ডাল-চালের লোভে কুলসুমীর বদলে জেলে মিনু, আদালত শুনবে সেই কাহিনী   

আরটিভি নিউজ

বুধবার, ৩১ মার্চ ২০২১ , ০৭:৪৬ পিএম


ডাল-চালের লোভে কুলসুমীর বদলে জেলে মিনু, আদালত শুনবে সেই কাহিনী   
ফাইল ছবি

হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলে কারাভোগ করেছেন মিনু। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিষয়টি শোনার জন্য সদয় সম্মতি দিয়েছেন। যার প্রেক্ষিতে বিষয়টি হাইকোর্টের কার্যতালিকাভূক্তির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এটি বৃহষ্পতিবারের (১ এপ্রিল) কার্যতালিকায় থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।

বিজ্ঞাপন

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ কুলসুমীর পরিবর্তে মিনুর কারাভোগের ঘটনা চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতের নজরে আনেন কারা কর্তৃপক্ষ। এরপর ওই আদালত মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার পর ২৪ মার্চ নথি হাইকোর্টে পৌঁছে।  বুধবার বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। এতে আদালত শুনানির জন্য কার্যতালিকাভূক্তির নির্দেশ দেন।

জানা যায়, ২০০৬ সালের ৯ জুলাই নগরীর রহমতগঞ্জ এলাকায় মোবাইল ফোন নিয়ে বিবাদের জেরে পোশাক কারখানার কর্মী কোহিনুর বেগম খুন হন। এ ঘটনায় করা মামলায় ২০০৭ সালের ২৬ অক্টোবর কুলসুমীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পান কুলসুমী। পরবর্তীতে এ মামলায় বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর রায় দেয় চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত। রায়ে কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো একবছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

পরে টাকার বিনিময়ে মিনু কুলসুমী সেজে ২০১৮ সালের ১২ জুন চট্টগ্রাম আদালতে আত্মসমর্পন করেন। এরপর নিম্ন আদালতের সাজার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন কুলসুমী। এ কারণে ওই বছরের ১২ জুন মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। মামলাটি এখন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে বিচারাধীন। সর্বশেষ গত ১১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ছিল মামলাটি।

গত ১৮ মার্চ কুলসুমীর পরিবর্তে মিনুর কারাভোগের বিষয়টি সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খানের নজরে আসে। এরপর তিনি তা গত ২১ মার্চ রায় প্রদানকারী চট্টগ্রামের আদালতের নজরে আনেন।

এরপর মিনুকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হলে ২২ মার্চ কারাগার থেকে মিনুকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি বলেন, আমাকে তিন বছর আগে মর্জিনা নামের এক মহিলা ডাল-চাল দেবে বলে জেলে ঢুকায়। আমাকে মর্জিনা বলেছিল রোজা পার হলেই আমাকে জেলখানা থেকে বের করবে। আমি এখন বের হতে চাই।

বিজ্ঞাপন

আরএস/ এমকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission