ঢাকাসোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২

ক’রোনায় মৃ’ত্যুঝুঁকি কমাতে যে কোনো সময় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

আরটিভি নিউজ

রোববার, ২৩ মে ২০২১ , ০৩:৪৯ পিএম


loading/img
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।। ফাইল ছবি

দেশে করোনা বেড়ে গেলে মৃত্যুঝুঁকি কমাতে যে কোনো সময় জারি করা সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। রোববার (২৩ মে) চলমান বিধিনিষেধ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির পর ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের এ কথা জানান। আজ জারি করা প্রজ্ঞাপনে মানুষের জীবন-জীবিকা এবং চলাচলে অসুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে গণপরিবহন এবং খাবার হোটেল খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে সরকার। ফলে কঠোর বিধিনিষেধ আগের তুলনায় শিথিল হয়ে গেলো।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ‘করোনা ভাইরাস জনিত রোগ কোভিড-১৯ সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বিধিনিষিধের সময়সমীমা ২৩ মে মধ্যরাত থেকে ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হলো। আগের শর্তাবলি কার্যকর থাকলেও আন্তঃজেলা গণপরিবহন এবং হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার অনুমতি দেওয়া হলো। তবে উভয় ক্ষেত্রে খালি রাখতে হবে অর্ধেক আসন।’

তাতে আরও বলা হয়, ‘আন্তঃজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহন আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে অবশ্যই যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরিধানসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। আর হোটেল-রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানগুলোতে আসন সংখ্যার অর্ধেক গ্রাহককে বসিয়ে খাওয়ানো যাবে।’  

পরে এসব বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘করোনা বেড়ে গেলে আমাদের যে কোনো সময় সিদ্ধান্তের পরিবর্তন করতে হবে। নিজেদের মৃত্যুঝুঁকি থেকে বাঁচানোর জন্য, সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া । যদি স্বাভাবিক থাকে, তাহলে সামনের সপ্তাহে সব খুলে দিতে পারি। এটা নির্মূল করা কঠিন। যারা ভ্যাকসিন নেননি, তারা ঝুঁকির মধ্যে আছেন। এজন্য মাস্ক পরতে হবে।’

ফরাদ হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন গাড়ি বন্ধ থাকার কারণে কাজকর্মে বেশ কিছু সমস্যা হচ্ছে। সব কিছু বিবেচনা করেই আমরা এক সপ্তাহের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হচ্ছে। এটাকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। পাশের দেশে করোনার প্রকোপ সম্পর্কে সবাই বুঝতে পারছে।’

বিজ্ঞাপন

দূর পাল্লাতে স্বাস্থ্যবিধির অসুবিধা হয় না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যারা দূর পাল্লায় চলেন, তারা সবাই সচেতন থাকেন। যে সমস্ত জায়গায় সংক্রমণ বেশি, সেখানে মাস্ক পরার প্রবণতা বাড়ানো যায়, আরও জনসচেতনাতায় জোর দিচ্ছি। মানুষকে সচেতন করাই বড় কথা।’

আন্তঃজেলা পরিবহনগুলো অনেক দিন ধরে বন্ধ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘খাবারের হোটেলগুলো খুলে দিচ্ছি। সে ক্ষেত্রে আমাদের চিন্তা-ভাবনা, এক সপ্তাহের জন্য দিয়েছি। আমরা পর্যবেক্ষণ করব, সবাই মানছে কিনা। পর্যবেক্ষণ করছি এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি বলে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছি।’

ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্য, জীবন-জীবিকা, অর্থনৈতিক দিক, মানুষের জীবনযাত্রার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত। যেভাবে করোনার প্রকোপ থাকবে, সেভাবে সিদ্ধান্ত থাকবে। প্রত্যেক মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। প্রত্যেককে শতভাগ মাস্ক পরতে হবে। মাস্কের বিষয়টা অবশ্যই কড়াকড়িভাবে দেখছি এবং দেখব।’

কেএফ

আরটিভি’র সর্বশেষ নিউজ পেতে ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন...

https://www.facebook.com/rtvnews247

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |