ঢাকাশনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১

বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো বাংলাদেশে বিমান ভাড়া বাড়িয়েই চলেছে

আরটিভি নিউজ

সোমবার, ০৬ মে ২০২৪ , ০৩:৫২ পিএম


loading/img
ফাইল ছবি

বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৩০টি বিদেশি এয়ারলাইন্স কোম্পানি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এসব কোম্পানির ৩২ কোটি ডলারের বেশি পাওনা বাংলাদেশে আটকে আছে। এসব অর্থ তারা নিজ দেশে নিতে না পারায় বাংলাদেশে বিমান ভাড়া বাড়িয়েই চলেছে। 

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন আইএটিএ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থাগুলো বাংলাদেশের কাছে ৩২ কোটি ৩০ লাখ ডলার পাবে। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগের হাত থেকে বাঁচতে বাংলাদেশকে দ্রুত এই বকেয়া পরিশোধের তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি।

বাংলাদেশে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো মূলত আইএটিএ’র মাধ্যমে তাদের পেমেন্টগুলো গ্রহণ করে থাকে। আইএটিএ হলো বিশ্বের প্রায় ৩০০ এয়ারলাইন্সের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি টিকিট বিক্রি করে আইএটিএ’র অর্থ পরিশোধ করে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে চূড়ান্তভাবে এই টিকিট বিক্রির অর্থ ছাড় হয়ে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে। 

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের একটি বেসরকারি ট্রাভেল এজেন্সির মালিক জানান, বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর টিকিট আমরা সেল করে আইএটিএ-কে দিয়ে দিচ্ছি। টাকাটা আইএটিএ’র অ্যাকাউন্টে আছে। কিন্তু আইএটিএ-কে এখান থেকে এই অর্থ নিতে হলে ডলারে নিতে হবে। এই ডলারটা বাংলাদেশ ব্যাংক হয়তো ছাড় করতেছে না। মূলত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টিকিটের অর্থ ছাড়া না পাওয়ার কারণেই এই সংকট।

যদিও আগে ব্যাংক থেকে ডলার কিনে নির্ধারিত ব্যাংকের মাধ্যমে এয়ারলাইনসগুলো তাদের আয় পাঠাতে পারত। কিন্তু এখন আর সে সুযোগ নেই। ফলে কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকের দিকে চেয়ে থাকতে হয়।

অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ অ্যাটাব সভাপতি আরেফ জানান, বাংলাদেশের বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রায় কিছুটা ঘাটতি থাকায় টাকাটা ধীরে ধীরে অ্যাপ্রুভাল দেওয়া হচ্ছে। অনেক সময় অ্যাপ্রুভাল হওয়ার পরেও শিডিউল ব্যাংকে হয়তো পর্যাপ্ত ডলার না থাকায় কোম্পানিগুলোর এই টাকা পেতে অনেক দেরি হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, বিদেশি কোম্পানিগুলো যখন দেখছে টিকিট বিক্রির টাকা ঝুলে থাকার কারণে তাদের ক্ষতি হচ্ছে। তখন তারা বাংলাদেশে টিকিটের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (ক্যাব) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান বলেন, দেশে ডলার সংকটের কারণে বিদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের টাকা আটকে গিয়েছিল। এখন আস্তে আস্তে দেওয়া হচ্ছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক সংকট সমাধানের চেষ্টা করছে। আরেকটু অবস্থার উন্নতি হলেই সংকট কেটে যাবে।

 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |