঙ্গে অসাধারণ খেতে লাগে এই রেলওয়ে মাটন কারি। আরটিভি/এফআই
রাজস্থানের শাহী রাজ কচুরি 
ইতিহাস বলছে, ১৬১৩ খ্রিস্টাব্দে রাজস্থানের বিকানিরে শাহী রাজ কচুরি তৈরির চল ছিলো। তবে শাহী রাজ কচুরির সঙ্গে আর পাঁচটা কচুরির অবশ্য খানিকটা হলেও পার্থক্য রয়েছে। শাহী রাজ কচুরি কিন্তু লুচির মতো ছিঁড়ে আলুর তরকারি দিয়ে খাওয়ার নিয়ম নেই। এটি আসলে একটি চাট। ফুচকা যেমন আঙুলের চাপে মাঝখানে গর্ত করে তাতে আলু মাখা ও টক জল সহকারে খাওয়া হয়, শাহী রাজ কচুরিও খাওয়া হয় খানিকটা সেই নিয়মে, শুধু এটি একটু বড় থাকে। তাতে থাকে পরিমাণমতো আলুর স্টাফিং, তেঁতুল ও ধনেপাতার চাটনি, দই, চাট মশলা। ওপরে ছড়ানো থাকে ঝুরি ভাজা, ধনে পাতা আর বেদানার দানা। এছাডা়ও থাকে কচুরির মতো পুর। আর এই জিভে জল আনা চাট একবার মুখে দিলেই হারিয়ে যাবেন এর স্বাদে। ঘরে বানিয়ে খেতে চাইলে জেনে নিন রেসিপি।  ডো-এর উপকরণ: সুজি- ১/২ বা ২/৩ কাপ, ময়দা- ১/২ কাপ, বেকিং সোডা- ১/৪ চা চামচ, স্বাদমতো লবণ স্টাফিংয়ের জন্য লাগবে: বেসন- ১/২ কাপ, মরিচের গুঁড়ো- ১ চা চামচ, ঘি- আধ চা চামচ, বেকিং সোডা- ১/৪ চা চামচ, স্বাদমতো লবণ, পানি- সামান্য চাট মশলার জন্য দরকার: আস্ত জিরা- ১ টেবিল চামচ, মৌরি- ১ টেবিল চামচ, আস্ত ধনে- ১/২ টেবিল চামচ, গোল মরিচ- ১ টেবিল চামচ, মরিচের গুঁড়ো- ১ চা চামচ, লবণ- ১/২ চা চামচ, আমচুর পাউডার- ১/৪ চা চামচ পুরের জন্য প্রয়োজন: ১টি বড় আলু, সিদ্ধ করে ডুমো করে কাটা ১টি ছোটো পেঁয়াজ (কুচোনো) ২টি কাঁচা মরিচ (কুচোনো) ঘুগনির মটন সেদ্ধ- আধ কাপ ধনেপাতা কুচি বিট লবণ ১/২ খানা পাতিলেবুর রস ১/২ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো এছাড়াও লাগবে: ভাজার জন্য সাদা তেল, ধনেপাতার চাটনি, তেঁতুলের চাটনি, ভালো করে ফেটিয়ে রাখা দই, ধনে পাতা কুচি, ঝুরিভাজা, বেদানার দানা প্রণালী: প্রথমে চাট মশলা তৈরি করে আলাদা করে রেখে দিন। শুকনো কড়াইয়ে জিরা, মৌরি, ধনে, গোলমরিচ হালকা ভাবে ভেজে তুলে নিন। একটি পাত্রে এটি তুলে নিয়ে তাতে লবণ, মরিচের গুঁড়ো এবং আমচুর পাউডার মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি ব্লেন্ডারে মিহি করে গুঁড়ো করে নিন। চাট মশলার পর বানিয়ে ফেলুন কচুরির ডো। এর জন্য একটি পাত্রে সুজি, ময়দা, বেকিং সোডা, লবণ এবং সামান্য পানি যোগ করে একটি ডো তৈরি করুন। এটি অন্তত আধ ঘণ্টা একটি পাতলা কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখে দিন। এরপর বানিয়ে ফেলুন কচুরির পুর। একটি পাত্রে সেদ্ধ আলু, কাঁচামরিচ কুচি, সেদ্ধ মটর, ধনে পাতা কুচি, বিট লবণ, লেবুর রস এবং গোলমরিচের গুঁড়ো নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে আলাদা করে রাখুন। বানিয়ে ফেলুন কচুরির পুর। একটি পাত্রে বেসন, মরিচের গুঁড়ো, লবণ, বেকিং সোডা, বেকিং পাউডার, ঘি এবং সামান্য পানি যোগ করে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। চাইলে তেঁতুলের চাটনি বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন। পাত্রে দুই কাপ পানি বসিয়ে তাতে আধ কাপ তেঁতুল এবং ২ অথবা ৩ কাপ গুড় দিয়ে কম করে ১০ মিনিট ফোটাতে থাকুন। এবার মিশ্রণটি ভালোভাবে ছেঁকে নিয়ে ফের সসপ্যানে ঢেলে দিয়ে গরম করতে থাকুন। অন্য একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ তেল গরম করে তাতে আধ চামচ করে আস্ত জিরা এবং মৌরি ফোঁড়ন দিন। সঙ্গে দিন ২-৩টি শুকনো মরিচ। মশলার সুগন্ধ উঠলে সেটি ছেঁকে নেওয়া ফুটন্ত চাটনিতে ঢেলে দিন। চাটনি ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এ বার কচুরি ভাজার পালা। ময়দার ডো-এর লেচি কেটে সামান্য বেলে তাতে বেসনের পুর ভরে বেলে নিন। বেলার সময় তেলের বদলে ময়দা ব্যবহার করবেন। কড়াইয়ে সাদা তেল গরম করে মাঝারি আঁচে কচুরি ভাজুন। ধীরে ধীরে দেখবেন কচুরি ফুলে উঠছে। তবে সেগুলো যতক্ষণ না সোনালি হয়ে মুচমুচে হয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ ভাজতে হবে। ভাজা কচুরি টিস্যু পেপারে তুলে রাখুন। এবার একেবারে পেশাদার চাট বিক্রেতার মতো কচুরিগুলো সাজিয়ে ফেলুন। কচুরির গায়ে ফুচকার থেকে একটু বড় গর্ত করে চামচে করে এক চামচ আলুর পুর ভরে নিন। তারপর যথাক্রমে ধনে পাতার চাটনি, তেঁতুলের চাটনি, দই এবং চাট মশলা যোগ করুন। স্বাদ অনুযায়ী চাটনি, দই, মশলা পুনরায় ভরে ফেলুন। স্টাফ করা কচুরির ওপর ছড়িয়ে দিন ঝুরি ভাজা, ধনেপাতা এবং বেদানার দানা। সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশন করুন। আরটিভি/এফআই
পূজায় ভিন্ন স্বাদের মুচমুচে ‘চিকেন পোটলি’
পূজার সময়টা যেমন ভালো ভালো খাবার খাওয়ার, তেমনই চুটিয়ে আড্ডা দেওয়ার। আর আড্ডার সময় যদি মজাদার কোনো খাবার সামনে থাকে, তাহলে আড্ডার আনন্দ হবে দ্বিগুণ। আর বন্ধুরা যদি আপনার বাড়িতেই আড্ডা জমাতে আসেন, তখন বাড়িতে একটু ভিন্ন স্বাদের আয়োজন করতে চাইলে অল্প কিছু উপাদান দিয়েই তৈরি করে ফেলুন মজাদার ‘চিকেন পোটলি’। তাহলে এই সহজ রেসিপিটা করে সবাইকে চমকে দিতে পারেন। ভিন্ন স্বাদে শারদীয়া আড্ডা বেশ ভালোই জমে উঠবে। যা যা প্রয়োজন—  পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, রসুন, আদা, সুগন্ধী গুঁড়ো, সয়া সস, অয়স্টার সস, স্প্রিং অনিয়ন, ফিলো শিট (এর বদলে বাড়িতে পাতলা ময়দার লেচি বেলে নিতে পারেন), স্বাদ মতো লবণ রান্নার পদ্ধতি: প্রথমে কড়াইতে দুই টেবিল চামচ তেল দিন। একটু গরম হলে তাতে কুচো করে কাটা পেঁয়াজ, রসুন, আদা, কাঁচামরিচ একসঙ্গে দিয়ে নাড়তে থাকুন। তাতে ছোট ছোট করে কাটা মাংসের টুকরোগুলো দিয়ে দিন। বাকি মশলা আর লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর সসগুলো দিন। সেটা কিছুক্ষণ নাড়তে থাকুন। একটি বাটিতে মিশ্রণটি নামিয়ে রেখে ঠান্ডা হতে দিন। এবার ফিলো শিটগুলো নিন। হাতের পাতায় রেখে আঙুল দিয়ে গোলাকার করে নিন। তার মাঝখানে পরিমাণ মতো মাংস আর মশলার পুর দিন। এবার স্প্রিং অনিয়নকে সূতোর মতো ব্যবহার করে থলের আকারে ভালভাবে বেঁধে নিন। আবার কড়াইয়ে তেল দিন। তা গরম হলে মাঝারি আঁচে ৫ থেকে ৬ মিনিট এই পোটলিগুলো ভেজে নিন। একটু প্লেটে পছন্দের সসের সঙ্গে ছুটির বিকেলে পরিবেশন করুন। আপনার হাতের জাদুতে মুগ্ধ হবেন প্রিয় জনেরা। আরটিভি/এফআই
এবারের পূজায় রাঁধতে পারেন ভাইরাল এই পদ
ম্যাগির আছে নানা প্রকার। ম্যাগিকে নিয়েই হয় রান্নার যত পরীক্ষা-নিরীক্ষা। নানা রকম ম্যাগির তালিকায় এবার যুক্ত করে নিন ম্যাগির নতুন আরেক পদ। আর তা হলো বিরিয়ানি ম্যাগি। পূজায় বাড়ির সবাইকে নতুন কিছু খাওয়াতে চাইলে রেঁধে নিতে পারেন এই পদটি। ২ মিনিটের ম্যাগির এই বিশেষ পদ তৈরি করতে পারেন ঝটপট। জেনে নিন রেসিপি— উপকরণ: ম্যাগি ৫ প্যাকেট, পেঁয়াজ ৩টি, পেঁয়াজের বেরেস্তা ১ কাপ, গাজর ১টি, মটরশুটি ১০টি, কাঁচা মরিচ ৩টি, ধনেপাতা ১/৪ কাপ, পুদিনা পাতা ১/৪ কাপ, জিরা ১ চা চামচ, তেজপাতা ১টি, আদা কুঁচি ১ টেবিল চামচ, রসুন কুঁচি ১ টেবিল চামচ, আতর ১/৪ কাপ, মরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়ো ১ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়ো ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ, বিরিয়ানি মশলা গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ, লবণ ১ চা চামচ, কস্তুরি মেথি ১/২ টেবিল চামচ রাঁধবেন যেভাবে:  প্রথমে গাজর, বিনস, পেঁয়াজ, মরিচ, ধনেপাতা কুঁচি করে কেটে নিন। এরপর কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে সব সবজি, আদা-রসুন বাটা দিয়ে দিন। সঙ্গে অল্প মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো ছড়িয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। এরপর ম্যাগি ভেঙে দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে সেদ্ধ হতে দিন। এবার ম্যাগি সেদ্ধ হয়ে গেলে ঢাকনা তুলে ওপর থেকে বিরিয়ানি মশলা আর ধনেপাতা কুঁচি আর পেঁয়াজের বেরেস্তা ছড়িয়ে নিলেই তৈরি আপনার বিরিয়ানি ম্যাগি।   আরটিভি/এফআই/এআর
পূজা স্পেশাল গঙ্গাজলি নাড়ু 
নাড়ু ছাড়া যেন পূজা জমেই না। আর নাড়ু মানেই আমরা বুঝি নারকেল দিয়ে তৈরি মিষ্টি। নারকেলের মধ্যে কখনও চিনি মিশিয়ে, কখনও আবার গুড় দিয়ে তৈরি করা হয় নাড়ু। পূজা কিংবা কোনও অনুষ্ঠান হলেই বাড়িতে অনেক রকমের নাড়ু বানানো হয়। যেমন তিলের নাড়ু, সুজির নাড়ু, গুঁড়ের নাড়ু আরও অনেক রকমের নাড়ু। ঘরেই সহজে বানিয়ে ফেলতে পারেন নাড়ু। বাড়ির অনুষ্ঠানে নাড়ু ছাড়া মিষ্টিমুখ যেন অসম্পূর্ণ। এবারের পূজায় ভিন্ন রকম নাড়ু বানাতে চাইলে গঙ্গাজলি নাড়ু তৈরি করতে পারেন। শতাব্দী প্রাচীন বিলুপ্ত প্রায় গঙ্গাজলি নাড়ুর স্বাদ অতুলনীয়।  গঙ্গাজলি নাড়ু তৈরির উপকরণ সামান্য। তবে যেটা লাগবে, তা হল ধৈর্য্য। ঝটপট রান্নার পদ এটি নয়। তাই যদি কখনও মনে করেন বাড়িতে গঙ্গাজলি নাড়ু বানাবেন, তাহলে হাতে অনেকটা সময় রাখুন। না হলে নাড়ু ভালো তৈরি হবে না।   জেনে নিন রেসিপি— উপকরণ: নারকেল বাটা বা কোরা - ১ কাপ চিনি - ১ কাপ পানি - ১/২ কাপ ছোটো এলাচ - ৪ টি কর্পূর - এক চিমটি প্রণালী:  নারকেলটা প্রথমে পানিতে বেশ কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। এতে কোরানোর সময় নারকেলের খোলের খয়েরি অংশ সাদা নারকেল কোরার মধ্যে মিশবে না। এরপর নারকেলের সাদা অংশটা ছাড়িয়ে বেটে নিন। ব্লেন্ডারে মিহি করে বেটে নিতে পারেন। আবার চাইলে কুরিয়েও নিতে পারেন। বাটার সময় এতে কিন্তু পানি দেবেন না। এবার কড়াই গরম করে, খুব কম আঁচে চিনি এবং পানি দিয়ে সিরা তৈরি করতে শুরু করুন। এতে মিশিয়ে দিন থেঁতো করা এলাচ। চাইলে আবার এলাচ গুঁড়োও ব্যবহার করতে পারেন। এবার চিনির রস গাঢ় হলে এলাচগুলো তুলে ফেলে দিন। তারপর তাতে নারকেল বাটা দিয়ে নেড়েচেড়ে নারকেলের সঙ্গে রস একেবারে মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন, চিনির রসে যেন খয়েরি রং না ধরে অর্থাৎ চিনি ক্যারামেলাইস্ না হয়ে পড়ে। এতে নারকেল লাল হয়ে যাবে এবং নাড়ুগুলো সঠিক চেহারা পাবে না। এবার এতে এক চিমটে কর্পূর মিশিয়ে একটা বড় ট্রে বা থালায় ঢেলে শুকোনোর জন্য অপেক্ষা করতে থাকুন। শুকিয়ে গেলে এটিকে আরও একবার ব্লেন্ডারে বেটে গুঁড়ো পাউডারের মতো তৈরি করতে হবে। অনেকে এই গুঁড়োই মিষ্টি হিসেবে খান। তবে এটি দিয়ে নাড়ু পাকিয়ে নিলে বা ছাঁচে ফেলে অর্ধচন্দ্রাকার দিলে দেখতে বেশি সুন্দর লাগে।