মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন এবং সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণের স্বার্থে ৫৮ দিন সাগরে যেকোন প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। দেশের জেলেদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে এবার প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে তারিখের সমন্বয় করে জারি করা হয়েছে এ নিষেধাজ্ঞা। সেই অনুযায়ী, আগামী ১৫ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে কার্যকর হচ্ছে এ নিষেধাজ্ঞা, যা বলবৎ থাকবে ১১ জুন পর্যন্ত।
বুধবার (১৯ মার্চ) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
উপসচিব এইচ. এম. খালিদ ইফতেখার স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা, ২০২৩ এর বিধি ৩ এর উপবিধি (১) এর দফা (ক) তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, সরকার, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন সব ধরনের মৎস্য নৌযান কর্তৃক যেকোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো।
এর আগে সাধারণত প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছ ধরা বন্ধ থাকতো। তবে ভারতে প্রতিবছর মাছ ধরা বন্ধ থাকে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত, ৬১ দিন। আর মিয়ানমারে নিষেধাজ্ঞার এই সময় ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মোট ৯১ দিন।
এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় ঠিক করলো সরকার।
বাংলাদেশের জেলেরা যখন সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ রাখেন, তখন প্রতিবেশী দেশের জেলেরা এদেশের জলসীমায় ঢুকে মাছ ধরেন। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে নিষেধাজ্ঞার সময় সমন্বয়ের দাবি করে আসছিলেন দেশের মৎস্যজীবীরা।
আরটিভি/এসএইচএম