প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। দেবী মর্ত্য ছেড়ে ফিরে যাবেন কৈলাশে। তাই মণ্ডপে মণ্ডপে উলুধ্বনি, শঙ্খ, ঘণ্টা ও ঢাকঢোলের বাজনায় দেবী দুর্গার বিদায়ের সুর। তবে দেবীর বিদায়ের কষ্ট ভুলতে এবং হাসিমুখে বিদায় জানানোর জন্য সিঁদুর খেলায় মেতেছেন ভক্তরা।
বুধবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ভক্তদের ভিড় দেখা গেছে। এর মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানো হয়। বিদায়লগ্নে অনেক ভক্ত কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বলেন, পূজা অর্চনা করেছেন। অতীত জীবনের পাপ মোচন ও অশুভ শক্তির কবল থেকে বাঁচতে দেবী দুর্গার কাছে আশীর্বাদ কামনা করেছেন। সেই সঙ্গে তাদের পরিবারের সব সদস্যই নাচে-গানে ও সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছেন।
দেবীর পায়ে সিঁদুর মাখিয়ে দেওয়া এক নারী জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বী বিবাহিত নারীদের সিঁদুর গুরুত্বপূর্ণ। দশমীর দিন তারা দেবী দুর্গার পায়ে সিঁদুর লাগিয়ে স্বামীর মঙ্গল কামনা করেন। যেন সারা বছর পরিবারের সবাইকে নিয়ে আনন্দে থাকতে পারেন।
এর আগে পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন হয় সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে।
সনাতনী শাস্ত্রমতে এবার দেবী দুর্গা জগতের মঙ্গল কামনায় গজে চড়ে মর্ত্যলোকে এসেছেন। এতে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঝড়বৃষ্টি হবে, কিন্তু শস্য ও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে নৌকায় চড়ে স্বর্গে বিদায় নেবেন, ফলে জগতের কল্যাণ সাধিত হবে।
এ বছর সারাদেশের ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপন করা হয়েছে। গত বছর সারাদেশের পূজামণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৩২ হাজার ১১৮টি; যা গত বছরের থেকে ৫০টি বেশি। আর ঢাকা মহানগরে মণ্ডপের সংখ্যা ২৪১টি; যা গত বছরের থেকে ছয়টি বেশি।
সন্ধ্যা-আরাত্রিকের পর প্রতিমা বিসর্জন ও শান্তিজল গ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় পাঁচ দিনব্যাপী সব আয়োজন।