এখন অনেকটাই সুস্থ ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা বদরুল আলমের চাপাতির কোপে গুরুতর আহত সিলেট সরকারি মহিলা কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস। ফিরে পেয়েছেন স্মৃতিও। বাবা-মা ও নিকটাত্মীয় সবাইকে চিনতে পারছেন তিনি। তবে মনে করতে পারছেন না তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া সেই দুঃসহ স্মৃতি।
মঙ্গলবার দুপুরে এমনটাই জানিয়েছেন নার্গিসের বাবা সৌদি প্রবাসী মাসুক মিয়া। আরটিভি অনলাইনকে তিনি বললেন, ‘মাথায় দ্বিতীয় অপারেশনের পর মা-বাসহ নিকটাত্মীয়দের চিনতে পারছে নার্গিস। তবে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনাই মনে করতে পারছে না সে।’ অবশ্য পরিবারও চায় না সেই বিভৎস্য অতীত মনে করুক নার্গিস।
মাসুক মিয়া বলেন, ‘নার্গিসের বাঁ হাত-পা এখন কিছুটা কাজ করছে। সে তা নাড়াতে পাড়ছে একটু একটু করে। দু-একটি করে স্বাভাবিক কথাও বলতে পারছে। সবার সহযোগিতায় এটা সম্ভব হয়েছে। আপনারা সব সময়ই ওর পাশে থেকেছেন।’
নার্গিসের চিকিৎসক স্কয়ার হাসপাতালের নিউরো সার্জন ডা. রেজাউস সাত্তার আরটিভি অনলাইনকে বললেন, ‘নার্গিস এখন অনেকটাই সুস্থ। তবে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও সে এখনো নিজে নিজে ওঠে বসতে পারছে না। তাই হাত-পা পুরোপুরি সচল করতে আসছে ২৪ নভেম্বর থেকে ফিজিওথেরাপি দেয়া হবে। আশা করছি ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে নার্গিস একাই ওঠে বসতে পারবে। যদিও তা নির্ভর করছে ফিজিওথেরাপির ওপর। সেটা যদি দ্রুত কাজ করে তবে আরো আগেই সে ওঠে বসতে পারবে।’
গেলো ৩ অক্টোবর নার্গিসকে সিলেট এমসি কলেজে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই নার্গিসের চিকিৎসা চলছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কয়েক ধাপে অস্ত্রোপচার হয়। এখন তিনি আশঙ্কামুক্ত। সুস্থ হয়ে ওঠছেন ধীরে ধীরে।
এস