ঢাকাসোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

বাতিল হতে পারে ডা. সাবরিনার বিএমডিসি সনদ

আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০২২ , ১০:০৪ পিএম


loading/img
ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস শনাক্তের রিপোর্ট জালিয়াতির ঘটনায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারপারসন ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

এদিকে আদালত রায়ের কপি হাতে পেলে ডা. সাবরিনার চিকিৎসক নিবন্ধন বাতিল হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)।

এক্ষেত্রে রায়ের কপি আসার পর নীতিনির্ধারকরা আলোচনায় বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে আদালত থেকে সরাসরি কোনো নির্দেশনা এলে আলোচনা ছাড়াই চিকিৎসক নিবন্ধন বাতিল হবে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বিএমডিসির রেজিস্ট্রার আরমান হোসেন সংবাদমাধ্যমকে এমনটিই জানিয়েছেন।

তিনি জানান, কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতের রায় হলে তার নিবন্ধন বিষয়ে আমাদের আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসক নিবন্ধন বাতিল হয়।

তিনি আরও জানান, আমাদের কাছে এখনও রায়ের কপি এসে পৌঁছায়নি। কোর্ট আমাদের এ বিষয়ে জানালে তখন আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে ভুয়া রিপোর্ট দেয়। এমন জালিয়াতির অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করলে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০২০ সালের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা ও আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও এবং জেবুন্নেসা।

চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে প্রতারণার মূলহোতা বলে উল্লেখ করা হয়। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছেন বলে জানানো হয়। একই বছরের ২০ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |