ঢাকাবুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

সিনহার দুর্নীতি মামলায় খালাসপ্রাপ্ত দুজনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ    

আরটিভি নিউজ

বুধবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২১ , ০১:২১ পিএম


loading/img
ফাইল ছবি

ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) চার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় খালাসপ্রাপ্ত নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা ও মো. শাহজাহানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

এ মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড এবং অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ওই দুজনকে খালাস দেওয়া হয়। এ ছাড়া আরও আট আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

তাদের খালাসের বিরুদ্ধে দুদকের করা আপিলে পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আসামিদের আত্মসমর্পণের আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। 

এ মামলায় গত ৯ নভেম্বর এসকে সিনহাকে দেওয়া ১১ বছরের কারাদণ্ডের মধ্যে অর্থ আত্মসাতের দায়ে চার বছরের এবং অর্থ পাচারের দায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া তার ৭৮ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে সাজা দু’টি একসঙ্গে চলায় সিনহাকে সাত বছর জেলে থাকতে হবে। 

এসকে সিনহা ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন, ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।

বিজ্ঞাপন

মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ তদন্তের সময় মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ মামলার পলাতক আসামিরা হলেন- এস কে সিনহা, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ‘অস্বাভাবিক দ্রুততার’ সঙ্গে ৪ কোটি টাকা ভুয়া ঋণ তৈরি করে তা একইদিনে পে-অর্ডারের মাধ্যমে আসামি এস কে সিনহার ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করেন। পরে এস কে সিনহা নগদ, চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা সরিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেন, যা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

ফারমার্স ব্যাংক থেকে ৪ কোটি টাকা ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১ এ এসকে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।

একই বছরের ডিসেম্বরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজীর আহমেদ চার্জশিট দেন। ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ চার্জশিট গ্রহণ করেন। ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট আদালত অভিযোগ গঠন করেন।

এনএইচ/এসকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |