চেন্নাই থেকে দেশে ফিরছেন পরীক্ষার রুটিনসহ তারিখ ঘোষণার দাবিতে আন্দোলনের সময় চোখে আঘাত পাওয়া সিদ্দিকুর রহমান। জানালেন তার সহপাঠী শেখ ফরিদ।
শুক্রবার বেলা ১২টায় সিদ্দিকুর দেশের উদ্দেশে রওনা দেবেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
শেখ ফরিদ বলেন, আমরা বিমানবন্দরে সিদ্দিকুরকে নিয়ে আসার জন্য যাবো। এসময় সেখানে চোখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ের শঙ্কর নেত্রালয়ের চিকিৎসক লিঙ্গম গোপালের সঙ্গে সিদ্দিকুর দেখা করেছেন। তাকে দেড় মাসের ওষুধ দেয়া হয়েছে। তবে তার চোখ আগের মত ভালো হবে কিনা সে বিষয়ে চিকিৎসক নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।
সিদ্দিকুর রহমানের বাম চোখের রেটিনার ৯০ শতাংশের বেশি নষ্ট হয়ে গেছে। আর ডান চোখ তো আগেই নষ্ট হয়েছে। যদি মিরাকেল কোন কিছু হয়। আল্লাহ যদি ভাল করে দেন। তাছাড়া আর আশা করা যায় না। চিকিৎসক আশাবাদী না হলেও আমরা আশাবাদী।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় গেলো ২৭ জুলাই দুপুরে একটি ফ্লাইটে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিদ্দিকুরকে চেন্নাইয়ের শঙ্কর নেত্রালয়ে নেয়া হয়। তার সঙ্গে রয়েছেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাহিদুল আহসান মেনন ও সিদ্দিকুরের বড় ভাই নওয়াব আলী।
চেন্নাই নেয়ার পর ২৮ জুলাই প্রথম চিকিৎসক দেখানো হয়। পরে ৩১ জুলাই চিকিৎসক তার চোখ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, তার দুই চোখই নষ্ট হয়ে গেছে। তবে রোগী চাইলে তারা অস্ত্রোপচার করবেন। ১ আগস্ট রোগীর কাছ থেকে সম্মতি পেয়ে ৪ আগস্ট অস্ত্রোপচার করা হয়।
গেলো ২০ জুলাই শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা কলেজ, তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থীরা রুটিনসহ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে অবস্থান নেয়।
একপর্যায়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশ। ওই দিন টিয়া শেলে চোখে গুরুতর আঘাত পান তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর।
এইচটি/জেএইচ