রাজধানীর ধানমন্ডি সাত মসজিদ সড়কসহ সব পাবলিক পরিসরে উন্নয়নের নামে গাছ কাটা বন্ধের দাবিতে নগরভবনমুখী আন্দোলনকারীদের বঙ্গবাজার মোড়ে আটকে দিয়েছে পুলিশ। ফলে আন্দোলনকারীরা সেখানেই অবস্থান করছেন।
আন্দোলনকারীরা বঙ্গবাজার মোড়ে মিছিল করছেন ও স্লোগান দিচ্ছেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র এসে কথা না বলা পর্যন্ত তারা সরবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
রোববার (২১ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে নগরভবন ঘেরাও করতে আসেন তারা। কিন্তু বঙ্গবাজার মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে আন্দোলনকারীদের আটকে দেয় পুলিশ।
গাছ রক্ষা আন্দোলন কমিটির সমন্বয়ক আমিরুল রাজীব পুলিশের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের কেন সিটি করপোরেশন ব্যবহার করছে? কেন আমাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে? আমাদের অধিকার আছে আন্দোলন সংগ্রামের। সিটি করপোরেশনের মেয়রকে এখানে নিয়ে আসেন। অন্য কোনো কথা আমরা শুনবো না।
সাতমসজিদ সড়কে গাছ কেটে নতুন করে সড়ক বিভাজক তৈরি করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। পরিবেশবাদীরা বলছেন, প্রচণ্ড গরমে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। এরপরও সিটি করপোরেশন গাছ কেটে উন্নয়নকাজ করছে।
এ সময় আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
১. সাত মসজিদ সড়কের গাছ কাটা বন্ধ করে সেই স্থানে দেশীয় প্রজাতির গাছ লাগাতে হবে।
২. জনগণের করের টাকায় একবার গাছ লাগানো এবং আরেকবার গাছ কেটে আবার ‘উন্নতমানের দ্রুত বর্ধনশীল’ গাছ লাগানোর নতুন প্রকল্প গ্রহণের নামে গাছ-বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে।
৩. বৃক্ষ ও নগরবাসীবান্ধন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা গ্রহণের মাধ্যমে নগরের গাছ ও সবুজবলয় সুরক্ষার করতে হবে।
৪. ধানমন্ডি সাত মসজিদ সড়কসহ সব পাবলিক পরিসরে উন্নয়নের নামে যখন-তখন গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে।
৫. নগর উন্নয়নে প্রকৃতিভিত্তিক পরিকল্পনাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে উপস্থিতি আছেন পরিবেশবিদ সৈয়দা রিজওয়ান হাসান, শিরিন হক ও আমিরুল রাজিব।