দেশের কারাগারগুলোতে বন্দিদের পরিবারের খাবার কারাগারে প্রবেশ না করানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নতুন করে প্রবেশ করা বন্দিদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বন্দিদের সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে এই নতুন নির্দেশনা জারি করেছে কারা অধিদপ্তর। একই সঙ্গে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কারাগারের ভেতরে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন উদ্যোগ।
সম্প্রতি কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন এ বিষয়ে একটি আদেশ জারি করেছেন।
ওই আদেশে বলা হয়েছে, বন্দিদের বাইরে থেকে সব ধরনের খাবার দেওয়া বন্ধ থাকবে। তাদের কোনো আত্মীয়-স্বজন খাবার নিয়ে এলে বিনয়ের সঙ্গে বুঝিয়ে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। কারাগারে অসুস্থ বন্দিদের অন্তত ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। এক বন্দী থেকে অন্যদের দূরত্ব অন্তত ১ মিটার বা ৩ ফুট অথবা সম্ভব হলে ২ মিটার বা ৬ ফুট হবে। সম্প্রতি কারাগারে আসা বন্দিদের ১৪ দিন অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই তাদের কোয়ারেন্টাইন থেকে বের করে উন্মুক্ত স্থানে নেওয়া যাবে না।
অধিদপ্তরের জারি করা আদেশে আরও বলা হয়, কারাগারের ভেতরে বন্দী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে কোলাকুলি ও করমর্দন পরিহার করতে হবে। নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে হবে। কোনো দর্শনার্থী যেন কারা এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কারা ফটকে শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা (ইনফ্রারেড/থার্মোমিটার) গ্রহণ করতে হবে। করোনার লক্ষণ দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ পৃথক করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
অধিদপ্তর জানায়, দেশের সকল কারাগার বিভাগীয় দপ্তর ও কারা অধিদপ্তর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অর্ধেক সংখ্যক কর্মকর্তা/কর্মচারী নিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করে দাপ্তরিক কার্যক্রম ই-নথি, ই-টেন্ডারিং, ই-মেইল এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য মাধ্যমে ভার্চুয়ালি সম্পন্ন করবেন।
এছাড়াও অফিসে প্রবেশ ও অবস্থানকালীন সময়ে বাধ্যতামূলকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকা নেওয়ার সনদ থাকতে হবে, সনদ থাকলেও বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
কেএফ