কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের সরারচর টেকনিকেল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের সাত শিক্ষক-কর্মচারীর করা এমপিওভুক্তির আবেদন কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) এ সংক্রান্ত বিষয়ে করা এক আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) ৫ জনকে বিবাদী করে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল।
অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া বলেন, সরারচর টেকনিকেল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের ৭ প্রভাষক ও কর্মচারী বিধি অনুযায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং ২০১৬ সাল থেকে বিনা বেতনে কাজ করে আসছেন।
২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ সরারচর টেকনিকেল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজটির শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার (এমপিও) সরকারি অংশ দেওয়ার জন্য সরকারের সম্মতি লাভ করেন।
গত ২০০০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ৭ জন প্রভাষক এমপিও ভুক্তির আবেদন করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এমপিও আবেদন নিষ্পত্তি করেননি ও এমপিও প্রদানের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। পরবর্তীতে ওই সাত প্রভাষক কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন এবং প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০২১ সালের ৭ নভেম্বর রুল করেন হাইকোর্ট।
পরবর্তীতে আবেদনকারী জানতে পারেন ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি এমপিও আবেদন বিবেচনা করা গেল না মর্মে অফিস আদেশ জারি করেছেন।
বিগত ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এমপিও নামঞ্জুর চ্যালেঞ্জ করে একটি সম্পূরক আবেদন করা হয়। আবেদনের শুনানি শেষে এ সম্পূরক রুল ইস্যু করেন আদালত।
আবেদকারী সরারচর টেকনিকেল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের ৭ শিক্ষক ও কর্মচারীরা হলেন, মহিবুল্লাহ আল মাহদী, আলমগীর হোসাইন আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাখাওয়াত, মাহবুবুর রহমান, সফিকুল ইসলাম ও সামসুল হক।