১১ বছরেও তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি না হওয়া লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার (৩০ মে) আসামের গুয়াহাটিতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
উভয় দেশের কল্যাণে যৌথ নদী ব্যবস্থাপনা আবশ্যক উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। সব নদীর ব্যবস্থাপনায় একসঙ্গে কাজ করতে হবে। যৌথ নদী ব্যবস্থাপনা চুক্তি হলে উভয় দেশই জয়ী হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে পানির জন্য বড় হাহাকার তৈরি হবে।
তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ এ বছর একই সময়ে বন্যার কবলে পড়েছে। এ জন্য দুই দেশের মধ্যে পানি নিষ্কাশনে প্রযুক্তিগতভাবে আরও সহযোগিতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি যৌথভাবে বন্যার আগাম সতর্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে ১১ বছর ধরে তিস্তা চুক্তি ঝুলে থাকা লজ্জাজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক।
২০১১ সালে শুষ্ক মৌসুমে (ডিসেম্বর-মার্চ) নিজেদের জন্য ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ পানি রেখে তিস্তার ৩৭ শতাংশ পানি ভাগাভাগি করতে সম্মত হয়েছিল ভারত। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বিরোধিতায় চুক্তিটি এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। এরমধ্যে আবার সিকিমে তিস্তা নদীর ওপর একাধিক বাঁধ নির্মাণ করে বাংলাদেশের পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করছে প্রতিবেশি দেশটি।
এদিকে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, বাংলাদেশে চীনের ক্রমাগত স্বার্থবৃদ্ধির জেরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে ভারত। এ জন্য চলতি বছরের জুন মাসে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক যৌথ পরামর্শক কমিশনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা-নয়াদিল্লি। যাতে জুলাই মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের পথ পরিষ্কার হয়।