মানুষের জীবনে নানা ধরনের খারাপ অভ্যাস তৈরি হতে পারে, যেমন ধূমপান, অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার, আঙুল চোষা কিংবা দাঁত কামড়ানো। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এসব অভ্যাস দৈনন্দিন জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে মনোবিজ্ঞানভিত্তিক কিছু কৌশল মেনে চললে এসব বদভ্যাস ধীরে ধীরে ছাড়াও সম্ভব।
অভ্যাসের পেছনের কারণ খুঁজে বের করুন
- কোনো বদভ্যাস ত্যাগ করতে প্রথমেই বোঝার চেষ্টা করুন, আপনি কেন তা করতে চাইছেন।
- এই অভ্যাসটি আপনার জীবনে কী ধরনের সমস্যা তৈরি করছে?
- এটি ছাড়লে আপনি কী কী উপকার পাবেন?
- নিজের উত্তরের তালিকা লিখে রাখুন। প্রলোভনের মুহূর্তে সেগুলো পড়ে মনে করিয়ে দিন নিজেকে কেন আপনি পরিবর্তন চাইছেন।
বদভ্যাসের পরিবর্তে ভালো ও নতুন অভ্যাস গড়ে তুলুন
- খালি জায়গা কখনোই খালি থাকে না। তাই পুরনো অভ্যাস বাদ দিয়ে সেটির জায়গায় একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস তৈরি করুন। যেমন: ধূমপানের বদলে চুইংগাম খাওয়া, বা সোশ্যাল মিডিয়ার বদলে বই পড়া।
- গবেষণা বলছে, একটি নতুন অভ্যাস গড়ে তুলতে ১৮–২৫৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
- নিয়মিত চর্চা এবং ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
মাইন্ডফুলনেস অনুশীলন করুন
- ‘মাইন্ডফুলনেস’ হলো এমন একটি মানসিক প্রশিক্ষণ পদ্ধতি, যা আপনাকে বর্তমান মুহূর্তে মনোযোগী থাকতে শেখায়। যেমন: খাওয়ার সময় শুধু খাওয়ার দিকেই মনোযোগ রাখা (মাইন্ডফুল ইটিং)।
- এই অনুশীলন আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে, সেই অভ্যাসটি আদৌ আপনার উপকার করছে কিনা।
কেন এটা কাজ করে?
খারাপ অভ্যাসের সঙ্গে মস্তিষ্কে ডোপামিন নামক ‘হ্যাপি হরমোন’ জড়িত থাকে, যা আমাদের আনন্দ অনুভব করায়। অভ্যাস ছাড়তে গেলে ডোপামিনের ঘাটতি হয়, তখন মন আবার সেই পুরনো অভ্যাসের দিকে টানে। তাই পুরনো অভ্যাস ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্ককে নতুন আনন্দদায়ক (ডোপামিন-উৎপাদক) অভ্যাসের সঙ্গে পরিচিত করাতে হয়।
বদভ্যাস ছাড়া সহজ নয়, কিন্তু অসম্ভবও নয়। নিজের আচরণ বুঝে, সঠিক কৌশল মেনে এবং ধৈর্য ধরে এগোতে পারলে আপনি অবশ্যই সফল হবেন।
আরটিভি/জেএম