ধূমপান একবার অভ্যাসে পরিণত হলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া অনেকের কাছেই অসম্ভব মনে হয়। কিন্তু সত্যি কথা হলো, কিছু নতুন অভ্যাস ও মানসিক প্রস্তুতি থাকলে ধূমপান ছাড়া সম্ভব এবং সেটা কঠিন কিছু নয়। চলুন জেনে নিই সিগারেট ছাড়ার সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর উপায়গুলি।
মানসিক প্রস্তুতি
সিগারেটের অভ্যাস দূর করার মূল চাবিকাঠি হলো মানসিক সিদ্ধান্ত। আপনি যদি নিজেকে প্রশ্ন করেন, “আমি কেন সিগারেট ছাড়তে চাই?”—তাহলেই শুরু হবে পরিবর্তনের যাত্রা। নিজের পরিবারের কথা ভাবুন, নিজের শরীরের কথা ভাবুন—এটাই আপনার মোটিভেশন।
ধাপে ধাপে ছাড়ুন – হঠাৎ নয়
অনেকেই ভাবেন একদিনেই সিগারেট বন্ধ করতে হবে। এটা সম্ভব হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কার্যকর হয় ধাপে ধাপে কমিয়ে আনা। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি দিনে ১০টি সিগারেট খান, তা ধীরে ধীরে কমিয়ে ৫টি-তে আনুন সপ্তাহ ধরে। তারপর আরও কমিয়ে ৩ টি, ২ টি-তে আনুন। তারপর একেবারে ছেড়ে দেওয়ার অভ্যাস করুন।
বিকল্প অভ্যাস গড়ে তুলুন
ধূমপান ছাড়ার সময় হাত ও মুখ ব্যস্ত রাখতে কিছু না কিছু দরকার হয়। চুইংগাম, চকলেট, বা বাদাম খাওয়া—এই অভ্যাসগুলো সিগারেটের জায়গা নিতে পারে। এছাড়াও হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাও সাহায্য করে।
ট্রিগার এড়িয়ে চলুন
অনেক সময় চা বা কফির সঙ্গে, বন্ধুদের আড্ডায়, বা কাজের চাপে আমরা সিগারেট খেতে চাই। এসব পরিস্থিতি চিনে ও বুঝে সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
সাপোর্ট সিস্টেম তৈরি করুন
বন্ধু, পরিবার, অথবা কাউন্সেলরের সহায়তা নেওয়া খুব জরুরি। তাদের জানিয়ে রাখুন আপনি সিগারেট ছাড়ছেন। তারা আপনাকে উৎসাহ দেবে এবং দুর্বল সময়ে পাশে থাকবে।
মোবাইল অ্যাপ বা মেডিটেশন সাহায্য করে
ধূমপান ছাড়ার জন্য বর্তমানে অনেক মোবাইল অ্যাপ রয়েছে যা আপনার অগ্রগতি ট্র্যাক করে। পাশাপাশি মেডিটেশন বা মাইন্ডফুলনেস চর্চা মনকে স্থির রাখতে সাহায্য করে।
প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের সহায়তা নিন
অনেক সময় নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (এনআরটি), যেমন নিকোটিন প্যাচ বা গাম দরকার হতে পারে। এসব বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এটি পুরো প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে।
সিগারেটের অভ্যাস ছাড়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো নিজেকে বোঝানো যে আপনি পারবেন। ছোট ছোট পরিবর্তন এনে ধীরে ধীরে অভ্যাস পরিবর্তন করুন।
আরটিভি/জেএম