প্রধানমন্ত্রী আমাকে ডুবন্ত নৌকা জাগিয়ে তোলার দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি সফল হতে পারব, এমন আস্থা ও বিশ্বাস থেকে প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর এ দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি সফল হলে প্রধানমন্ত্রীও সফল হবেন, শক্তিশালী হবেন। তার সম্মান রাখার জন্য আমি কাজ করব। তাই ৭ দিন আমি ছাত্র থাকব, এরপর আমি আমার কাজ শুরু করব।
বললেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রাইভেট অপারেটরগুলো আমাদের ফ্রিকুয়েন্সি ও ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে ব্যবসা করছে। তারা পারলে আমরা পারব না কেন? আমার বিশ্বাস, কোথাও কোনো ভুল ছিল অথবা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে যারা ছিলেন তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। আমি এগুলো চিহ্নিত করব। ব্যর্থ হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমার বিশ্বাস, ব্যর্থতাগুলো চিহ্নিত করতে পারলে আমরাও ব্যবসা করতে পারব।
মন্ত্রী আরো বলেন, আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবতা। ২০২১ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির সকল ক্ষেত্রে আমাদের স্বপ্নগুলো পূরণ হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা এবং একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার জন্য তিনি কাজ করবেন বলেও জানান।
এর আগে মন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যান। পরে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। পরে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।
এ সময় বিটিআরসির চেযারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফাসহ খুলনা ও গোপালগঞ্জের বিটিসিএল-এর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গোপালগঞ্জ ডাক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসজে/পি
